এ ছাড়া টোকিওতে আরেকটি নতুন নীতি চালু করা হচ্ছে। এতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের পিতা-মাতারা আংশিক বেতন কাটছাঁটের মাধ্যমে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার সুযোগ পাবেন।
টোকিওর গভর্নর ইউরিকো কোইকে বুধবার এক নীতিনির্ধারণী বক্তৃতায় বলেন, আমরা কাজের ধরন পর্যালোচনা করব এবং এমন ব্যবস্থা নেব যাতে কেউ তাদের ক্যারিয়ার ত্যাগ করতে বাধ্য না হয়।
তিনি আরও বলেছেন, এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে আমাদের জনগণের জীবন, জীবিকা এবং অর্থনীতি রক্ষা ও উন্নত করার জন্য টোকিওর উদ্যোগ নেওয়ার এখনই সময়।অনেক বছর থেকেই জাপানে জন্মহার নিম্নমুখী। গত জুন মাসে দেশটির জন্মহার রেকর্ড হ্রাস পেয়েছে। জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছর দেশটিতে মাত্র ৭ লাখ ২৭ হাজার ২৭৭ শিশুর জন্ম হয়েছে। এর ফলে প্রজনন হার ১ দশমিক ২ শতাংশে নেমে এসেছে, যেখানে জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখতে দেশটিতে প্রয়োজন ২ দশমিক ১ শতাংশ।
জন্মহার বাড়ানোর জন্য দেশটি ছুটি বাড়ানো ছাড়াও আরও অনেক উদ্যোগ নিয়েছে। দেশটি তরুণ-তরুণীদের বিবাহে উদ্বুদ্ধ করতে এবং জন্মদানে আগ্রহী করতে নিয়েছে নানা পদক্ষেপ। বিবাহ ও শিশু জন্ম দেওয়ার খরচের প্রস্তাব দিচ্ছে দেশটির সরকার।
বিএইচ
 