ফেসবুকে পোস্ট নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীর বিচার চায় শিক্ষক সমিতি

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ, ২০২৪ ১২:৪৩:১২

ফেসবুকে পোস্ট নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীর বিচার চায় শিক্ষক সমিতি

নিজস্বপ্রতিনিধি: বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) অধিভুক্ত ঝিনাইদহে অবস্থিত শেখ কামাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এক শিক্ষার্থী কলেজের শিক্ষককে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছে সরকারি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ শিক্ষক সমিতি। সংগঠনটির সভাপতি কবির হোসেন পাটোয়ারী এবং সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদের স্বাক্ষরিত প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয় শেষ পর্বের ছাত্র এ. কে. এম আহসান উল্লাহ (নাঈম) বুধবার 

(২০ মার্চ) তার ফেসবুক আইডিতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ শিক্ষক সমিতির সদস্য ও শেখ কামাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সিনিয়র শিক্ষকের নাম উল্লেখ করে অত্যন্ত নিন্দনীয় ভাষায় পোস্ট দিয়েছে এবং শিক্ষকের নামে বেশ কিছু মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে। 

প্রতিবাদ লিপিতে আরও উল্লেখ রয়েছে, শিক্ষককে সরাসরি হুমকি দিয়েছে, যা অত্যন্ত গর্হিত এবং ফৌজদারি অপরাধ বলে গণ্য হয়। শিক্ষক সমিতি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং অবিলম্বে তার ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে। কলেজ সূত্র হতে জানা যায় ২০ মার্চ লেভেল-৪ টার্ম-২ এর ফলাফল প্রকাশের পর শেখ কামাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থী এ. কে. এম আহসান উল্লাহ (নাঈম) পরীক্ষায় প্রোডাকশন প্লানিং অ্যান্ড কন্ট্রোল বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়ায় তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হতে পোস্ট করে। এতে শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে দায়ী করে পোস্ট করে।

তার ফেসবুক পোস্টে যা লিখেছেন, মামুন সাহেব তৈরী আছেন তো। ঝিনাইদহে খুব শীঘ্রই দেখা হবে। জামাতের শিবিরের নেতা হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায়, বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, শেখ কামাল টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং কলেজ ছাত্রলীগের নেতা হয়েছি বলে তুমি ক্যারিয়ার নষ্ট করবা  তোমার ষড়যন্ত্র বঙ্গবন্ধুর বাংলায় হতে দিব না। ক্যাম্পাসে ক্লাস নিবা না, বছরে ৬ মাস ছুটিতে থাকবা, বিভিন্ন সংগঠনের টাকা মেরে খাবা, জাতীয় দিবস পালন না করে সেই টাকা মেরে খাবা আবার ক্যাম্পাসের স্টুডেন্টদের ক্ষতি করে বেড়াবা বহুত বড় নেতা হয়ে গেছো? ছাত্রলীগ সেই কাজে বাঁধা দিলে সরাসরি হুমকি দিয়ে, অপেনলি সবার সাথে বলে কয়ে ফেল করাবা, সাব্বাশ বেটা দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।'

ফেসবুক পোস্টদাতা এ. কে. এম আহসান উল্লাহ (নাঈম)কে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, কলেজে অনেক দুর্নীতি হচ্ছে। আমাদের ক্যাম্পাসে এমনিতে শিক্ষক সংকট। শিক্ষকরা এক্সটা ইনকামের জন্য বাইরে গিয়ে ক্লাস নেন। আমি ছাত্রলীগ করি বলে ওনি আমাকে পরীক্ষায় নম্বর দেয় নি। শিক্ষকরা আমাদের আটকে দিতে চায় যেন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ সক্রিয় হতে না পারে। ওনারা চায় যেন একসাথে হয়ে দুর্নীতি করতে পারে।

শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রাজনীতি যে কেউ করতে পারে এবং এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। যে অভিযোগ আনে সে নিয়মিত ক্লাস করত না। আমি পরীক্ষার দুদিন আগ পর্যন্ত ক্লাস নিয়েছি। আর পরীক্ষার খাতা কোনটা কার তা দেখে আমরা কোন শিক্ষকই মার্কিং করি না, আমাদের কাছে সকল ছাত্রই সমান। খাতা কোন শিক্ষক মূল্যায়ন করেছেন তা জানার কোন সুযোগ নেই এবং ইহা অত্যন্ত গোপনীয়। খাতা দেখায় কোনো ত্রুটি থাকলে স্ক্রুটনাইজিং এবং টেবুলেশনের সময় বারবার চেক দেওয়া হয়, তাই মার্কিং নিয়ে অভিযোগটা একেবারেই ভিত্তিহীন। তাছাড়া মার্কিং এবং রেজাল্ট নিয়ে অভিযোগ থাকলে যে কোন ছাত্রই অফিসিয়াল নিয়ম অনুযায়ী অভিযোগ করতে পারে। কিন্তু সেটা না করে এভাবে সোস্যাল মিডিয়ায় একজন শিক্ষককে নিয়ে আজেবাজে পোস্ট দেয়া শিক্ষকদের জন্য সম্মান হানিকর।


 প্রজন্মনিউজ২৪/আরা
 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ