সাতক্ষীরায় প্রতীক বরাদ্ধের প্রথম দিনই গ্রেপ্তার ৬২

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০১:৩৩:৫৪

সাতক্ষীরায় প্রতীক বরাদ্ধের প্রথম দিনই গ্রেপ্তার ৬২

আসাদ জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা : প্রতীক বরাদ্ধের প্রথম দিনই সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন স্থানে পোস্টর তুলে ফেলা,পুড়িয়ে ফেলা,হামালা,প্রচার মাইক ভাংচুর ও গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে। পুলশি ও সরকার দলীয় সংগঠনের নেতাকর্মী নির্বাচনী আচারণ বিধী লংঘনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযো উঠেছে।

আজ সোমবার বিকাল ৪টার দিকে সাতক্ষীরা সদরের তিন নম্বর বৈকারী ইউনিয়নের নাপতি ঘাটা এলাকায় পুলিশ, আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগের কর্মীরা একত্রিত হয়ে ২০ দলীয় জোট মনোনীত প্রার্থী আব্দুল খালেকের নির্বাচনী পোস্টার ছিঁড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় ২০ দলীয় জোটের কর্মীদের কয়েক জনকে ব্যাপক মারধর করে এবং তাদের দোকানে ও বাড়িতে বাড়িতে যেয়ে ভাঙচুর করে বলে ভুক্ত ভোগীদের অভিযোগ ।

 এসময় ছাত্রলীগের কর্মীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় দেয় বলে প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানান। পোষ্টর সাটানোর অভিযোগে  ডিবি পুলিশের একটি টিম কোন ওয়ারেন্ট ছাড়া জামায়াতের ইউনিয়ন আমীর মেম্বার জালাল উদ্দিন, ওবাইবদুল্লাহ এবং মোতালেবকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। অন্যদিকে ঘোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ২০ দলীয় জোটের প্রার্থীর পক্ষে লাগানো সমস্ত পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলে।

বাঁশদহ ইউনিয়নেও ওয়ারেন্ট ছাড়াই জামায়াতের তিন জন কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলএন ১.মাওলানা আব্দুল মজিদ পিতা ছাকারউদ্দিন গ্রাম কামার বারসা।

২.গোলাম মোস্তফা পিতা- ঈমান আলী গ্রাম- কামার বারসা।

৩. রবিউল ইসলাম পিতা আবদুল লতিফ গ্রাম কামার বারসা কে পুলিশ ধরে নিয়ে স্থানীয় ভাইস চেয়ারম্যান  প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়। সদরের বাঁসদহা গ্রামের মাওলানা রমজান আলীর বাড়ি থেকে ২০০০ পোস্টার নিয়ে যায় তারা। এছাড়া সদরের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচার মাইক ভাঙচুর করে এবং পোস্টার লাগাতে বাধা দেযার  অভিযোগ উঠেছে।

এ ছাড়া জেলা ব্যাপি  পুলিশের বিশেষ অভিযান ৫২ জনকে আটক করা হেয়েছ। কলারোয়ার হিজলদী গ্রামের আরশাফ আলী ও আঃ মজিদ এবং সুলতানপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় জামায়াত নেতা কর্মীদের ধরতে ব্যাপক তল্লাশী চালাচ্ছে পুলিশ।

আশাশুনির বাটরা গ্রামের মেম্বর খোরশেদ আলম এবং কোদন্ডা হাই স্কুলের মৌলাভী শিক্ষক হক মাওলানা কে কোর্টের গেট হতে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। তারা উভয় আশাশুনি থানার একটি মামলার হাজিরা দেওয়ার জন্য কোর্টে এসেছিলেন। বাড়ী ফেরার পথে গেটের মুখ হতে তাদের কে গ্রেফতার করা হয়।

শ্যামনগরের  নুরনগর গ্রামের ইন্তাজ আলীর ছেলে মাও. আব্দুল মজিদ এবং একই গ্রামের হাজি লিয়াকত হোসেন কে গ্রেফতার করে শ্যামনগর থানা পুলিশ। এদিকে জেলা ব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৬২ জনকে আটক করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পযন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান,সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৪ জন,কলারোয়া থানা থেকে ৬ জন,তালা থানা থেকে ৪ জন,কালিগঞ্জ থানা থেকে ৬ জন,শ্যামনগর থানা থেকে ৮ জন,আশাশুনি থানা থেকে ৭ জন,দেবহাটা থানা থেকে ৩ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা বেশিরভাগই বিএনপি জামায়াতের কর্মী।

এদিকে প্রতীক বরাদ্ধের প্রথম দিনই জেলার বিভন্ন স্থানে ধানের শীষ ও নৌকার পোস্টার সাটাতে দেখা গেছে।

প্রজন্মনিউজ২৪/জহুরুল হক

               

এ সম্পর্কিত খবর

২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি কমেছে ১৫.৪৯ শতাংশ

বিএনপির ৭৩ নেতাকর্মী বহিষ্কার

উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীরা প্রভাব ফেলতে পারেন

ঘোড়াঘাটে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চাপমুক্ত আওয়ামী লীগ

মৎস্য মন্ত্রী বলেন দুই ভাই হত্যার জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে

হাবিপ্রবি সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান

সরদার পাড়া দারুল কোরআন মডেল মাদ্রাসার পরিক্ষার ফল প্রকাশ

চলতি বছর পবিত্র হজ্জ পালনের অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব

ইসরায়েল থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের দাবিতে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন

বশেমুরবিপ্রবিতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ