প্রকাশিত: ২৮ মে, ২০২০ ০৮:৪০:১৪
আজ বুধবার রাতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন প্রথম আলোকে সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন এই নির্দেশনা দিয়েছেন। গণপরিবহনে কতজন যাত্রী চলবে, তা ঠিক করবে স্থানীয় প্রশাসন।
এর আগে আজ বিকেলে সিদ্ধান্ত হয়, সরকারি ছুটি আর বাড়ছে না। সীমিত আকারে সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত এবং শিল্প-কলকারখানা খুলে দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব কর্মকাণ্ড চালাতে হবে। তখনই বলা হয়েছিল গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান ও ট্রেন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকছে। অবশ্য কর্মস্থলে যাওয়ার গাড়ি ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলতে পারবে। এ ছাড়া কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিমান চলাচল করতে পারবে। কিন্তু গণপরিবহন বন্ধ রেখে অফিসে চলাচলসহ অন্যান্য বিষয়ে কী হবে, সেটি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়।
করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি চলছে। ইতিমধ্যে সাত দফায় ছুটি বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বাড়ানো হয়। এক মাস রোজা শেষে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়ে গেল দুদিন আগে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সর্বশেষ ঘোষিত সাধারণ ছুটিও শেষ হচ্ছে তিন দিন পর, ৩০ মে। এ অবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে ছুটির বিষয়ে এমন সিদ্ধান্ত এল।
আজ বিকেলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী প্রথম আলোকে বলেন, ৩০ মে ছুটি শেষ হচ্ছে। এরপর নাগরিক জীবনের সুরক্ষা নিশ্চিত করে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্থনৈতিক কমকাণ্ড এবং অফিস-আদালত সীমিত আকারে খুলে দেওয়া হবে। সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ নিজ ব্যবস্থায় সীমিত আকারে খুলতে পারবে। সে ক্ষেত্রে বয়স্ক, অসুস্থ ও গর্ভবতী কর্মীরা কর্মস্থলে যাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ১৩ দফা মানতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দোকানপাট, ব্যবসাকেন্দ্র আগের মতো সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে এ ক্ষেত্রে আরও কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আপাতত বন্ধই থাকবে। তবে অনলাইন বা অন্যান্য ভার্চ্যুয়াল ক্লাস অব্যাহত থাকবে।
সরকারি সূত্রগুলো বলছে, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি অর্থনীতির চাকা সচল রাখাও সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আবার করোনা পরিস্থিতিও অবনতি হচ্ছে। এই চিন্তা থেকেই সীমিত আকারে সবকিছু খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সর্বশেষ ছুটির প্রজ্ঞাপনের সময়ই কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করা হয়েছিল। দোকানপাট, তৈরি পোশাক কারখানাসহ কিছু প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকও চালু আছে। অফিসও প্রয়োজনে খোলা রাখা যাচ্ছে।
projonmonews24/maruf
সালাম মুর্শেদির গুলশানের বাড়ি সরকারের নিকট হস্তান্তরের নির্দেশ
প্রক্টর অফিসে তালা ঝুলানোর হুশিয়ারি জবি শিক্ষার্থীদের
সমুদ্রে ভাসমান অদ্ভুত এক রেস্তোরাঁ!
সাবেক প্রক্টরের তদন্তসহ নতুন ৬ দাবি জবি শিক্ষার্থীদের
ফিলিস্তিনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন যিনি
হিজাব নিয়ে কটাক্ষকারী রাবি শিক্ষককে ৫ বছরের জন্য অব্যাহতি
পুতিনের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বুধবার রাশিয়া যাচ্ছেন সিইসি
তিস্তা ইউনিভার্সিটিতে নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত