দারিদ্রতা না কমিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক নয়: ড. সলিমুল্লাহ

প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ০৬:৪১:২৫ || পরিবর্তিত: ৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ০৬:৪১:২৫

দারিদ্রতা না কমিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক নয়: ড. সলিমুল্লাহ

রাবি প্রতিনিধি :দারিদ্রতার হার কমিয়ে না আনা পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা যৌক্তিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী প্রফেসর ড. সলিমুল্লাহ খান।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সেন্টার ফর হেরিটেজ স্টাডিজ কর্তৃক 'ন্যায়সঙ্গত এবং গণতান্ত্রিক জাতীয় শিক্ষা নীতির উপাদান' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রফেসর ড. সলিমুল্লাহ খান আরও বলেন, 'অনেকে মনে করেন শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে এর কারণ হলো ২৩ বছরের পাকিস্তানি শাসন, ভারতে কি পাকিস্তানি শাসন ছিল, তাহলে ভারতও পিছিয়ে কেন, কারণ ভারতে ৩০ কোটি লোক দুবেলা না খেয়ে থাকে। সেজন্য শিক্ষায় যদি আপনি সত্যিকারের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে চান তাহলে আপনাকে স্বাস্থ্য ও খাদ্যের কথাও ভাবতে হবে। একজন ছাত্রকে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত যদি দুবেলা শরীরে পুষ্টির যোগানই দিতে না পারেন তাহলে সে কিভাবে পড়বে, সেজন্য শিক্ষা মানুষের অধিকার হলে স্বাস্থ্যকে তার অন্তর্ভুক্ত করতেই হবে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা মানে কোনো অভিভাবক তার সন্তানকে বিদ্যালয়ে ভর্তি না করালে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে, কিন্তু সেটি করার আগে আমাদেরকে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি হিসাবে শতকরা ২০জন হতদরিদ্র, তাদেরকে আপনি শাস্তির আওতায় আনবেন কিভাবে, তাই যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি দারিদ্রতার হার কমিয়ে আনতে না পারছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা বাঁধ্যতামূলক করতে পারেন না'।

সেন্টার ফর হেরিটেজ স্টাডিজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর ড. ইফতেখারুল আলম মাসউদ এর সভাপতিত্বে ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া মেশকাত চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী প্রফেসর ড. সলিমুল্লাহ খান ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাবি উপাচার্য প্রফেসর ড. সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, একটি দেশে সংহতি বজায় রাখতে ন্যায়বিচারটা জরুরি, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলে কল্যাণকর রাষ্ট্রও প্রতিষ্ঠিত হয়। একটি রাষ্ট্র সত্যিকার অর্থেই যদি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হয় তাহলে ভৌগোলিক অবস্থান যাই হোক না কেন, তার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার একটি ব্যসিক স্টান্ডার্ড গড়ে তোলা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বৈষম্য কাম্য নয়, একটি জেলা স্কুল এবং সরকারি অন্য একটি স্কুলের মান সমান হতে হবে, তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।
উক্ত আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের  শিক্ষকসহ বিভিন্ন বিভাগের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।


প্রজন্মনিউজ২৪/ মিরাজ

 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ