প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর, ২০২০ ০৩:৩৯:২৭
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতে দেখা দিতে পারে মহামারি করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ। আর এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে আক্রান্তের সংখ্যাও।
করোনা থেকে নিরাপদে থাকতে এখনই সচেতন হতে হবে আমাদের। আর জানতে হবে কখন ঝুঁকি বাড়ে, আক্রান্ত ব্যক্তিকে কখন হাসপাতালে নিতে হবে, এমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়।
যেমন, করোনায় আক্রান্ত রোগীর শরীরের অন্যতম উপসর্গ হচ্ছে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়া। যার ফলে শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে। খুব সহজে অক্সিজেনের মাত্রা দেখা যায় অক্সিমিটারের সাহায্যে। এই যন্ত্রটি আঙুলের ডগায় লাগালেই পরীক্ষা সম্ভব এটি দিয়ে হার্টবিটও মাপা যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একজন সুস্থ মানুষের ৯৬ থেকে ৯৮ শতাংশ অক্সিজেন ওঠানামা স্বাভাবিক। কিন্তু তা ৯০-এর নিচে নামলেই শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে।
মাথা, বুক ব্যথা ও হার্টবিট বেড়ে যেতে পারে শরীরের অক্সিজেন কমে গেলে। সুস্থ থাকলে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৫-এর নীচে গেলেও চিন্তার কারণ নেই। তবে করোনা বা অন্য কোনো রোগ থাকলে ৯৪ থেকে কমলেই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
এই পরীক্ষার জন্য মধ্যমা প্রধান হলেও, তর্জনী বা বুড়ো আঙুলও ব্যবহার হয়। এমনিতে দিনে দু’বার, আর করোনা হলে প্রতি চার থেকে ছয় ঘণ্টা অন্তর পরীক্ষা করতে পারেন। তবে আঙুল ঠাণ্ডা হলে বা জ্বর হলে অনেক সময়েই ভুল রিডিং আসতে পারে, সে ক্ষেত্রে একটু বিরতি দিয়ে আবার মাপতে হবে। এছাড়া অক্সিমিটারের ব্যাটারি স্লো হয়ে গেলে বা নখে নেইলপলিশ থাকলেও সঠিক রিডিং নাও আসতে পারে।
ছোট যন্ত্রটি কীভাবে কাজ করে? ক্লিপ দিয়ে বসানো যন্ত্রটির এক অংশ শরীরের রক্তের ভেতর দিয়ে আলো ছড়ায়, যা অপর অংশ আবার গ্রহণ করে। রক্তে ভেতর দিয়ে আলো চলাচলের সময় তার কতটুকু রক্তে শোষিত হয়েছে, সেটির পরিমাপ হিসাব করে নির্ণয় হয় রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা।
ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ ও দীর্ঘমেয়াদি ফুসফুস কিংবা হৃদরোগে ভুগলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই এসব রোগীর উচিত রক্তে অক্সিজেনের মাত্রার দিকে নজর রাখতে অক্সিমিটার সঙ্গে রাখা।
বাজারে এখন অনেক ধরনের অক্সিমিটার পাওয়া যায়। এগুলোর দাম ১০০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে।
প্রজন্মনিউজ২৪/সাখাওয়াত
সালাম মুর্শেদির গুলশানের বাড়ি সরকারের নিকট হস্তান্তরের নির্দেশ
প্রক্টর অফিসে তালা ঝুলানোর হুশিয়ারি জবি শিক্ষার্থীদের
বিএনপির নেতারা ক্লান্ত, কর্মীরা হতাশ: ওবায়দুল কাদের
২০২৩ সালে বায়ুদূষণে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
মৌলিক চাহিদা মেটাতে ঋণ করে ২৬% পরিবার
নানা কর্তৃক প্রতিবন্ধি নাতনি ধর্ষণের শিকার