স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য 

প্রকাশিত: ২৬ মার্চ, ২০২৩ ০২:৪৪:২৪ || পরিবর্তিত: ২৬ মার্চ, ২০২৩ ০২:৪৪:২৪

স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য 

সাইফুল্লাহ সাকিব: 'স্বাধীনতা' মানে একটি স্বপ্ন, ছেলে হারা মায়ের কান্না, সম্ভ্রম হারা বোনের নিঃশব্দ আর্তনাদ, রণাঙ্গনে তরুণের অসীম লড়াই। বাংলার মানুষের এ লড়াই নতুন কিছু নয় বরং নিজের অধিকার ফিরে পেতে সব সময় তাদেরকে লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। 

১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজউদৌলার পতনের মধ্যে দিয়ে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়। কিন্তু ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের যাত্রা আবারো শুরু হয়। এর পর থেকে বাংলার মানুষ বার বার অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। অগণিত মানুষের ত্যাগের বিনিময়ে ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান নামে দুইটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়। অবসান ঘটে দুই শত বছরের ইংরেজদের শোষণ-নিপীড়নের। 

পাকিস্তান সৃষ্টির পরেও এ সংগ্রাম থেমে থাকেনি। শুরু হয় নতুন শাসক গোষ্ঠীর সঙ্গে লড়াই। পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী আমাদের শোষণের আরেক নতুন শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে। আমাদের ন্যায্য অধিকার তারা  ছিনিয়ে নেয়। শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে সালাম, রফিক, জব্বার, বরকতের আত্মত্যাগ বাঙালিকে নতুন করে জাগ্রত করে। এরপর ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৬-দফা দাবির মাধ্যমে বাঙালি খুঁজে পায় মুক্তির পথ। এই পথ ধরে ১৯৭১ সালের ৭-ই মার্চের ভাষণ "এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম" মুক্তিকামী জনতাকে আন্দোলিত করে। ২৫-শে মার্চ কালো রাতে ঘুমন্ত নিরীহ মানুষদের উপর নৃশংস গণহত্যা চালায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এ ঘোষণার সাথে সাথেই বাংলার তরুণ-যুবক ছাত্র জনতাসহ সকল শ্রেণীর মানুষ মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মুক্তিযুদ্ধে বাংলার বঞ্চিত শোষিত জনতা আরেকদফা মরণপণ লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পায় একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। ২৬ মার্চ আমাদের প্রেরণা, ঐতিহ্য ও গৌরবময় অধ্যায়। 

এই 'স্বাধীনতা' মাধ্যমে অর্জিত হয় একটি পতাকা, যা লাখো শহীদের রক্তে খচিত।  

স্বাধীনতার প্রত্যয় ছিল একটি বৈষম্যহীন সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা। কিন্তু স্বাধীনতার পরে পাঁচ দশকের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও সে স্বপ্ন আজও অধরায় থেকে গেছে। 

এখনো রাষ্ট্রে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার পরিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সীমাহীন দুর্নীতি দেশের অগ্রযাত্রায় প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতি সকল শ্রেণী পেশার মানুষের জীবনযাত্রাকে কঠিন করে তুলেছে। শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেলেও গুণগত মান ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। গ্রামে গঞ্জে সামাজিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে। দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণি শিক্ষা-চিকিৎসার মতো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। 

তবে এ লক্ষ্য অর্জনে সরকারের বহুমুখি  উদ্যোগ প্রশংসিত। সরকারের পাশাপাশি আমাদের সকল স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে আমরা দুর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলা স্বপ্ন পূরণ করতে পারবো। 

প্রজন্মনিউজ২৪/এনএ
 

এ সম্পর্কিত খবর

খুবিতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ হবে

মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

অবশেষে আল–জাজিরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো ইসরাইল

হংকংয়ের ৪৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা

ফরিদপুরে ২৬ শে মার্চ উপলক্ষে বর্ণিল আয়োজনে উদযাপিত হয় মহান স্বাধীনতা দিবস

শরীয়তপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ২৬ মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

সিংড়ায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস

বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিলে বলেই বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম: এনামুল হক শামীম

খুলনায় বিএনপির মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ