চোখের জলে বুয়েট শিক্ষার্থী লামিসাকে শেষ বিদায়

প্রকাশিত: ০১ মার্চ, ২০২৪ ০৪:২২:৪১

চোখের জলে বুয়েট শিক্ষার্থী লামিসাকে শেষ বিদায়

প্রজন্ম ডেস্ক: রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফরিদপুরের লামিসা ইসলামকে (২৩) চোখের জলে শেষ বিদায় জানিয়েছেন স্বজনরা। শুক্রবার (১ মার্চ) ফরিদপুর শহরের চকবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার নামাজের পর জানাজা শেষে দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে লামিসার মরদেহ শহরের আলীপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। 

জানাজা নামাজ পরিচালনা করেন চকবাজার মসজিদের খতিব ও শহরের পশ্চিম খাবাসপুর মহল্লার শামসুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি মো. কামরুজ্জামান।

নিহত লামিসা বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড ক্যারিয়ার প্ল্যানিং-১) মো. নাসিরুল ইসলামের মেয়ে তিনি। নাসিরুল ইসলাম পুলিশ হেডকোয়ার্টারে কর্মরত রয়েছেন। লামিসাসহ তিনি দুই কন্যা সন্তানের বাবা তিনি। ২০১৮ সালে অসুস্থাজনিত কারণে তার স্ত্রী মারা যান। এরপর তিনি আর বিয়ে করেননি। 

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি লাশবাহী ফ্রিজিং ভ্যানে লামিসার মরদেহ শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলি মহল্লার একতলা বিশিষ্ট বাড়ি স্বর্ণলতার সামনে আনা হয়। এ সময় স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। সেখানে আগে থেকেই ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানা পুলিশসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ৮-১০টি টহল গাড়ি ছিল। লাশবাহী ফ্রিজিং ভ্যানটি বাড়ি সংলগ্ন খোলা জায়গায় সামিয়ানা টানিয়ে রাখা হয়। বাড়ির সামনের রাস্তায় প্লাস্টিকের চেয়ারে স্বজন ও সমকর্মীদের নিয়ে বসেন লামিসার বাবা নাসিরুল ইসলাম। তিনি চুপচাপ শান্ত হয়ে বসে ছিলেন। অনেক স্বজন-সহকর্মী এসে তার আশপাশের চেয়ারে বসেন। তবে তিনি মেয়ের শোকে এতটাই নিশ্চুপ হয়ে গেছেন যে কারও সাথে কথা বলেননি। তার প্রতিবেশী ও সহকর্মীরাও চুপচাপ বসে ছিলেন। 

এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফিজিং ভ্যানসহ মরদেহ নিয়ে আত্মীয়-স্বজন জানাজার জন্য রওনা হয় ফরিদপুর চকবাজার জামে মসজিদের দিকে। সেখানে দুপুর আড়াইটার দিকে জানাজা শেষে আলীপুর গোরস্থানে লামিসার মরদেহ দাফন করা হয়।

ফরিদপুরের দক্ষিণ ঝিলটুলি মহল্লার বাসিন্দা বেগম হিরোন নাহার (৫৪) প্রজন্ম নিউজকে বলেন, লামিসা এবং রাইসা দুই বোন। বিভিন্ন ছুটিতে এলাকায় আসলে দেখতাম খুব শান্তশিষ্ট মেয়ে। নাসিরুল ভাই এতো বড় পদের কর্মকর্তা হলেও তিনি কোমল হৃদয়ের মানুষ। ওরা দুই বোন বাবার মতই হয়েছিল।

একই এলাকার বাসিন্দা ওয়াদুদ মিয়া (৫৯) প্রজন্ম নিউজকে বলেন, ২০১৮ সালে স্ত্রী মারা যাওয়ার পর নাসিরুল ভাই দ্বিতীয় বিয়ের চিন্তাও করেননি। বাবা হয়ে একাই বাবা-মায়ের আদর স্নেহ দিয়ে বড় করেছেন মেয়ে দুটিকে। আল্লাহ উনাকে কি কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি দাঁড় করালো।

স্থানীয়রা জানান, লামিসা খুব মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। বুয়েটে পড়াশোনা করছিলেন। আগুন আজ সব শেষ করে দিল। 

প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত গ্রিন কজি কটেজ ভবনে আগুন লাগে। এতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


প্রজন্মনিউজ২৪/এইচআরসি

এ সম্পর্কিত খবর

খুলনার নর্দান ইউনিভার্সিটিতে টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটির পরিদর্শন এবং "সেন্টার অব এক্সিলেন্স" এর উদ্বোধন

পবিপ্রবি ও ভারতের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি

খুলনা হাতপাখা ও ঠান্ডা পানি পেয়ে স্বস্তিতে শ্রমিকরা

বশেমুরবিপ্রবিতে গুচ্ছভুক্ত ‘এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

নোবিপ্রবিতে " এ " ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতি হার ৮৭•৮৫ শতাংশ

পবিপ্রবিতে জিএসটি গুচ্ছভুক্ত 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

আগামী দুইদিন তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙতে পারে

নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হাবিপ্রবি কেন্দ্রের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা

চরফ্যাসনে বৃষ্টির প্রত্যাশায় ইসতিসকার নামাজ আদায়

চিফ হিট অফিসার ডিএনসিসির কেউ নন : মেয়র আতিক

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ