পুরনো সেই বেলগাছ

প্রকাশিত: ০৬ নভেম্বর, ২০২৩ ১১:২৩:০২ || পরিবর্তিত: ০৬ নভেম্বর, ২০২৩ ১১:২৩:০২

পুরনো সেই বেলগাছ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সজিব সতেজ গাছ পালার সমন্বয়ে গঠিত এক ছোট গ্রাম। চতুর দিকের পরিবেশটা যেন মনোমুগ্ধকর। এই সুন্দর সুশৃঙ্খল পরিবেশে ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে সিয়াম। উত্তরের হৃদয় জুড়ানো বাতাস আলতো করে ছোয়া দিয়ে যায় সিয়ামের আবেগময় অন্তরে। 

সিয়াম খুবই গ্রাম্য জীবন প্রিয় একজন মানুষ। গ্রামের জীবনটা তার খুবই ভালো লাগে। গ্রামের হাওয়া বাতাসের প্রতিটা অংশে জড়িয়ে আছে সিয়ামের স্মৃতি। প্রতিদিন বিকালে নদীর ধারে বসে সুবিশাল ঐ বেলগাছটার দিকে এক নজরে তাকিয়ে থাকে। বেলগাছটার সাথে আটকিয়ে আছে সিয়ামের জীবনের আনন্দদায়ক ও বেদনাদায়ক কিছু সৃতি। এই জন্যই সে গাছটার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। সিয়ামের অনেকগুলো বন্ধু আছে । যাদের সাথে দিনের অধিকাংশ সময় পার করে। বন্ধুদের মধ্যে অয়নকে সে খুবই কাছের করে নেয়। সর্ব সময় অয়ন আর ও (সিয়াম) নদীর পাড়ে অবস্থিত ঐ বেলগাছটার নিচে বসে নিজেদের মধ্যে কথোপকথন করে। অয়ন বেল খেতে খুবই ভালোবাসে। একদিন সিয়াম গাছে উঠল বেল পাড়ার জন্য। বেল পাড়ার শেষে গাছ থেকে নামতে গিয়ে নিজের অসাবধানতার কারণে পড়ে গেল। অবশ্য খুব একটা ব্যাথা পেলনা। 

এরপর দুইবন্ধু  মিলে মনের আনন্দে প্রকৃতিটাকে উপভোগ করতে করতে বেল খেতে থাকে। এইভাবেই দিনগুলো পার হতে থাকে। হঠাৎ একদিন সিয়াম খবর পাই তার কাছের বন্ধু অয়ন আর এই পৃথিবীতে নেই। কষ্টে ভরা মেঘটা যেমন কষ্ট সহ্য করতে না পেরে নিজের জমিয়ে রাখা জল ছেড়ে দেয় ঠিক তেমনই সিয়ামও নিজের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে চোখের জল ছেড়ে দেয়। সিয়াম এখন আর তেমন একটা নদীর পারে যায় না। হয়তো আজও সেই বেল গাছটা সিয়ামের অপেক্ষায় আছে। নদীর তীরের মনোমুগ্ধকর প্রকৃতিটা এখনও প্রতিটা প্রহর অতিবাহিত করছে সিয়ামের আসার অপেক্ষায়। অনেকদিন পর সিয়াম গেল পুরাতন সেই বেলগাছটার নিচে। হস্তদয় বুকের উপর রেখে ভাবতে থাকে সেই পুরাতন মধুমাখা সৃতি গুলোর কথা। যেই সৃতি জীবনে আর কখনো ফিরে আসবে না। 

সবশেষে সিয়াম একটা কথাই বলে, পুরাতন সেই বেলগাছ রয়ে যাবে আমার অন্তরে চিরকাল তার সৃতিগুলো আঁকড়িয়ে ধরে কাটিয়ে দিব বাকিটা জীবন-কাল।
লেখক:নাফিজ আহমেদ


প্রজন্মানিউজ২৪/এসআই

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ