জাপানের সর্ববৃহৎ আইটি মেলায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৯ মে, ২০১৮ ০৫:১৪:৩০

জাপানের সর্ববৃহৎ আইটি মেলায় বাংলাদেশ

আব্দুল্লাহ আল মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রযুক্তিবিদদের জন্য জাপান আইটি উইক এক অনন্য প্লাটফর্ম জাপানের সর্ববৃহৎ আইটি মেলায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ।

রোববার টোকিওর বিগ সাইটে  সকালে শুরু হওয়া  মেলাটি আগামি ১১ মে পর্যন্ত চলবে।  জাপানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক অথোরিটি এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের উদ্যোগে মেলায় অংশগ্রহণে সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (বেসিস)।

বিগত ২০১৫ সাল থেকে জাপানের আইটি মেলায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশ।

 ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী  মোস্তফা জব্বারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা জাপান আইটি উইকে অংশগ্রহণ করেছেন।  মেলায় বিভিন্ন দেশের তথ্য – প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের স্টল ও বুথের পাশাপাশি বাংলাদেশের ১৬ টি আইটি প্রতিষ্ঠান তাঁদের নানাবিধ তথ্য-প্রযুক্তি ও সেবা প্রদর্শন করছেন। এছাড়া বুথ ভিত্তিক আলোচনা ও সেমিনার করার ব্যবস্থা রয়েছে এবারের মেলায়।    যেখানে বিভিন্ন দেশের আইটি প্রফেসনাল ও ব্যবসায়িরা নিজেদের মধ্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় ও ব্যবসা চালু করার সুযোগ পাবেন।

 মেলার শুরুতে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের  রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বাংলাদেশ প্যাভিলিওন পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বাংলাদেশ থেকে আসা প্রতিষ্ঠান কর্ণধার ও তথ্য – প্রযুক্তিবিদদের সাথে কথা বলেন। মেলায় অংশগ্রহণ করার জন্য তিনি তাঁদের ধন্যবাদ জানান এবং দূতাবাস থেকে তাঁদের প্রয়োজনীয় সবরকমের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।  

 মেলা ঘুরে দেখা যায়, বাংলাদেশ প্যাভিলিওনে দর্শক ও আগ্রহী ব্যবসায়িদের সমাগম হয়েছে, তাঁরা কেউ বুথ  ভিত্তিক আলোচনা করছেন আবার অনেকে আইসিটি বিভাগ ও অন্যান্য বিভাগ কর্তৃক প্রেজেন্টেশন মনোযোগ দিয়ে শুনছেন।  জাপান আইটি মেলা তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা, সম্ভাবনা ও যোগ্যতা প্রদর্শনের অপার সুযোগ করে দিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আসা ব্যবসায়িরা বলেন,  জাপানে দিন দিন তথ্য – প্রযুক্তির বাজার বড় হচ্ছে এবং তাঁরা আশা প্রকাশ করেন যে এই মেলা বাংলাদেশের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচন করবে।

মেলাটি জাপান-বাংলাদেশ আইটি সম্পর্ক গভীর করতে সহযোগিতা করার পাশাপাশি বাংলাদেশে জাপানি কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারণ, নতুন বাজার সৃষ্টি, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এমনকি প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশে বিনিয়োগে উৎসাহ যোগাতে তাৎপর্যপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আব্দুল্লাহ আল মামুন/ টোকিও

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ