কয়েকটি দেশ থেকে প্রবাসীদের ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: ০৫ এপ্রিল, ২০২০ ০৯:৪২:২০

কয়েকটি দেশ থেকে প্রবাসীদের ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত

বিশ্বে বেড়েই চলেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ছে লাশের মিছিল। এমন পরিস্থিতিতে মানবিক কারণে কয়েকটি দেশ থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে দেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দেশে ফেরত আনা প্রবাসীদের বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।

রবিবার (৫ এপ্রিল) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদের সভাপতিত্বে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিব মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান।

সভায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে মানবিক বিবেচনায় কয়েকটি দেশ থেকে যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে বিপদগ্রস্ত বাংলাদেশি কর্মীদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সভায় নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে কুয়েত থেকে ৩১৬ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত আনা হবে। কুয়েতের সেই ফিরতি ফ্লাইটে ত্রাণ ও খাদ্যসামগ্রী পাঠানোরও সুপারিশ করা হয়। এছাড়া ইপিএস এর আওতায় দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মরত ১৫০ জন কর্মী এবং সেখানে অধ্যয়নরত ২৬ জন শিক্ষার্থীকে আনতে বাংলাদেশ বিমানের একটি চার্টার্ড ফ্লাইট কোরিয়ায় পাঠানো হবে বলে জানানো হয়।

মন্ত্রী আরও বলেন, যেসব প্রবাসীর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে অথবা ইকামার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের ভিসা/ইকামার মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে জোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। কোনও কর্মী বিদেশে চাকরিচ্যুত হলে, অথবা নিয়োগকারী কোম্পানি যদি কর্মী ছাঁটাই করে, সেক্ষেত্রে তাদের দেশে ফেরত না পাঠিয়ে সেদেশের অন্য কোনও কোম্পানিতে নিয়োগের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।

এছাড়া প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যৌথ স্বাক্ষরে বিভিন্ন দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, বিদেশফেরত কর্মীদের পুনর্বাসনের জন্য ঋণ সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে তিনি প্রাথমিকভাবে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের তহবিল থেকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে বিভিন্ন অর্থ-ঋণ সহায়তা প্রদানের কথা জানান। এছাড়া তাদের অধিকতর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতার মান উন্নয়ন করে পুনরায় বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে যারা ছুটিতে দেশে এসেছেন এবং যাদের ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হতে যাচ্ছে, তারা যাতে পুনরায় যেতে পারে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে আশ্বাস পাওয়া গেছে বলেও জানান মন্ত্রী।

প্রজন্মনিউজ২৪/নুর

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ