পর্তুগালে বাংলাদেশি স্থপতি মেরিনা তাবাসসুমের স্থাপত্য প্রদর্শনী

প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১১:২০:২০

পর্তুগালে বাংলাদেশি স্থপতি মেরিনা তাবাসসুমের স্থাপত্য প্রদর্শনী


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে দেশটির শীর্ষ সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র কেন্দ্রীয় কালচারাল সেন্টার বেলেই-এর মিউজিয়াম অব কনটেম্পোরারি আর্ট সেন্টারে বাংলাদেশি স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম-এর উপকরণ, পরিবর্তন এবং বাংলাদেশের স্থাপত্য শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে।

স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘন ঘন বন্যা সৃষ্টি হওয়া অঞ্চলগুলোতে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীকে টিকিয়ে রাখার জন্য খুদি বাড়ি নামক একটি ঘরের নকশা তৈরি করেন মেরিনা তাবাসসুম। স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার করে এই ঘর তৈরি করা যায়, ঘরগুলো সহজে স্থানান্তরও করা যায়। তার এই নকশায় পরীক্ষামূলকভাবে কিছু ঘর তৈরি করা হয়েছিল চাঁদপুরের চর হিজলায় এবং এতে মৌসুমী বন্যা থেকে সেখানে বসবাসকারী পরিবারগুলো পরিত্রাণ পেয়েছিল। 

সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে মানুষের জীবনে যে সমস্যার উদ্ভব হচ্ছে তার সমাধানে স্থাপত্য শৈলীর চিরাচরিত সীমানা পেরিয়ে মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই স্থাপত্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা ইউরোপের মানুষদের কাছে তুলে ধরাই হচ্ছে এই প্রদর্শনীর মূল উদ্দেশ্য। তাছাড়া প্রদর্শনীয় আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে যে সব দেশ ঝুঁকিপূর্ণ সে  দেশগুলোর জন্য এটি সুসংবাদ।

মেরিনা তাবাসসুম বলেন, এ কাজগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশের জলবায়ু, ইতিহাস, নকশা, ঐতিহ্য ইত্যাদি আমরা বিশ্বের মাঝে তুলে ধরতে পারছি। এটা আমার জন্য একটি ভিন্ন অনুভূতির বিষয়, কেননা বিশ্ববাসী বাংলাদেশকে ভিন্নভাবে জানতে পারছে। তবে একটি ইউরোপিয়ান রাজধানীতে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটা আমার জন্য সবচেয়ে বড় গর্বের বিষয়। শুধু খুদি বাড়ি নয় মেরিনা তাবাসসুম স্থাপত্য শৈলীর অন্যতম একটি নিদর্শন বাইত উর রউফ জামে মসজিদ। এর জন্য তিনি আগা খান ফাউন্ডেশনের আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন। তা ছাড়া তিনি ২০২২ সালে লিসবনে কেরিয়ার এওয়ার্ডে ভূষিত হন। সাথে সাথে তার বিভিন্ন কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ জার্মানি, ফ্রান্স যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আন্তর্জাতিক স্থাপত্য পুরস্কার লাভ করেন।

প্রদর্শনীর উদ্বোধনে পর্তুগালসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের স্থপতি, দর্শনার্থী এবং পর্তুগালে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবনের কাউন্সিলর লায়লা মুনতাজেরী দীনাসহ সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ কমিউনিটির মুখপাত্র এবং স্থানীয় রাজনীতিবিদ রানা তসলিম উদ্দিন বলেন, এটা গর্বের বিষয় যে বাংলাদেশি একজন স্থপতি পর্তুগালের শীর্ষ কালচারাল সেন্টারে প্রদর্শনীর প্রতিনিধিত্ব করছেন, আমরা তাকে কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানাই।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, হামিদুর রহমান কমিউনিটি সেন্টার, স্বাধীনতা জাদুঘর, আলফাডাঙ্গা মসজিদ, চট্টগ্রামের বাঁশখালির মেমরি ৭১ সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম । এছাড়া তিনি বিভিন্ন দূতাবাসসহ দৃষ্টিনন্দন আবাসিক ভবনেরও নকশা করেছেন।


 প্রজন্মনিউজ২৪/আরা 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ