মেট্রোরেলে বাড়ছে ১০ ট্রিপ, চলবে রাত ১০টার পরও

প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:৩৮:২২

মেট্রোরেলে বাড়ছে ১০ ট্রিপ, চলবে রাত ১০টার পরও

প্রজন্মডেস্ক: খুব অল্প সময়েই রাজধানীবাসীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মেট্রোরেল। বিদ্যুৎচালিত এই দ্রুতগতির পরিবহন ব্যবস্থায় প্রতিদিন সাড়ে তিন লাখ থেকে চার লাখ যাত্রী যাতায়াত করেন। বিশেষ দিনে এই সংখ্যা সাড়ে চার লাখ ছাড়িয়ে যায়। প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল উত্তরা–মতিঝিল–উত্তরা রুটে ঘণ্টায় ৬০ হাজার এবং দিনে পাঁচ লাখ যাত্রী পরিবহন করা।

প্রায় আড়াই বছর ধরে রাজধানীতে যাত্রী পরিবহন করছে মেট্রোরেল। বর্তমানে দিনে প্রায় ২০০ বার এই রুটে যাতায়াত করছে ট্রেন। যাত্রী সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। তবে ট্রেনে আসনসংখ্যা নির্দিষ্ট থাকায় একসঙ্গে বেশি যাত্রী পরিবহন সম্ভব হচ্ছে না। যাত্রী চাহিদা পূরণে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) আরও ১০টি ট্রিপ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।

ডিএমটিসিএলের একাধিক সূত্র জানায়, যাত্রী চাপ এতটাই বেশি যে অনেক সময় যাত্রীদের জায়গা দেওয়া যায় না। ফলে মন্ত্রণালয় থেকেও ট্রেন সংখ্যা বাড়ানোর জন্য নির্দেশনা এসেছে। তবে ট্রেনের কোচ সংখ্যা আপাতত বাড়ানো সম্ভব নয়।

প্রকল্প সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মেট্রোরেলের ৬ কোচের ২৪ সেট ট্রেন রয়েছে। ভবিষ্যতে এগুলোকে ৮ কোচে উন্নীত করা যাবে। তবে এখনই প্রতিটি সেটে বাড়তি ২ কোচ যোগ করতে তিনটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
১) প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর (পিএসডি) এখনও বাড়তি কোচের জায়গায় বসানো হয়নি।
২) নতুন কোচ সংযোজনের জন্য বড় অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন।
৩) অতিরিক্ত কোচে বিদ্যুৎ খরচ বাড়বে, যা বিদ্যমান ওভারহেড ক্যাটেনারি লোড বহন করতে পারবে কিনা, তা নিশ্চিত নয়।

বর্তমানে ৬ কোচের একটি ট্রেনে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০০ যাত্রী পরিবহন করা যায়। নতুন ১০ ট্রিপ চালু হলে অতিরিক্ত প্রায় ২৩ হাজার যাত্রী পরিবহন সম্ভব হবে।

তবে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রিপ সংখ্যা বাড়ানোর চেয়ে কোচ বাড়ানো বেশি কার্যকর। তাদের মতে, শুধু যাত্রী ভাড়া থেকে এখনও মেট্রোরেলের খরচ ওঠে না। ট্রেন চলাচলের সংখ্যা বাড়ালে খরচও বাড়বে, তাই দীর্ঘমেয়াদে কোচ বাড়ানোই লাভজনক।

এদিকে দ্রুত সমাধানের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে ডিএমটিসিএলকে ট্রিপ বাড়ানোর চাপ দেওয়া হয়েছে। লোকবল সংকট মোকাবিলায় নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সবকিছু ঠিক থাকলে খুব শিগগিরই এমআরটি লাইন–৬ এ নতুন ১০ ট্রিপ যুক্ত হবে।

সূত্র জানায়, নতুন সূচিতে সকাল ৬টার পর থেকেই যাত্রীরা ট্রেনে উঠতে পারবেন। সর্বশেষ ট্রেন চলবে রাত ১০টার পরও। প্রতিদিন সকাল ৬টা ও সাড়ে ৬টায় লাইনের নিরাপত্তা পরীক্ষা করতে দুটি ‘সুইপিং ট্রেন’ চলে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, দ্বিতীয় সুইপিং ট্রেনই হবে দিনের প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেন। এতে এমআরটি পাস ও র‌্যাপিড পাসধারী যাত্রীরা উঠতে পারবেন। তবে এর গতি থাকবে ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার।

বর্তমানে উত্তরা থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়ে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে এবং মতিঝিল থেকে সকাল সাড়ে ৭টায়। নতুন সূচিতে উত্তরা থেকে সকাল ৭টায় দ্বিতীয় ট্রিপ ছাড়বে এবং মতিঝিল থেকে ছাড়বে সকাল ৭টা ১০ ও ৭টা ২০ মিনিটে।

এছাড়া রাতে আরও ৬টি ট্রেন চলবে। এখন শেষ ট্রেন ছাড়ে উত্তরা থেকে রাত ৯টায় এবং মতিঝিল থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে। নতুন সূচিতে উত্তরা থেকে রাত ৯টা ১০, ৯টা ২০ ও ৯টা ৩০ মিনিটে ট্রেন ছাড়বে। মতিঝিল থেকে ছাড়বে রাত ৯টা ৫০, ১০টা ও ১০টা ১০ মিনিটে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ডিএমটিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) মোহাম্মদ ইফতিখার হোসেন ১৮ সেপ্টেম্বর সকালে বলেন,“এটি নিয়ে এখনো স্টাডি চলছে। স্টাডি শেষ হলে বিস্তারিত জানানো হবে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে দ্রুত এই সেবা চালু করা যায়।”

এ সম্পর্কিত খবর

গার্মেন্টস শ্রমিদের বিক্ষোভ,তীব্র যানজট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে 

‘বিএনপির উপর নিরর্ভর করছে এনসিপির সংসদে যাওয়া’

নোট অব ডিসেন্টের মাধ্যমে বিএনপির স্বৈরাচার হওয়ার চিন্তাভাবনা বোঝা যায়: তাহের

ফের জামায়াত আমির নির্বাচিত হলেন শফিকুর রহমান

মাইশা মৃত্যুর বছর পেরোলেও দৃশ্যমান হয়নি সড়কের নিরাপত্তা কার্যক্রম

চাঁদাবাজির অভিযোগ করায় ব্যবসায়ীর বাড়িতে ককটেল হামলা

গাজীপুরে অস্ত্র ও গাঁজাসহ বিএনপি নেতার ভাই-ভাতিজা আটক

জুলাইয়ে ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

মেলিসার তাণ্ডবে ধ্বংসস্তূপ ক্যারিবীয় অঞ্চল, নিহত অন্তত ২৫

চকলেট খেতে বাধা দেয়ায় ক্ষেপলেন সাবেকমন্ত্রী কামরুল

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ