প্রকাশিত: ২৭ জুলাই, ২০২৪ ০৪:৫৪:৫৫
প্রজন্মডেস্ক: কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিগত কয়েকদিন হতে দেশে নেটিজেনরা সামগ্রিকভাবে অনলাইনের বাহিরে থাকছে। সীমিতভাবে ব্রডব্যান্ড সুবিধা চালু হলেও তারা ব্যবহার করতে পারছেন না ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। এমন পরিস্থিতিতে সবার সামনে আসছে ভিপিএন এর নাম। আসুন আমরা জেনে নেই ভিপিএন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
ভিপিএন কি?
ডিজিটাল জগতে, অনলাইনে প্রাইভেসি সুরক্ষা, নিরাপত্তা বাড়ানো ও অপ্রবেশযোগ্য কনটেন্ট দেখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ টুল হয়ে উঠেছে ‘ভিপিএন’। ভিপিএন এর পূর্ণ রূপ হচ্ছে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক। অর্থাৎ ভিপিএন হচ্ছে এমন এক কাল্পনিক প্রাইভেট নেটওয়ার্ক যার মাধ্যমে নিরাপদে তথ্য আদান প্রদান করা হয়।
আবির্ভাব:
ফোর্বসের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইন্টারনেট সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য ছিল তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করা। যেখানে নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। আবিষ্কার নকশা অনুযায়ী, ইন্টারনেটের সৃষ্টিই হচ্ছে অনিরাপদ কৌশলের ওপর ভিত্তি করে। তাই ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে ৯০ দশকে ভিপিএনের আবির্ভাব ঘটে।
কী কী সুবিধা পাওয়া যায় ভিপিএন থেকে?
ভিপিএন ব্যবহারের প্রাথমিক সুবিধাগুলোর একটি হলো ব্যবহারকারীর ইন্টারনেট সংযোগ এনক্রিপ্ট করার সক্ষমতা, যার ফলে বিভিন্ন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার, হ্যাকার, সরকারি সংস্থার ‘বদনজর’ থেকে রেহাই পাওয়ার সুযোগ মেলে।
ইন্টারনেট সংযোগের মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার। বিভিন্ন কফি-শপ, শপিং-মল, স্কুল-কলেজ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, যানবাহনসহ বিভিন্ন স্থানে পাবলিক ওয়াইফাই সুবিধা থাকে। বিনামূল্যে এবং অনেক ক্ষেত্রে বিকল্প না থাকায় ব্যবহারকারীরা পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করে নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়। যেখানে ব্যবহারকারীর পাসওয়ার্ড, লগ-ইন ক্রেডেনশিয়ালস, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বিবরণ, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য এবং ব্যক্তিগত সংবেদনশীল তথ্যে হ্যাকারদের কাছে খুব সহজ অ্যাক্সেস প্রদান করে। ভিপিএনের মাধ্যমে এসব থেকে সুরক্ষিত থাকা সম্ভব।
অসুবিধা:
বিশ্বব্যাপী ভিপিএন ব্যবহার করে এমন বহু অপরাধের ঘটনা ঘটে চলেছে। যেখানে অপরাধীদের শনাক্ত করা খুবই কঠিন। ভিপিএনের মাধ্যমে যে সুবিধা ব্যবহারকারী নিচ্ছে, একই সুবিধা গ্রহণ করে অপরাধীরাও তাদের কাজ করে যাচ্ছে। ভিপিএনের মূল উদ্দেশ্য যেহেতু তথ্য গোপন করা তাই সরকারি সংস্থাগুলো চাইলেও অনেক ক্ষেত্রে এসব তথ্য উদ্ঘাটন করতে পারে না।
ঝুঁকি:
পেইড ভিপিএন প্রোভাইডারের অধিকাংশ লগ-ইন তথ্য সংগ্রহ করে না। ফলে, সরকার চাইলেও অপরাধীদের চিহ্নিত করতে পারবে না। বিনামূল্যের ভিপিএন ব্যবহারকারীরা এক্ষেত্রে চিহ্নিত হতে পারে। শুধু চিহ্নিতই না, এদের তথ্য এসব ভিপিএন প্রোভাইডার বাণিজ্যিক কোম্পানিগুলোর কাছেও বিক্রি করে দিতে পারে। যা আবার সাধারণ গ্রাহকের জন্যে ঝুঁকিপূর্ণ।
তথ্যসূত্র: The Daily Star বাংলা
প্রজন্মনিউজ২৪/মুশ
ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি এপিবিএন সুজন ৩ দিনের রিমান্ডে
বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু হতে ২০২৬
শ্রম আইন সংশোধন করে শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করুন- আতিকুর রহমান
পবিপ্রবিতে দিনব্যাপী ক্রয় এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনা কর্মশালা
হল উদ্ধার নিয়ে ভূয়া তথ্য ছড়াচ্ছে জবি শিক্ষার্থী বকর
আশুলিয়ায় দুই পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সংঘর্ষ, নিহত ১
ব্যাংক খাতের তারল্য সংকট উত্তরণে অর্থ সহায়তা চাওয়া হয়েছে
মির্জা আব্বাসকে হত্যাচেষ্টা, ৩ দিনের রিমান্ডে মেনন
আমেরিকার ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মুক্তির প্রসঙ্গ
মাদকের গডফাদারদের ধরে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার