প্রকাশিত: ১১ মার্চ, ২০২৪ ১২:২৬:৩৩
নিজস্ব প্রতিনিধি: রমাদান,মহান আল্লাহর এক নেয়ামত, সব মাসের সেরা মাস। বছর ঘুরে আবারো রমাদান আমাদের মাঝে সমাগত। এই মাস ইমানদারদের জন্য মহান রবের পক্ষ থেকে স্পেশাল বোনাস।রামাদানের প্রত্যেক ইবাদতের সওয়ার দিগুণ থেকে সত্তর গুণ, এমনকি পর্যায়ক্রমে সাতশত গুণ বৃদ্ধি করা হয়।
এই মাস সালাত,সাওয়াম,যাকাত,সাদকা তেলাওয়াত,যিকির ও ইস্তেগফারের মাস।মহান আল্লাহ এ মাসে বান্দাদের ক্ষমা ঘোষণা করেন। রমাদানে ইবাদতের প্রতি অত্যাধিক মনযোগ দিয়ে সময়কে কাজে লাগাতে হবে।
সিয়াম পালন:সিয়াম পালন রামাদানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।পবিত্র কুরআনে আল্লাহ ইরশাদ করেন,হে ইমানদারগণ তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমনিভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর,যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার"।(বাকারা:১৮৩)।
তাকওয়া মুমীন জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ।আল্লাহ বলেন "আর তোমরা পাথেয় সংগ্রহ কর।নিশ্চয় সবচেয়ে উত্তম পাথেয় হচ্ছে তাকওয়া"।(বাকারা:১৯৭)।
তাকওয়া হল শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সে ব্যক্তিই বেশী মর্যাদাসম্পন্ন যে তোমাদের মধ্যে বেশী তাকওয়াবান"।(হুজরাত:১৩)।
কিয়ামুল লাইল:কিয়ামুল লাইল:মাহে রমজানে কিয়ামুল লাইল একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কিয়ামুল লাইলের মাধ্যমে আল্লাহ মানুষের মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন।তিনি ইরশাদ করেন,আর রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ আদায় করুন,এটা আপনার জন্য অতিরিক্ত। আশা করা যায় আপনার রব আপনাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন, প্ৰশংসিত স্থানে"।(ইসরা:৭৯)।
কিয়ামুল লাইল হল গুনাহ মাফের অন্যতম মাধ্যম। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন,যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াবের আশায় রাত জেগে ‘ইবাদাত করে,তার পিছনের সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করা হবে"।(সহীহ বুখারী)।অন্য হাদিসে নবী কারিম (সা.) বলেন,তোমরা কিয়ামুল লাইলের প্রতি যত্নবান হও। কেননা তা তোমাদের পূর্ববর্তী নেককারদের অভ্যাস এবং রবের নৈকট্য লাভের বিশেষ মাধ্যম। আর তা পাপরাশী মোচনকারী এবং গুনাহ থেকে বাধা প্রদানকারী"।(তিরমিজি)
কুরআন নাজিলের মাস:মাহে রমজানের অন্যতম আকর্ষণ হল এই মাসেই পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ হয়।মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) উপর জিবরাইল (আ.) এর মাধ্যমে সুদীর্ঘ ২৩ বছরে পূর্ণাঙ্গ কুরআন নাজিল করা হয়েছে। কিন্তু এর সূচনা হয় রমজান মাসের লাইলাতুল কদরে। পবিত্র কুরআনের কারণেই রমজান মাস শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে। আল্লাহ বলেন, "রমাদান মাস, এতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের হেদায়াতের জন্য এবং হিদায়তের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে"। (বাকার:১৮৫)।
কুরআন এসেছে মানবজাতিকে হেদায়াতের আলোয় আলোকিত করে জান্নাতের অধিবাসী করতে। এজন্য যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রাসুল পৃথিবীতে আগমন করেছেন।তারা মানুষকে জাগতিক অন্ধকারর পরিহার করে রবের দিকে ফিরে আসার দাওয়াত দিয়েছেন। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন,"আলিফ লাম রা। এই কিতাব আমি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি যাতে তুমি মানব জাতিকে বের করে আনতে পার অন্ধকার হতে আলোর দিকে; তাঁর পথে, যিনি পরাক্রমশালী, প্রশংসা"। (সূরা ইব্রাহিম:০১)।
কুরআন'কে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন,
"তোমাদের রবের পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে যা নাযিল করা হয়েছে, তোমরা তার অনুসরণ কর এবং তাকে ছাড়া অন্য কাউকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করো না। তোমার খুব কমই উপদেশ গ্রহণ কর"। (আরাফ:০৩)।
মুমীনের প্রশিক্ষণ: রমজান মুমীনের প্রশিক্ষণের মাস, শুধু পানাহার থেকে বিরত থাকায় রামাদানের উদ্দেশ্য নয়। বরং যাবতীয় অন্যায়-পাপাচার থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে একজন মুমীন নফসের বিরুদ্ধে অবিচল থাকার প্রশিক্ষণ নিবে। এর মাধ্যমে সে বাকি এগারো মাস শয়তানের প্ররোচনা থেকে নিজেকে বাচিয়ে রেখে আল্লাহর হুকুম পালনে সচেষ্ট হবে। আল্লাহ বলেন, "আর যে স্বীয় রবের সামনে দাড়ানোকে ভয় করে এবং কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজেকে বিরত রাখে।জান্নাতই হবে তার আবাসস্থল"। (নাজিয়াত:৪০-৪১)।
রাসুলে করিম (সা.) হাদিসে ইরশাদ করেন, "যে ব্যক্তি মিথ্যা বলা ও সে অনুযায়ী আমল বর্জন করেনি তার খাবার ও পানীয় পরিত্যাগ আলস্নাহর কাছে কোনো উপকারে আসবে না"। (বুখারী)
রবের মাগফিরাত লাভ:রমজান মাসের সবচেয়ে বড় পাওয়া হল আল্লাহ তা'য়ালার ক্ষমা লাভ করা। রমজান মাসে রোজা রাখা নফল ইবাদত সবকিছুর মূল উদ্দেশ্য হল মাগফিরাত। আল্লাহ তায়ালার ক্ষমাই হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি। এর চেয়ে বড় আর কিছু হতে পারে না।
রমাদান গুনাহ মাফের এক বিরাট সুযোগ। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি ঈমানসহ পূণ্যের আশায় রমজানের রোজা পালন করে,তার পূর্বের গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়"।(সহিহ বুখারি)। যে রমজান পাওয়ার পর নিজের গুনাহ মাফ করাতে ব্যর্থ হয় তার জন্য রাসুল (সা:)অভিসম্পাত করেছেন। হাদিসে ইরশাদ হয়েছে,তিন প্রকার মানুষের ওপর আল্লাহর রাসুল (সা:)-এর অভিশাপ। তন্মধ্যে একপ্রকার হলো- যে ব্যক্তি রমজান পেয়েও নিজের গোনাহ ক্ষমা করাতে পারেনি।(মুসনাদে আহমাদ)।
রমজান হল আত্নসংযমের মাস, তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করার বিরাট সুযোগ। রমাদান নেকী চাষ করার সময়,ইবাদতের মৌসুম।তাই যথাযথ মর্যাদায় রমাদানের সিয়াম পালন,কিয়ামুল লাইল ও নফল ইবাদত পালন করতে হবে।এক মুহূর্ত সময় যেন হেলায় নষ্ট না হয়ে যায় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
প্রজন্মনিউজ২৪/আরা
ইউপি সদস্য কর্তৃক অসহায় নারীকে ধর্ষণ এক লক্ষ টাকায় ধামাচাপা
মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে পুরষ্কার জিতল বাংলাদেশের সিনেমা ‘নির্বাণ’
বাংলাদেশের চিকিৎসাসেবায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
মোস্তাফিজকে নিয়ে বিসিবির ভাবনা ঠিক নেই: হার্শা ভোগলে
একসঙ্গে ৬ সন্তানের জন্ম দিলেন ২৭ বছরের নারী, ভালো আছে সবাই
কবে দেশে ফিরবেন সাকিব, খেলবেন সুপার লিগে
৪৭ জনকে বৃত্তি প্রদান ও ৪ গুণীজনকে সম্মাননা
মুস্তাফিজের দুর্দান্ত ক্যাচের প্রশংসায় গিলক্রিস্ট
বিশ্বসেরা তারকা থাকার পরেও বেঙ্গালুরু কোন শিরোপা না জেতার কারন জানালেন ভন