ইয়াবা কারবারিদের আত্মসমর্পণ

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ ০৪:১১:৪১

ইয়াবা কারবারিদের আত্মসমর্পণ

অনেক জল্পনা-কল্পনার পর মাদক চোরাচালানের ‘স্বর্গরাজ্য’ হিসেবে পরিচিত কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় শতাধিক ইয়াবা ব্যবসায়ী প্রশাসনের কাছে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার শপথ নিয়েছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামালের উপস্থিতিতে আজ শনিবার দুপুরে টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আত্মসমর্পণের সময় ইয়াবা কারবারিরা তাদের কাছে থাকা অস্ত্র ও ইয়াবা প্রশাসনের কাছে জমা দেন; অপরদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে তাদেরকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার পথে স্বাগত জানানো হয়।

পুলিশের হেফাজতে থাকা ১০২ জন ইয়াবা কারবারীকে কঠোর পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে অনুষ্ঠানস্থলে নিয়ে আসা হয়। আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়ার পর তাদের ফের পুলিশি হেফাজতেই নিয়ে রাখা হয়।

আত্মসমর্পণকারীদের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘যারা আত্মসমর্পণ করেছেন তাদের আইনি সহায়তা দেবে সরকার।’ শুধু টেকনাফ নয়, সারা দেশ মাদকমুক্ত করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে ইয়াবা কারবারীরা মোট ৩০টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৭০টি কার্তুজের পাশাপাশি সাড়ে তিন লাখ ইয়াবাও জমা দেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযানে ‘ক্রসফায়ারে’ প্রায় প্রতিদিনই ইয়াবা ব্যবসায়ীদের নিহতের ঘটনার মধ্যে এই আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর থেকেই শতাধিক চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে হেফাজতে চলে যান। আজকের এ আত্মসমর্পণ নিয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফসহ জেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মো. জাবেদ পাটোয়ারী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন। এ ছাড়া জেলার চার সংসদ সদস্য এতে উপস্থিত ছিলেন। জেলা পুলিশের তত্ত্বাবধানে আত্মসমর্পণের এই অনুষ্ঠানটি হয়।

প্রজন্মনিউজ২৪/দেলাওয়ার হোসাইন।

 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ