সমুদ্রে বিশ্বের বৃহত্তম উভচর বিমানের সফল পরীক্ষা চালাল চীন

প্রকাশিত: ২৭ জুলাই, ২০২০ ০৩:১২:৫১

সমুদ্রে বিশ্বের বৃহত্তম উভচর বিমানের সফল পরীক্ষা চালাল চীন

 সমুদ্রে বিশ্বের বৃহত্তম উভচর বিমানের সফল উড্ডয়ন সম্পন্ন করেছে চীন। এজি৬০০ নামের দূরপাল্লার এই বিমানের বহন-ক্ষমতা অনেক। বিমানটি জটিল আবহাওয়াতেও উড়তে সক্ষম।

স্থানীয় প্রযুক্তিতে স্থানীয়ভাবে তৈরি এই বিমানটি গত ২৬ জুলাই সকালে পূর্ব চীনের শানতুং প্রদেশের ছিংতাওয়ে সমুদ্রের ওপরে সফলভাবে উড়েছে।

বিমানটি ছিংতাওয়ের সমুদ্র থেকে সকাল ১০টা ১৮ মিনিটে উড্ডয়ন করে এবং সফলভাবে প্রায় ৩১ মিনিটের টেস্ট ফ্লাইট সম্পন্ন করে।

রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান নির্মাতা কোম্পানি এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশান অব চায়না (এভিক) এসব তথ্য জানিয়েছে।

সমুদ্র থেকে বিমানটির সফল পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন ও টেস্ট ফ্লাইট সম্পন্ন করাকে এর আরও উন্নয়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে ২০১৭ সালে বিমানটি প্রথম আকাশে ওড়ে এবং ২০২৮ সালে একে একটি জলাশয় থেকে পরীক্ষামূলকভাবে আকাশে ওড়ানো হয়।

এখন সমুদ্র থেকে টেস্ট ফ্লাইট সম্পন্ন হবার পর বিমানটিকে আরও বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই কেবল একে আনুষ্ঠানিকভাবে অপারেশনে নামানো হবে।

এজি৬০০ চীনের নিজস্ব প্রযুক্তিতে ও স্থানীয়ভাবে তৈরি বৃহৎ পরিসরের ‘বিমান পরিবারের’ সদস্য। এই পরিবারের কোড নেম হচ্ছে ‘খুনলুং’। এই পরিবারের অন্য দুই সদস্য হচ্ছে ওয়াই-২০ এবং সি-৯১৯। এর মধ্যে ওয়াই-২০ সুপরিসর পরিবহন বিমান। আর সি-৯১৯ হচ্ছে একক করিডোর সুপরিসর যাত্রীবাহী বিমান।

দাবানল নেভানো, সমুদ্রে উদ্ধার-অভিযান চালানো ও অন্যান্য জটিল উদ্ধার-অভিযান চালানোর উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে এজি৬০০। বিশেষ মিশনের জন্য উপযোগী করে তৈরি চীনের প্রথম সুপরিসর বেসামরিক বিমান এটি। ২০০৯ সালে এজি৬০০ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছিল। বিমানটি ভূমি থেকে উড্ডয়ন ও ভূমিতে অবতরণের পাশাপাশি সমুদ্র থেকে উড্ডয়ন ও সমুদ্রে অবতরণ করতে পারবে।

প্রতিবারে বিমানটি ১২ টন পানি বহন করতে সক্ষম। আর এই পানি চার হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে ছিটিয়ে আগুন নেভানো সম্ভব। প্রয়োজনে এটি খুব নিচ দিয়ে উড়তে পারবে এবং একই সঙ্গে অন্তত ৫০ জন বিপন্ন মানুষকে উদ্ধারও করতে সক্ষম হবে। বিমানটিকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে প্রয়োজনে এতে সংযোজন বা বিয়োজন করা যায়। অর্থাৎ কাস্টমারের চাহিদা অনুসারে বিমানে বিভিন্ন উপাদান যোগ করা বা বাদ দেয়া যাবে।

বিমানটিকে আরও কার্যকর ও জটিল উদ্ধার-মিশনের জন্য আরও উপযোগী করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছে নির্মাতা কোম্পানি এভিক। শুধু আগুন নেভানোর কাজে লাগবে এমন এজি৬০০ টাইপ বিমান তৈরির কাজও করছে নির্মাতা কোম্পানি। এই বিশেষ টাইপের বিমান নির্মাণের কাজ ২০২৩ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করছে বিমান নির্মাতা কোম্পানিটি।

প্রজন্মনিউজ২৪/জহুরুল হক

 

এ সম্পর্কিত খবর

কাশ্মীর উপত্যকায় উত্তেজনা, সেনা অভিযানে একজন নিহত

এক মিনিটেই তাদের বিসিএসের স্বপ্নভঙ্গ

গাজীপুরে চিরকুট লিখে স্বামী-স্ত্র‌ীর আত্নহত্যা

তীব্র গরমে ঢাকার বাতাসের কী খবর

হাবিপ্রবি সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বাঁচবে হাজারও কোটি টাকার সম্পদ

৭ দাবিতে কুবি’র তিন দপ্তরে শিক্ষক সমিতির তালা

ইসরায়েল থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের দাবিতে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চুয়েট, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

বশেমুরবিপ্রবিতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ