সূর্যমুখী ফুলে লাভজনক চাষ

প্রকাশিত: ০৭ মার্চ, ২০২০ ০৫:০০:১১

সূর্যমুখী ফুলে লাভজনক চাষ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:  টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হচ্ছে সূর্যমুখী ফুল। কম খরচে লাভজনক হওয়ায় বারি সূর্যমুখী-২ (উপসী জাত) চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন চাষীরা। পাশাপাশি মনমুগ্ধকর এই ফুল দেখতে ভীড় করছেন ফুল প্রেমীরা। এ ফুল চাষে ব্যাপক সম্প্রসারণ সম্ভব বলে দাবি কৃষি অফিসের।

চাষিদের কাছ থেকে জানা যায়, এবছর এই উপজেলাতে তারাই সর্বপ্রথম এই ফুল চাষ করেছেন। আবহাওয়া ও মাটি উপযোগী হওয়ায় সূর্যমুখী ফুল চাষে সাফল্য আসবে এমনটিও আশা তাদের। পাশাপাশি ফুল থেকে উৎপাদিত তেল ও বীজ বিক্রি করে অধিক লাভবান হবেন এমনটিও মনে করছেন খেটে-খাওয়া এই চাষীরা।

মির্জাপুর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের ত্রিমোহন এলাকায় কৃষি বিভাগের প্রণোদনায় বাণিজ্যিকভাবে ৫ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ করেন প্রধান উদ্যোক্তা চাষী মিলন। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকেই পুরো বাগানে ফুল ফুটতে শুরু করেছে।
 এতেই সবার নজর পরে সূর্যমুখী বাগানে। যতোদূর চোখ যায় দেখে মনে হয় বিশাল আয়তনের হলুদ এক গালিচা। চোখে পড়ে শুধু সূর্যমুখী ফুল। আর এই ফুলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে মনোরম দৃশ্য স্মৃতির পাতায় বন্দি করছেন অনেকেই। সূর্যোদয় থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ফুটে থাকা এই ফুল দর্শনার্থীদের টানছে এক আমোঘ আকর্ষণে।

 ফুল ফোটার শুরু থেকেই প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী এ সূর্যমুখী বাগানে আসতে শুরু করেছে। হলদে ফুলের সমারোহে হারিয়ে যেতে দর্শনার্থীরা ভিড় জমাচ্ছেন সূর্যমুখী বাগানে। এদিকে সূর্যমুখী ফুল চাষীদের সকল ধরণের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ মশিউর রহমান।

কৃষি অফিস তথ্যমতে চলতি বছর টাঙ্গাইল জেলাসহ মোট ১২টি উপজেলায় এ ফুল চাষ করা হয়েছে। এ মৌসুমে মির্জাপুর উপজেলায় ২.৫ টন বীজ উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় মির্জাপুর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নে ০৫ জন কৃষককে সরকারিভাবে প্রতি বিঘা জমিতে চাষের জন্য ১.৫ কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি এমওটি সার বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে।

লতিফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন জানান, এই ফসলটি মির্জাপুর উপজেলার চাষিদের জন্য সুখবর বয়ে আনতে যাচ্ছে। খুব অল্প টাকায় বেশি মুনাফা সম্ভব এই চাষের মাধ্যমে। এই ফুলের বীজ থেকে আমরা যে তেল পাবো সেটায় ক্ষতিকর কলেস্টেরল নেই। পরীক্ষামূলকভাবে সূর্যমুখী ফুল চাষের জন্য কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার সরবরাহ করা হয়েছে।

বাজারে সরিষা ভাঙ্গানোর মেশিনের মাধ্যমেই এই বীজ ভাঙ্গিয়ে আমরা খাবার তেল পেতে পারি। পরীক্ষামূলক ৫ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষে আমরা ১৫০০-১৬০০ কেজি বীজ আশা করছি। যেখান থেকে আমরা তেল উৎপাদন করতে পারবো।

প্রজন্মনিউজ২৪ /ফয়সাল/মারুফ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ