প্রকাশিত: ০৮ অক্টোবর, ২০২৫ ০৬:২৫:৩১
জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোট আয়োজনের পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
বুধবার বিকাল ৩টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে এ আলোচনা শুরু হয়। বৈঠকে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদারসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।
৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে তৈরি হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ। এর খসড়া চূড়ান্ত হলেও বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে ঐকমত্য হয়নি। বাস্তবায়নের উপায় ঠিক করতে এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করে কমিশন। ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দিন আলোচনা হলেও ঐকমত্য হয়নি।
তবে গত ৫ অক্টোবর গণভোটের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য পোষণ করে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই এই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে-এ ব্যাপারে বিএনপি, এনসিপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত। এক্ষেত্রে বিএনপিসহ সমমনা জোট তাদের আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রকাশ্যে সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট চায়। কিন্তু সূত্র বলছে, নির্বাচনের দিনে গণভোট হলেও তারা আপত্তি করবে না।
এছাড়া এর আগে সংবিধান বিশেষজ্ঞরাও নির্বাচনের দিন গণভোটের সুপারিশ করেছিলেন। সবমিলিয়ে গণভোটের ব্যাপারে কোনো দলের আপত্তি নেই। কিন্তু সেটি সংসদ নির্বাচনের দিন নাকি আগে, সেই সময়টা নিয়ে আরও আলোচনা হবে। আজকের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চূড়ান্ত বৈঠকে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত আসবে।
সবকিছু ঠিক থাকলে নির্ধারিত সময়ে অর্থাৎ অক্টোবরের মধ্যেই জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে দলগুলো।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, জুলাই সনদের ৮৪টি প্রস্তাব। এ ধারাগুলো গণভোটে যাবে না। ব্যালটে উল্লেখ থাকবে, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন হবে কি না? সেক্ষেত্রে ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’-এই সিদ্ধান্তে জনগণ তাদের রায় দেবে। সূত্র আরও জানায়, গণভোট বিশাল ব্যয়বহুল এবং বড় প্রস্তুতির বিষয়। এক্ষেত্রে জাতীয় নির্বাচনের আগে এত ব্যয়বহুল সিদ্ধান্তে সরকার যাবে না। ফলে সংসদ নির্বাচনের দিনই ভিন্ন ব্যালটে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এটি মোটামুটি চূড়ান্ত। এখন আনুষ্ঠানিক ঘোষণার বাকি।
প্রসঙ্গত, জুলাই সনদ চূড়ান্ত হলেও বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে এতদিন রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতা ছিল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চূড়ান্ত সনদে ৮৪টি প্রস্তাবের মধ্যে ২৯টি প্রস্তাব নির্বাহী আদেশে বাস্তবায়ন করা যায়। ২১টি রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে এবং ৩৪টি প্রস্তাব বাস্তবায়নে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। এক্ষেত্রে নির্বাহী আদেশ এবং অধ্যাদেশের মাধ্যমে যেসব প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা যায়, সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের ব্যাপারে সব দল একমত। কিন্তু সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত ধারার ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলো ছিল মুখোমুখি অবস্থানে। বিএনপি চেয়েছিল সংসদ-সদস্যরা সংবিধান সংশোধন করে সনদ বাস্তবায়ন করবে। এছাড়াও সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সুপ্রিমকোর্টের মতামত নেওয়ার পক্ষে মত ছিল দলটির। জামায়াতে ইসলামী চায় আপাতত সংবিধান আদেশ জারি করে সনদ বাস্তবায়ন করা হবে। এরপর নির্বাচনের আগেই গণভোটের মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে সনদ বাস্তবায়ন। এ দাবিতে ইতোমধ্যে রাজপথে আন্দোলনে রয়েছে দলটি।
এনসিপির দাবি ছিল গণপরিষদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন। এ দাবিতে দলগুলো তাদের অবস্থানে অনড় ছিল। কিন্তু গত রোববারের আলোচনায় দলগুলো সেখান থেকে সরে এসেছে। অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলোকে একই প্ল্যাটফর্মে আনতে কমিশনের মেয়াদ ইতোমধ্যে তিন দফা বাড়িয়েছে সরকার। ১৫ অক্টোবর এই মেয়াদ শেষ হবে। তবে ১০ অক্টোবরে মধ্যে সনদ চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন। এক্ষেত্রে আজ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরেক দফা বৈঠকে বসেছে কমিশন। এরপর বৈঠক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে। বাকি আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সনদ চূড়ান্ত করবে।
প্রজন্মনিউজ২৪
নোট অব ডিসেন্টের মাধ্যমে বিএনপির স্বৈরাচার হওয়ার চিন্তাভাবনা বোঝা যায়: তাহের
বরগুনাতে চাঁদা দাবি ব্যবসায়ীকে প্রাণনাশের হুমকি
ফের জামায়াত আমির নির্বাচিত হলেন শফিকুর রহমান
বড় দলের ‘দয়া’ নিয়ে মাঠে নামা প্রার্থীদের সতর্ক করে যা বললেন পিনাকী ভট্টাচার্য
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের সুযোগ নেই: মির্জা ফখরুল
ইসির প্রতীক তালিকায় যুক্ত হলো শাপলা কলি
বিএনপির এখন ‘না’ বলার কোনো অপশন নাই: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
হ্যাঁ’ এবং ‘না’ পোস্টে কেন ফেসবুকে তোলপাড়...
গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ফেলো নির্বাচিত হলেন বাংলাদেশের রনি
১৫ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার