দাদনে জিম্মি জেলেরা

প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০২:৫২:২২

দাদনে জিম্মি জেলেরা

খুলনা প্রতিনিধি: বছরের পর বছর মহাজনের দাদন নিয়ে চলে জেলেদের সংসার। এই দাদন পরিশোধ করতে করতে নিঃস্ব হয়ে বাড়ি ফেরেন তারা। সুন্দরবনের কুঙ্গা ও মরা পশুর নদের মাঝে বিচ্ছিন্ন শুটকি পল্লী দুবলার চর। আলোরকোল, হলদিখালি, কবরখালি, মাঝেরকিল্লা, অফিসকিল্লা, নারকেলবাড়িয়া, ছোট আমবাড়িয়া এবং মেহেরআলির চর জুড়ে এই জেলে পল্লী। মাছ ধরে জীবন নির্বাহ করলেও দাদন নিয়ে মহাজনদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন খুলনা বিভাগের বিপুল সংখ্যক জেলে।

সরেজমিনে জানা গেছে, সুন্দরবনের কুঙ্গা ও মরা পশুর নদের মাঝে বিচ্ছিন্ন শুটকি পল্লী দুবলার চর। আলোরকোল, হলদিখালি, কবরখালি, মাঝেরকিল্লা, অফিসকিল্লা, নারকেলবাড়িয়া, ছোট আমবাড়িয়া এবং মেহেরআলির চর জুড়ে এই জেলেপল্লি । প্রত্যেক বছরে মাত্র পাঁচ মাসের জন্য কর্মচঞ্চল হয়ে ওঠে এই পল্লীটি। মনের ভেতরে স্বপ্ন বুনে জেলেরা দুবলার চরে আসেন। জীবনটা হাতের মুঠোয় নিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরেন। সেই সঙ্গে শুঁটকি শোকানোর কাজও চলে। রাত-দিন অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্যেই কেটে যায় দুবলার মৌসুমী এই পাঁচ মাস। চওড়া সুদে ঋণ ও দাদন নিয়ে জেলারা দুবলায় মাছ-শুটকি কর্মযজ্ঞ শুরু করেন। মৌসুম শেষে কেউ কেউ লাভের মুখ দেখলেও অধিকাংশই লোকসান বোঝা নিয়ে বাড়ি ফেরেন।

র‌্যাব- ৬ এর পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফিরোজ কবির বলেন, বিভিন্ন সময় জেলেদের ঠকিয়ে মধ্যস্বত্বভোগীদের সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে মৎস্য আহরণের সময় কম মূল্যে মাছ কিনে সেটি বেশি মূল্যে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে। এ রকম অভিযোগ আমরা মৌখিক ভাবে পেয়েছি। আমরা সব সময় কাজ করে যাচ্ছি। যদি লিখিতভাবে অথবা সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ পাই, সেক্ষেত্রে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


প্রজন্মনিউজ২৪/এসআই

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ