কেমন আছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়?

প্রকাশিত: ০৯ জুলাই, ২০২০ ০৩:১৩:০৯ || পরিবর্তিত: ০৯ জুলাই, ২০২০ ০৩:১৩:০৯

কেমন আছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়?

মোঃ ফাহাদ হোসেন : একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে হাজারো তারুণ্যের স্বপ্নময় মুখ। আড্ডায় জমে ওঠা ছোট চায়ের দোকানের কাচের কাপগুলো। সহ -শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যস্ত শিক্ষার্থীদের ব্যস্ততা। কিন্তু যদি সে ক্যাম্পাস সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়, তবে তা একটি বিরানভূমিতে পরিণত হতে সময় লাগে না।

চীনের উহান প্রদেশের শনাক্ত হওয়া করোনা ভাইরাস এখন বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক। লকডাউনের কবলে অর্ধেক পৃথিবী। বাংলাদেশও তার ব্যত্তিক্রম নয়। ১৬ই মার্চ করোনা সতর্কতা হিসেবে বাংলাদেশ সরকার প্রজ্ঞাপন জারি মাধ্যমে ৩১ ই মার্চ পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও ৩১ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করলেও পরবর্তীতে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী বর্তমানে অনিদিষ্ট কালের জন্য  বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রেখেছে।

কেমন আছে উপকূলীয় অক্সফোর্ড খ্যাত নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১ একরের ক্যাম্পাস?  ৬ টি অনুষদের অধীনে প্রায় ৭০০০ শিক্ষার্থীর স্বপ্নভূমি এ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর সেই একাডেমি ভবন, প্রশাসনিক ভবন, লাইব্রেরি আজ জনমানবশূন্য। করোনা সতর্কতায় বন্ধ হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে গেছে আপন নীড়ে।

ক্লাসের ফাঁকে, অবসরে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর সেই শান্তিনিকেতন, প্রশান্তি  পার্ক, গোলচত্বর, নীল দিঘি, হতাশার মোড় আজ বড়ই নিশ্চুপ। হয়ত অপেক্ষায় রয়েছে আবার কবে ফিরে পাবে তার চিরচেনারূপ। বন্ধুদের নিয়ে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আড্ডা টা আজ আর নেই। মহামারী করোনার ছোবলে হারিয়ে গেছে সোনালী স্মৃতিময় আড্ডাগুলো। বন্ধ হয়ে আছে ক্রীড়াপ্রেমী শিক্ষার্থীদের ব্যস্ততাময় ক্রীড়া চর্চা।

শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত সাদা ও লাল  বিআরটিসির বাসাগুলো আজ নীরবে দাঁড়িয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় গ্যারেজে। হঠাৎ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ যেন কেড়ে নিয়েছে তাদের কর্মব্যস্ততাময় দিনগুলো। অথচ কিছুদিন আগেও বাসে সিট ধরার জন্য দৌড়ঝাঁপ ছিল শিক্ষার্থীদের। আজকের চিত্র শুধুই নিরবতা। নিস্তব্ধতায় দাঁড়িয়ে থেকে তার চিরচেনা মুখগুলো আবার ফিরে আসবে বলেই হয়ত অপেক্ষা করছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার আজ নিরবে দাঁড়িয়ে আছে। মাত্র কয়েকদিন আগেও সহ শিক্ষার সাথে যুক্ত শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল কাজে মুখরিত ছিল অডিটোরিয়াম ভবন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার,  গোলচত্বর। সেই কর্মব্যস্ত জায়গাগুলো জনশূন্য। নেই কোনো সৃজনশীল কাজের ব্যস্ততা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতেও নেই কোনো ভিন্নতা। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক উকিল হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল,  বিবি খাদেজা হলগুলোতে আজ নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া কারোই আনাগোনা নেই। সুনসান নিরবতায় ঢেকে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো। আজ মনে একটাই প্রশ্ন,  অপেক্ষার  এ প্রহর কবে শেষ হবে??

মহান সৃষ্টার নিকট এ প্রার্থনা,  সুস্থ দেহের আবার যেন ফিরে আসি এ প্রিয় ক্যাম্পাসে। ক্যাম্পাসে ফিরে আসুক তার প্রিয় চিরচেনা মুখগুলো আবার।শান্তিনিকেতন, প্রশান্তি পার্ক, গোলচত্বর ও হতাশার মোড় আবার একদিন মুখরিত হয়ে উঠবে শিক্ষার্থীদের পদচারণায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের লাল ও সাদা রঙের বাসগুলো ফিরে পাবে তার হারানো কর্মব্যস্ততা। 

প্রজন্মনিউজ২৪/জহুরুল হক

 

 

 

 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined index: category

Filename: blog/details.php

Line Number: 417

Backtrace:

File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/blog/details.php
Line: 417
Function: _error_handler

File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/template.php
Line: 199
Function: view

File: /home/projonmonews24/public_html/application/controllers/Article.php
Line: 87
Function: view

File: /home/projonmonews24/public_html/index.php
Line: 315
Function: require_once

বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ