পুলিশ কনস্টেবলের বাড়িতে ৩ দিন ধরে প্রেমিকার অনশন!

প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১১:০৩:২৫

পুলিশ কনস্টেবলের বাড়িতে ৩ দিন ধরে প্রেমিকার অনশন!

প্রজন্ম ডেস্ক: ডিএমপিতে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল রাব্বি আল মামুনের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে ৩ ধরে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন প্রেমিকা। এমনকি ওই পুলিশ সদস্যের সঙ্গে বিয়ে না দিলে আত্মহত্যা করবেন বলেও হুমকি দিচ্ছেন ওই তরুণী। ৩ দিন ধরে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সহায়তা চাইলে কোনো সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এ ঘটনায় বাড়ি থেকে লাপাত্তা প্রেমিক পুলিশ সদস্য রাব্বি আল মামুন ও তার পরিবার।

রাব্বি লালমনিরহাট কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নে দক্ষিণ ঘণেশ্যাম এলাকার তফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি ডিএমপিতে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। 

এলাকাবাসী জানান, গত রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ওই তরুণী পুলিশ কনস্টেবল রাব্বি আল মামুনের বাড়িতে আসেন। পরে বাড়ি লোকজন তাকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় ওই তরুণী সেখানে বসে পড়লে বাড়ির লোকজন পালিয়ে যান। এ ঘটনার পর থেকে কালীগঞ্জ থানায় একাধিকবার জানালেও কেউ আসেনি। টানা তিনদিন ধরে ওই তরুণী বাড়ি সামনে খোলা আকাশের নিচে বসে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন।

ওই তরুণী জানান, গত বছর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রাব্বি আল মামুনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে শুরু হয় প্রেমের সম্পর্ক। কিছুদিন পরেই  বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন মামুন। এমনকি ছুটি নিয়ে ঢাকার বিভিন্নস্থানে তাকে নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন। 

ওই তরুণী আরো জানান, কিছুদিন আগে মামুন তার বাড়িতে সম্পর্কের বিষয় জানিয়েছেন। কিন্তু তার পরিবার রাজি না। এই পরিস্থিতিতে আমার বিয়ে না হলে তিনি আত্মহত্যা করবেন বলেও জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রেমিক রাব্বি আল মামুন (বুলবুল) বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। নিজেদের অন্তরঙ্গ ছবি এবং বিভিন্ন ভয়েস রেকর্ড প্রমাণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার এবং যা ইচ্ছে তাই লেখার কথা বলেন।

তুষভান্ডার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি, স্থানীয় ইউপি সদস্যকে যেতে বলেছি। পরে কি হয়েছে এ বিষয়ে এখন পযন্ত কোনো খবর পাইনি। খোঁজ নিয়ে পরে আপনাদের জানানো হবে বলেও ইউপি চেয়ারম্যান জানান। 

এ বিষয়ে কালিগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির বলেন, পুলিশের ওপর সবাই দোষ দিতে জানে। এ বিষয় আমি শুনেছি। মেয়েটির অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশ সদস্য বলে কোনোভাবে পার পাওয়ার সুযোগ নেই।


প্রজন্মনিউজ২৪/এইচআরসি

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ