অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচির প্রস্তাব মমতার

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০৬:৩১:৩৪

অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচির প্রস্তাব মমতার

উনিশের ভোটের আগে বিজেপি-বিরোধী আন্দোলনকে জোরদার করতে একটি অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি তৈরি করার প্রস্তাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ ২১টি বিরোধী রাজনৈতিক দলের বৈঠকে এই পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

বৈঠকে মমতা বলেছেন, মোদী সরকারের বিরুদ্ধে জোট গড়ে লড়ার জন্য একটি সাধারণ সূচিমুখ থাকলে তা অনেক বেশি কার্যকরী হবে। মমতার বক্তব্য, ‘‘যে যার রাজ্যে বিরোধী কর্মসূচি যেমন নিচ্ছেন নিন। কিন্তু তার পাশাপাশি দিল্লিতে বসে দীর্ঘদিন পরপর সভা না করে, গোটা দেশের জনতার কাছে ঐক্যবদ্ধ ভাবে পৌঁছতে হবে।’’ তার জন্য গোটা দেশ জুড়ে সভা করতে হবে, প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশন, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হতে হবে বলেও তাঁর মত। মমতার কথায় ‘‘যদি সার্বিক অন্যায় ও অবিচার চলতে থাকে, তা হলে ন্যায় পাওয়ার জন্য বিচারপতির কাছে যাওয়া যেতেই পারে।’’

আজ সন্ধের বৈঠকের আগে চন্দ্রবাবু নায়ডু, অরবিন্দ কেজরীবাল, আহমেদ পটেল আলাদা করে মমতার সঙ্গে দেখা করতে যান। পরে কেজরীর সঙ্গেই মমতা সংসদের অ্যানেক্স ভবনে বিরোধীদের বৈঠকে যোগ দিতে যান। সেখানে সবাইকে একসঙ্গে পেয়ে মমতা সব বিরোধী নেতাকেই ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডের সভায় যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান। এ দিকে বৈঠক যখন মধ্যপথে, তখনই উর্জিত পটেলের পদত্যাগের সংবাদটি প্রকাশ্যে আসে। জ্যামার লাগানো ছিল বলে কক্ষবন্দি নেতারা কেউই প্রথমে খবরটি দেখতে পাননি। এর মধ্যে হঠাৎ মোবাইলে ফ্ল্যাশ আসে মমতার। সূত্রের খবর, তখনই তিনি বাকি নেতাদের সজাগ করে প্রস্তাব করেন, ‘‘এই বিষয়টিকে ছাড়া চলবে না। প্রয়োজন হলে বৈঠক আগামিকালও চলুক। সব বিরোধী দলের নেতাই যখন উপস্থিত, তখন রাষ্ট্রপতির কাছেও যাওয়া হোক।’’ তবে এই মুহূর্তে রাষ্ট্রপতি মায়ানমারে সফররত বলে আগামিকাল সেই কর্মসূচিটি হচ্ছে না বলেই জানা গিয়েছে। 

এ দিন বৈঠক শেষ হওয়ার আধঘণ্টা আগে অবশ্য মমতাকে বেরিয়ে আসতে হয়। কারণ নতুন নিযুক্ত নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় চাওয়া ছিল তাঁর। অ্যানেক্স ভবন থেকে বেরোনোর আগে মমতা বলে যান, ‘‘রাজনৈতিক জরুরি অবস্থা তো চলছিলই। এ বার তার সঙ্গে যুক্ত হল অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা। আমরা সাধারণ মানুষের সঞ্চিত অর্থের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। বিজেপি সরকার যে ভাবে দেশ চালাচ্ছে তাকে স্বৈরতন্ত্র ছাড়া আর কিছু বলার নেই। সিবিআই থেকে আরবিআই— সমস্ত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলি ধসে যাচ্ছে।’’ পরে টুইট করেও তিনি লেখেন, ‘এটা অভূতপূর্ব। আরবিআই সাধারণ মানুষের টাকার ধারক। সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলির বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এটা অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা।’

আগামিকাল থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। সেখানেও লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আরবিআই এবং সিবিআই-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলির হেনস্থা নিয়ে বিতর্কে অংশ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। কৃষক সমস্যা, সাম্প্রদায়িকতা, কালো টাকা ফিরিয়ে আনা, কর্মসংস্থানের মতো বিষয়গুলিও উত্থাপন করবে তৃণমূল। পাশাপাশি গাঁধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি করা হবে। মমতা নিজে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে দেখা করতে উদ্যোগী হচ্ছেন।

প্রজন্ম নিউজ/শাহারিয়ার রহমান

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ