মাটির পাত্রে পানি পানে যে উপকারিতা

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ, ২০২৫ ০২:৫৪:০৭

মাটির পাত্রে পানি পানে যে উপকারিতা

প্রজন্মডেস্ক: কয়েক ফোঁটা অমৃতও শরীরের সব রোগ নিরাময় করতে পারে। আর মাটির কলসির পানিকে অমৃতের মতো মনে করা হয়। কারণ এটি যে ছয় উপকারিতা দেয়, তা অমৃত পাওয়ারই সমান। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে। গ্রীষ্মকালে যদি আপনি মাটির পাত্রে পানি পান করেন, তা হলে আপনি গরমের কারণে সৃষ্ট অনেক সমস্যা এড়াতে পারবেন। বংশ পরম্পরায় বাড়িতে পানি সংরক্ষণের জন্য মাটির পাত্র অর্থাৎ কলসি ব্যবহার করা হয়ে আসছে। আজও এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা এই মাটি দিয়ে তৈরি পাত্রে পানি পান করে থাকেন।

জেনে নিন মাটির পাত্রে পানি পান করার  যে ছয় উপকারিতা

গ্রীষ্মকালে মানুষ তৃষ্ণা মেটাতে সাধারণত ফ্রিজের পানি পান করতে পছন্দ করেন। কিন্তু আপনি জানেন কি মাটির তৈরি এই পাত্রে অনেক প্রাকৃতিক গুণাগুণ পাওয়া যায়, যা আপনার শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং অনেক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা অর্জনে সাহায্য করে। 

আসলে মাটিতে অনেক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা পাওয়া যায়। তাই মাটির পাত্রে পানি রাখলে তা মাটির বৈশিষ্ট্য অর্জন করে। তাই মাটির পাত্রে রাখা পানি আমাদের সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


মাটির পাত্র থেকে পানি পান করলে পানির পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় থাকে। পাত্রের মাটি পাত্রে ক্ষারীয় বৈশিষ্ট্য যোগ করে, যা অ্যাসিডিটি নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে। এটি পেটের ব্যথা উপশম করতে পারে এবং শরীরের অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে।

এ ছাড়া গলা ও পেট খারাপ হবে না। সাধারণত গ্রীষ্মকালে আমাদের ঠান্ডা পানি পান করার ইচ্ছা হয় এবং আমরা রেফ্রিজারেটর থেকে ঠান্ডা পানি নিয়ে তা পান করি। কিন্তু অতিরিক্ত ঠান্ডা হওয়ার কারণে এটি হঠাৎ করে গলা এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ ঠান্ডা করে শরীরের ওপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। গলাব্যথা হয়। কিন্তু তার পরিবর্তে মাটির পাত্রের পানি কোষ্ঠকাঠিন্য সৃষ্টি করে না এবং ত্বক উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। গলা এবং পেট খারাপ হয় না।

এ ছাড়া শরীরে ক্লান্তি থাকবে না। গ্রীষ্মকালে মাটির পাত্রের পানি পান করলে কোনো ধরনের ক্লান্তি লাগে না। এই পানি খেলে মাথাব্যথার সমস্যা থেকেও অনেকাংশে মুক্তি পাওয়া যায়। মাটির পাত্রের পানি আপনাকে প্রচণ্ড গরমেও ঠান্ডা রাখে। মাটির তৈরি পাত্রটিতে ছোট ছোট গর্ত রয়েছে। এই গর্তগুলো এতটাই ক্ষুদ্র যে, খালি চোখে দেখা যায় না। পানির শীতলতা বাষ্পীভবন প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে। যত বেশি বাষ্পীভবন হবে, পানি তত বেশি ঠান্ডা হবে। এই ছোট ছোট গর্ত দিয়ে পাত্রের পানি একটু একটু করে বেরিয়ে আসে। তাপের ফলে পানি বাষ্পে পরিণত হয়। আর বাষ্প তৈরি করতে পাত্রের পানি থেকে তাপ নিষ্কাশনের প্রয়োজন হয়। এই পুরো প্রক্রিয়ায় পাত্রের তাপমাত্রা কমে যায় এবং পানি ঠান্ডা থাকে।

আর কাদামাটির বিশুদ্ধকরণের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে— শরীরের বিষাক্ত পদার্থ শোষণ করার ক্ষমতা। এটি সব বিষাক্ত পদার্থ শোষণ করে এবং এর পাত্রে পানিতে সব প্রয়োজনীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট থাকে। গ্রীষ্মে সুস্থ থাকতে চাইলে মাটির পাত্রের পানি খাওয়া।


প্রজন্মনিউজ/২৪জেএ

এ সম্পর্কিত খবর

শিল্পী মানবেন্দ্রর বাড়িতে আগুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৮ জন কারাগারে

যে কারণে চট্টগ্রামের ৫০ কারখানা সাময়িক বন্ধ

আবারও কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়লেন নেইমার

গাজায় ৪৫ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ইসরাইলের

আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্প, কেঁপে উঠল দিল্লিও

টিউলিপের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাইবে বিএনপি

বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যুবদলের হামলা, মূল অভিযুক্ত বললেন, ‘আমাদের ভুল হয়ে গেছে’

এসএসসি পরীক্ষার্থীর হাতে মোবাইল, কেন্দ্র সচিবসহ ৩ শিক্ষক বহিষ্কার

কুয়েটে বহিষ্কারাদেশ থেকে নির্দোষ শিক্ষার্থীদের অব্যাহতির দাবি ছাত্রশিবিরের

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ