দারুল উলুম খুলনার ঐতিহ্যবাহী কওমি মাদরাসা

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০৭:৩২:২৩ || পরিবর্তিত: ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০৭:৩২:২৩

দারুল উলুম খুলনার ঐতিহ্যবাহী কওমি মাদরাসা

ইমরান, খুলনা প্রতিনিধি: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ঐতিহ্যবাহী বিভাগ খুলনা। ষাট গম্বুজ মসজিদ, সুন্দরবন, মোংলা বন্দরসহ আরো একাধিক ঐতিহাসিক স্থান ও স্থাপনা রয়েছে এ বিভাগে। হিজরি নবম শতকে বাংলা বিজয়ের পরতাঁর হাতে অত্র অঞ্চলের অসংখ্য মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেছে। সে ধারাবাহিকতায় খুলনা প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে উঠেছে অসংখ্য মাদরাসা ও মক্তব। দারুল উলুম খুলনা বিভাগের অন্যতম প্রধান দ্বিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এ মাদরাসাটি জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া দারুল উলুম খুলনা নামে প্রসিদ্ধ। বিশিষ্ট ধর্ম প্রচারক পীর খান জাহান আলী (রহ.) ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে খুলনা আসেন। তিনি এখানে প্রতিষ্ঠা করেন ষাট গম্বুজ মসজিদসহ অসংখ্য ইসলামী স্থাপনা।

খুলনার ঐতিহ্যবাহী মাদরাসা

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ঐতিহ্যবাহী বিভাগ খুলনা। ষাট গম্বুজ মসজিদ, সুন্দরবন, মোংলা বন্দরসহ আরো একাধিক ঐতিহাসিক স্থান ও স্থাপনা রয়েছে এ বিভাগে। হিজরি নবম শতকে বাংলা বিজয়ের পর বিশিষ্ট ধর্ম প্রচারক পীর খান জাহান আলী (রহ.) ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে খুলনা আসেন। তিনি এখানে প্রতিষ্ঠা করেন ষাট গম্বুজ মসজিদসহ অসংখ্য ইসলামী স্থাপনা।

তাঁর হাতে অত্র অঞ্চলের অসংখ্য মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেছে। সে ধারাবাহিকতায় খুলনা প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে উঠেছে অসংখ্য মাদরাসা ও মক্তব। দারুল উলুম খুলনা বিভাগের অন্যতম প্রধান দ্বিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এ মাদরাসাটি জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া দারুল উলুম খুলনা নামে প্রসিদ্ধ।

আল্লামা শামছুল হক ফরিদপুরী (রহ.)-এর অনুপ্রেরণায় বিশিষ্ট সমাজসেবক মরহুম হাজি আবদুল হাকীম জমাদ্দারের পৃষ্ঠপোষকতায় মাওলানা মুজিবুর রহমান (রহ.) এটি প্রতিষ্ঠা করেন। মাদরাসার বর্তমান অধ্যক্ষ মাওলানা মুশতাক আহমদ।

মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মুফতি মাহফুজুর রহমান জানান, ১৯৭৯ সালে কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ শ্রেণি দাওরায়ে হাদিসের সূচনা হয়। এ পর্যন্ত দারুল উলুম থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী হাফেজ হওয়ার পাশাপাশি প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী শিক্ষা সমাপন করেছে।

২০০০ সালে ইসলামী আইন গবেষণা অনুষদ (ইফতা) এবং তাফসির বিভাগ চালু করা হয়। ইসলামী আইনের ওপর উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছে অন্তত দেড় হাজার শিক্ষার্থী এবং তাফসির বিভাগ থেকে ডিগ্রি নিয়েছেন কমপক্ষে আরো এক হাজারজন। দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষা কারিকুলাম অনুসারে ৪৮ জন অভিজ্ঞ শিক্ষক প্রায় ১২০০ শিক্ষার্থীকে পাঠদান করেন। মাতৃভাষা বাংলা ছাড়াও তারা আরবি, উর্দু ও ফার্সি ভাষা শেখার সুযোগ পায়। আবাসিক শিক্ষাব্যবস্থাপনায় এতিম ও দরিদ্রদের শিক্ষাগ্রহণে বিশেষ সুযোগ আছে।

খুলনাসহ দেশের অসংখ্য মাদরাসায় দারুল উলুমের কীর্তিমান প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা দ্বিনি সেবায় নিয়োজিত আছেন। তাঁদের কয়েকজন হলেন, জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া (আলি অ্যান্ড নুর রিয়েল স্টেড)-এর মুফতি মুনসুরুল হক, জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া-এর অধ্যক্ষ মুফতি মাহমুদুল হাসান, একই মাদরাসার শিক্ষাসচিব মাওলানা হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

এ ছাড়া মাদরাসা প্রাঙ্গণে রয়েছে অনিন্দ্য একটি মসজিদ। মসজিদের নাম তালাবওয়ালা জামে মসজিদ। সাদা টাইলস দিয়ে তৈরি মসজিদটির নান্দনিক মিনারটি খুলনা বিভাগের সর্বোচ্চ। যার উচ্চতা ২২৬ ফুট।


প্রজন্মনিউজ২৪/এসআই

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ