চিরিরবন্দরে নারী শ্রমিকদের সংগ্রাম

প্রকাশিত: ১২ মে, ২০১৯ ০৫:০৫:৪৩

চিরিরবন্দরে নারী শ্রমিকদের সংগ্রাম

মোঃ শরিফুজ্জামান, দিনাজপুরঃদিনাজপুরের চিরিরবন্দরে আদি কাল থেকে নারীরা কৃষি কাজের সূচনা করেছিল সেই নারীরা আজো সম্পৃক্ত আছে কৃষি কাজের সাথে। কেবল কৃষি কাজই নয় দিনের পর দিন বেড়েছে নারী শ্রমিকদের কর্ম পরিধি কিন্তু বাড়েনি তাদের পারিশ্রমিক। নানান অবহেলায়, পরনির্ভরশীল হয়ে বেঁচে না থেকে স্বাবলম্বী হয়ে বেঁচে থাকার তাগিদেই নারীরা বিভিন্ন কাজের সাথে যুক্ত হচ্ছেন।

চিরিরবন্দর এলাকার নারীরা নির্মানধীন ভবনের কাজসহ ইটভাটা, চারা রোপণ, আগাছা নিড়ানি, ধান কাটা, মাড়াই, গম কাটাসহ প্রভৃতি কাজও করছেন। তবে শ্রম দিলেও শ্রমের নায্য মজুরি না পাওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে তাদের। কথা হয় উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের মুন্সি পাড়ার নারী শ্রমিক মালেকার সাথে তিনি জানান, সারাদিন ইট ভেঙে ১৫০ টাকা পাই। একজনের (স্বামী) কামাই দিয়া সংসার চলা খুব কষ্ট হয়।’ তাই অভাবের সংসারে ঢোকা দেই। তার স্বামীও ইটভাটার একজন শ্রমিক। তাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৫ জন।

স্বামীর উপার্জনের ওপর নির্ভর করতে হলেও বিভিন্ন সময় নিজেও উপার্জনে জড়িত হন মালেকা বানু। তিনি ইট ভাঙাসহ চারা রোপণ, আগাছা নিড়ানি, পাটের বীজ ছিটানো, ধান কাটা, মাড়াই, গম কাটাসহ প্রভৃতি কাজও করেন। তবে শ্রম দিলেও শ্রমের নায্য মজুরি না পাওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে তার। অভিযোগ করে তিনি বলেন, একজন পুরুষ যতটুকু সময় দেয়, আমরা নারীরাও ততটুকু সময় দিই। পুরুষ ২৫০ টাকা পেলেও আমরা নারীরা পাই ১২০-১৫০ টাকা পর্যন্ত। পুরুষের চেয়ে কোনো অংশে কাজ কম করি না বলে মন্তব্য করেন নারী শ্রমিক মালেকা বানু । তার মতো আক্ষেপ করেন ধনেশ্বরী, বটবালা, শেফালী রানীও।

জোসনা আক্তার, বড়দা, সুসমা রানীর মতো শত শত নারীর কর্মব্যস্ততা চোখে পড়বে দিনাজপুরের বৃহত্তর চিরিরবন্দরের নশরতপুর,সাইতাড়া,ভিয়েইল,পুনট্ পুকুরসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায়। দল বেঁধে ১০-১২ জনের গ্রুপ হয়ে বিভিন্ন ইটভাটায় কাজ করছেন তারা। নশরতপুর ইউনিয়নের রহমত ডাক্টার পাড়ার জোসনা আক্তারের দলে দেখা মিলবে ৫০ থেকে ৬০ বছরের বৃদ্ধা বটবালার। ওই নারী শ্রমিকের স্বামী মারা গেছেন কবে ঠিকমত মনে নেই তার। বর্তমানে চারজনের সংসারে ছেলের উপার্জনের সঙ্গে নিজের অর্থও যুক্ত করেন পরিবারে। ইটভাটা মালিক মকবুল জানান, ‘পুরুষ শ্রমিকরা বিভিন্ন এলাকায় যায় কাজ করতে। কাছাকাছি থাকে না। মহিলাগুলো যে কোন সময় কাজের জন্য পাওয়া যায়। তাদের ১২০-২০০ টাকা করে হাজিরা দেই।’ তবে নারী শ্রমিকদের মজুরি তুলনামূলক কম দেওয়া হয় বলেও স্বীকার করেন তিনি।

মানবাধিকার কর্মী নারী শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা মোছ:আরজিনা খাতুন জানান, যাদের ঘর্মাক্ত শরীর আর বিন্দু বিন্দু রক্তের ফোঁটায় তিল তিল করে গড়ে ওঠে মালিকের সম্পদের পাহাড়, সেই শ্রমিকদের দুরাবস্থার কথা যেন শোনার কেউ নেই। এ অঞ্চলের নারীরা অনেক কর্মঠ। শ্রম দেন। কিন্তু সঠিক মজুরি পান না। এ নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করেছি আমরা। এজন্য মালিক ও শ্রমিক দুই পক্ষকে সচেতন হওয়া দরকার।

প্রজন্মনিউজ২৪/নাবিল

এ সম্পর্কিত খবর

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বাঁচবে হাজারও কোটি টাকার সম্পদ

নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চান ন্যান্সি পেলোসি

যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

পঞ্চগড়ে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন'২৪

সিংড়ায় মসজিদের অর্থ আত্মসাৎ ও মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা

আধুনিক ওয়ার্ড গঠনে কাউন্সিলর প্রার্থী হতে চান সোহেল

মসজিদের পিলার খননের সময় মাটির নিচে চাপা পরে একজন নিহত

ভোলার তজুমদ্দিনে চর দখল নিয়ে বিরোধ" দফায় দফায় সংঘর্ষ"খুনের শঙ্কা

কালিমন্দিরে আগুনের ঘটনায় গুজব ছড়িয়ে দুজন নির্মাণশ্রমিককে হত্যা

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১৪

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ