অনলাইন ডেস্ক: ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার পরও ৭ দফা দাবি পূরণ না হওয়ায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, ট্রেজারার ও প্রক্টর অফিসে তালা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিক্ষক নেতাদের উপস্থিতিতে ওই ৩ কার্যালয়ে তালা দেওয়া হয়। এ সময় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন ওই ৩ কর্মকর্তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়।

শিক্ষক সমিতির ৭ দাবির মধ্যে রয়েছে –উপাচার্যের কার্যালয়ে শিক্ষকদের ওপর হামলায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, হামলায় ‘মদদদানকারী’ ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর অপসারণ, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য গেস্টহাউজ অবমুক্ত করা এবং পদোন্নতির আবেদন করা শিক্ষকদের অবিলম্বে পদোন্নতির ব্যবস্থা করা।

এসব দাবি আদায়ে শিক্ষকরা ৩ দফায় ক্লাস বর্জনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। তবে এখন পর্যন্ত প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। সবশেষ শিক্ষকরা দাবি আদায়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান জানান, উপাচার্যকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হলেও তিনি সমাধানের জন্য শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেননি। তাই পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টরকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে তাদের কার্যালয়ে তালা দেওয়া হয়েছে। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তালা থাকবে।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, আন্দোলন চললেও নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা হবে। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ থাকুক। তবে যেভাবে শিক্ষকদের বঞ্চিত করা হচ্ছে, অবৈধ শর্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে– তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজকের এই পদক্ষেপ। আমরা আশাবাদী উপাচার্য এই সংকট নিরসনে এগিয়ে আসবেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন ব্যস্ততা দেখিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবিরও কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

প্রসঙ্গত, কুবি প্রশাসনের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে গত কয়েক মাসে প্রায় ১৩ শিক্ষক বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। 

প্রজন্মনিউজ২৪/এফএইচ