পাইকারি বাজারের বেগুন খুচরা বাজারে ৪গুন

প্রকাশিত: ৩১ জুলাই, ২০২১ ১২:০২:২৫

পাইকারি বাজারের বেগুন খুচরা বাজারে ৪গুন

দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের পাইকারি কাঁচাবাজার বাহাদুর বাজার। পাইকারি বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪ টাকা কেজি দারে। এই বেগুন কিছুটা দূরে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দারে। খুচরা বাজারে শুধু বেগুনই নয়। পেপে, বরবটি, মিষ্টি কুমড়া,কচু, পটোল ঝিঙে, ভেন্ডি, করলা, লাউ সহ বিভিন্ন ধরনের সবজি পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে তিন গুন বেশি দামে। গত বছর করোনার সংক্রমন এরাতে বাহাদুর বাজার থেকে খুচরা বাজার দিনাজপুর গোর-এ শহীদ বড় ময়দানের নিয়ে যাওয়া হয়েছে।  

শুক্রবার সকালে বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারি বাজারে কৃষক এক কেজি বেগুন বিক্রি করছেন ৪ টাকা দরে। বাহাদুর বাজার থেকে ক্রয় করে সেই বেগুন এক কিলোমিটার দূরে দিনাজপুর গোর-এ শহীদ বড় ময়দানের খুচরা বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে সবজি ক্রেতারা বেগুন কিনছেন ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে। দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষক বাইসাইকেলে বা ভ্যানে ভোর ৫ টা থেকে সবজি নিয়ে আসতেছে পাইকারি বাজারে। পাইকারি বাজারে রাস্তার দুই ধারে সারি সারি সবজি সাজানো। এখান থেকে সবজি ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে শহরের বিভিন্ন খুচরা বাজারে। ঈদের পর থেকে পাইকারি বাজারে সব ধরনের সবজির দাম কমলেও খুচরা বাজারে তা দেখতে পাওয়া যাচ্ছেনা। খুচরা বাজারে দাম না কমায় কর্মহীন মানুষেরা বাজার করতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

বাহাদুর বাজার ঘুরে দেখা যায়, করলা প্রতি কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, পেপে ১০ থেকে ১২ টাকা, কচু ১০ থেকে ১৩ টাকা, কাঁকরোল ১৫, ভেন্ডি ৮ থেকে ১০ টাকা, পটোল ১২ টাকা, চুন কুমড়া ১২ থেকে ১৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ১০ থেকে ১৫ টাকা, লাউ ১০ থেকে ১৫ টাকা, বরবটি ২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮ থেকে ১০ টাকা, শসা ১৪টাকা, ধুন্দুল ও ঝিঙে ৭ থেকে ১০ টাকা, পুই শাক ৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

দিনাজপুর গোর-এ শহীদ বড় ময়দানের খুচরা বাজারে দেখা যায়, করলা প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, পেপে ২৫ টাকা, কচু ২৫ থেকে ৪০ টাকা, কাঁকরোল ২৫, ভেন্ডি ১৫ থেকে ২০ টাকা, পটোল ২৫ টাকা, চুন কুমড়া ২০ থেকে ২৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, লাউ ২০ থেকে ৩০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ২০ টাকা, ধুন্দুল ও ঝিঙে ২০ টাকা, পুই শাক ১০ টাকা, টমেটো ১৪০, কাঁচা কলা ১৫ ও শশা ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে আনতে পরিবহন খরচ,পাইকারি বাজারে জমা, দোকানে একজন থাকে তার বেতন সবকিছু মিলে আমাদের খরচ আনেক দ্বারিয়ে যায়। সবজি বিক্রি না হলে তা তো বেশি দিন থাকে না পঁচে যায় তাই খুচরা বাজারে দাম একটু বেশি।
শুক্রবার সকালে বাহাদুর বাজারের পাইকারি বাজারে সবজি বিক্রি করতে এসছেন সদর উপজেলার ঘুঘুডাঙ্গা এলাকার আব্দুল সালাম। তিনি জানান, লকডাউনের জন্য পাইকারি বাজারে সবজির দাম কম। বাহিরে সবজি না যাওয়ায় দাম কমে গিয়েছে। ১৫ শতক মাটি বেশুন লাগাইছি। শুরুর দিকে কিছুটা দাম ছিল এখন পানির দামে দিতে লাগতেছে। কোনো দিন বেগুন কেহ নিতে চায়না ঘুরাই বাসায় নেওয়ার লাগে।
খুচরা বাজারে সবজি ক্রয় করতে এসেছেন রাহেনা খাতুন। তিনি বলেন, পাইকারি বাজারে সবজির দাম কমলেও খুচরা বাজারে দাম কমেনা। প্রশাসন থেকে  মনিটরিং করলে সাধারন মানুষ কিছুটা কম দামে সবজি ক্রয় করতে পারবে।
কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক হানিফ বলেন, লকডউনের জন্য সব ধরনের সবজির দাম দুই মাস থেকেই কম। দিনাজপুরের বাহিরের ক্রেতারাও পাইকারি বাজারে আসতে পারেনা এই জন্য এখানে আমদানি বেশি কিন্তু চাহিদা সেই পরিমানে নেই। সমিতির পক্ষে থেকে আমরা বার বার বলি পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে বেশি দামে সবজি বিক্রি না করা জন্য। এরপরও তারা কথা শুনছেনা। প্রশাসন যদি মনিটরিং বৃদ্ধি করে তাহলে বাজার নিয়ন্ত্রনে আসবে বলে মনে করি।


 প্রজন্মনিউজ/সবুজ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ