মনে রেখো,রাজাকার নই,আমি এই বাংলাদেশের ভক্ত

প্রকাশিত: ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:১০:৫১ || পরিবর্তিত: ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:১০:৫১

মনে রেখো,রাজাকার নই,আমি এই বাংলাদেশের ভক্ত

         ভক্ত 

লেখক: মাছুম বিল্লাহ

বাবার পেশা ছেলে পাবে,
ছেলের পেশা নাতি,
চাষার ছেলে চাষাই রবে,
কোটাই গড়বে জাতি ।

এমন বৈষম্যযুক্ত মনোভাব গড়ে উঠেছিল কয়েক সপ্তাহ আগেই। কিন্তু দেশের মেধাবী,দক্ষ ও আদর্শ্য ছাত্রসমাজ এমন বৈষম্যের সাথে একমত পোষন না করে নেমেছে রাজপথে। নেমেছিল কিছু অধীকারের দ্বাবি নিয়ে।  শান্তীপূর্ণ ভাবে রাজপথে থেকে ও যখন সন্তোষ জনক রায়ের বদলে পেয়েছে রক্ত, পুলিশের গুলি,টিয়ার গ্যাস সহ সাবেক ক্ষমতাসীন দলের অমানবিক কর্মকান্ড, তখন দেশের সকল পর্যায়ের মানুষ বিবেকের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে নিজেকে জাগ্রত করে যোগ দিয়েছিল দুর্নীবার ছাত্রসমাজের সাথে। নেমেছে রাজপথে একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, পায়ে তাল রেখে। তৈরি হয়েছে এক বিশাল জনসমুদ্র। এই জনসমুদ্রের ভাষা ধিরে ধিরে আরো প্রখড় হয়ে দ্বারায় ১ দফায় ।

এক সমুদ্র রক্ত, হজারো প্রণ, হাজারো মায়ের আহাজারি, শত শত বোনের আর্তনাধ, শত শত জীবন্ত শহীদ, বেছে থেকেও যেন আর দেখতে পারবে না, জীবন থেকেও যেন আর স্বাভাবিক ভাবে চলতে পারবে না,হয়তো কখোনো আর সেই রাজপথে হাটতে পারবে না, ঐ দিনের পথচলাই যেন ছিল তার জীবনের শেষ পথচলা । হয়তো সে আর আবু সাইদের মতো বুকপেতে দ্বাড়িয়ে থাকতে পারবে না । হয়তো সে আর মুগ্ধ ভাইয়ের মতো সবার কাছে গিয়ে বলতে পারবে না,‘পানি লাগবে পানি,কারো কি পানি লাগবে।’কথাগুলো যেন হৃদয়ে ঝনঝন করে বেজে বেড়ায়, চোখের সামনে ভেসে উঠে সেই মর্মান্তিক প্রতিচ্ছবি। 

কত বাবা-মার ছেলে, কত ভাই-বোনের ভাইটিকে ও শেষ বারের মতো দেখতে পারেনি,পায়নি তার লাশও,পাবে কিনা তাও অজানা। খোজ মেলেনি এখনো অনেকের। মনে পরে সেই দিনের ঐ নরপশুগুলোর কথা,পাষানের মতো আমার ভাইয়ের বুকের সাথে বন্দুকের নলটা লাগিয়ে দিয়ে কি নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে একের পর এক লাশগুলো স্তুপে পরিণত করে আগুন দিয়ে পুরিয়ে দিয়েছে। স্নায়ুতন্ত্র বলে উঠে থামো আর সহ্য করতে পারছিনা,থামো।

হজারো প্রশ্ন জাগে মনে।স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীন ছাত্রের বুকের উপরে গুলি চালাতে তাদের হাত কি একবারো কাপেনি ?বিবেক কি তাদের একবারো বাধা দেয়নি? এই কি স্বাধীনতা? অধিকারের দ্বাবি নিয়ে রাজপথে নামলে এলোপাতারি গুলি চলে! এই কি স্বাধীনতা?পোশা সন্ত্রাস দিয়ে গুম,খুন ,রক্তারক্তি! এই কি ছিল স্বাধীনতা ?তখন মনে হয়েছিল স্বাধীনতার কথা বললে আমি পরাধীন হয়ে যাই।


তাইতো মন বলেছে জেগে ওঠো,
স্বাধীনতা আবার নতুন করে আনতে হবে,
তাই নেমেছি একসাথে রাজপথে।।

দিয়েছি সব দুর্নীতি আগুনে পুড়িয়ে,
উড়ে গেছে সব দেশের বাইড়ে,
কালো ধোঁয়া হয়ে উড়িয়ে।।

কখোনো হবোনা নতো আর কখোনা করবোনা ভয়,
আবু সাইদের মতো দাড়িয়ে থাকবো,
আবার যদি জিবন দিতে হয়।।

করবে গুলি,মারবে কতো,টিয়ার শেলের ভয়!
মুগ্ধ ভাইয়ের পানির বোতল,
আমাদের শক্তি জোগায়।।

বোনটিও আমার নেমেছে রাজপথে,
পায়না রে.... আর ভয়,
আয় না আবার,জুতা মেরে করবে তোর গায়ের চামড়া ক্ষয়।।

করেছি দেশকে স্বাধীন আবার,করেছি আমরা মুক্ত,
দেশকে গড়তে থাকবো অটুট,
থাকবো মোরা ঐক্য।।

করেছি দেশকে পবিত্র আমরা,দিয়ে বুকের রক্ত,
মনে রেখো,রাজাকার নই,আমি এই বাংলাদেশের ভক্ত।।

তৈরি সদা থাকবো আমি,দেশকে গড়ার লক্ষ,
আবার যদি দিতে হয় জিবন অথবা রক্ত,
এই দেশেতেই জন্ম আমার,আমি এই দেশেরী ভক্ত।।

                                                                         ( সংক্ষিপ্ত )

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন