প্রকাশিত: ১৬ অগাস্ট, ২০২২ ১০:৩০:৪৮
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি আমাদের এই বাংলাদেশ। প্রতিটি ঋতুতেই প্রকৃতি বিভিন্ন রুপে সাজে এবং তাদের সৌন্দর্য দিয়ে মুগ্ধ করে বাংলার প্রতিটি মানব হৃদয়কে। কখনো শীতের কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে চারদিক আবার কখনও বৃষ্টি নিয়ে আসে বর্ষাকাল। আষাঢ় ও শ্রাবণ মিলে হয় বর্ষাকাল। পৃথিবী যখন ধুলাবালিতে পরিপূর্ণ তখন এক পশলা বৃষ্টি সকল ধুলাবালি ও অপরিচ্ছন্নতাকে স্নান করে প্রকৃতি দান করে স্নিগ্ধতা। এ সময় মুষলধারে বৃষ্টি হয়,নদ-নদী,খাল-বিল,পথ-ঘাট পানিতে টুইটুম্বর, গাছে গাছে ফোটে কদম,কেয়া,বকুল আর নদী ও খালবিলে ফোটে শাপলা,পদ্ম। বর্ষার ফলে ফসলের মাঠ হয়ে উঠে উর্বর এবং গাছে গাছে দেখা যায় নতুন পত্রপল্লব।
বর্ষাকাল বাংলার মানুষের জীবনে নিয়ে আসে সুখ ও আনন্দের বার্তা। বর্ষায় প্রিয়জনের শূন্যতাকে বাড়িয়ে তোলে। এজন্য বর্ষাকে ভালোবেসে কবিরা লিখেছেন বিভিন্ন ধরনের গান,কবিতা ও গল্প। কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ তার প্রিয়তমাকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন --
" যদি মন কাঁদে
তুমি চলে এসো, চলে এসো
এক- বরষায়।"
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখন বছরে ৬ টি ঋতু দেখা যায় না। বাংলাদেশে এখন প্রধান ৩ টি ঋতু। গরমের সময় অর্থাৎ গ্রীষ্মকালে তেমন গরম নেই বরং পড়ছে শীত।আবার শীতকালে নেই তেমন শীত, হচ্ছে ঘনঘন বৃষ্টি অন্যদিকে বর্ষাকালে নদ-নদীতে নেই পানি ফলে মাঠঘাট ফেঁটে চৌচির। প্রকৃতির সেই সৌন্দর্য এখন আর মানুষের নজর কাড়ে না।
বর্ষাকালে দেখা যাচ্ছে, শরতের স্বচ্ছ আকাশ আর গ্রীষ্মের তাপমাত্রা। বর্ষার সময় যেখানে মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার কথা সেখানে দেখা দিচ্ছে গ্রীষ্মের রৌদ্রদাহের মতো প্রচন্ড গরম। বর্ষায় আকাশে ঘন কালো মেঘে ভরে যাওয়ার কথা সেখানে দেখা দিচ্ছে ঋতুর রানি শরতের আকাশ। ভেঁজা তুলোর মতো মেঘদল বেঁধে ভেসে বেড়াচ্ছে স্বচ্ছ নীল গগনে।সারাদিন রোদের তাপে ঘাসের পানি শুকিয়ে গিয়ে ঘাস শুষ্ক হয়ে যায়। সকালবেলা সেই শুষ্ক ঘাসের উপর জমে থাকে ফোটা ফোটা শিশির বিন্দু। মাঝে মাঝে অতি অল্প সময়ের জন্য বৃষ্টি হয়। প্রকৃতি হয় কোমল,শান্ত-স্নিগ্ধ,উদার। পুকুর ও বিলে হাসছে সাদা শাপলা। শরতকালের বৈশিষ্ট্যগুলো বর্ষাকালে দেখা যাচ্ছে।
প্রচন্ড গরমে মানুষের নাজেহাল অবস্থা। এ সময় অতিরিক্ত তাপের কারনে ঘরে অবস্থান করাও কঠিন হয়ে পড়ছে। ঘনঘন লোডশেডিং এর ফলে মানুষের জনজীবন হয়ে পড়ছে দুর্বিষহ। অতিরিক্ত তাপের ফলে মানুষের শরীর থেকে অ্যাপোক্রাইন গ্রন্থিগুলো হতে ঘান নির্গত হচ্ছে। এজন্য মানুষ, পশুপাখি, জীবজন্তুুসহ প্রত্যেকের বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। শিশুদের বিশেষ যত্নে রাখতে হবে।
লেখিকা: রুমা আক্তার
গর্ভমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সাইন্স।
প্রজন্মানিউজ ২৪/ইজা
চুয়াডাঙ্গায় আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি
পার্বতীপুরে তীব্র তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে ইস্তেস্কার নামাজ আদায়
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বাঁচবে হাজারও কোটি টাকার সম্পদ
রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ
অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে কৃষকের জনজীবন
তীব্র গরমের মধ্যেই শিলাবৃষ্টির আভাস
পঞ্চগড়ে বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ আদায়
বোরহানউদ্দিনে পুলিশের পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ