প্রকাশিত: ১৩ জুলাই, ২০২৩ ০৬:৪৯:৩২
জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১৩ তলা নতুন একাডেমিক ভবন। ৯ টি দপ্তর ও ১৯ টি বিভাগসহ এ ভবনে রয়েছে সকল ডীন অফিস, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়াম, শিক্ষকদের ক্যান্টিনও। প্রতিদিন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে প্রায় ৮ হাজারের বেশি মানুষ ভবনটিতে অবস্থান করেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির সবচেয়ে জনবহুল এ ভবন নির্মাণের পর কর্তৃপক্ষ বুঝে নেয়ার দেড় বছরের মাথাই ধরেছে ফাটল। এ ফাটলের কারণ হিসেবে নিম্নমানের নির্মাণ উপকরণ ব্যবহারকে দুষছেন প্রকৌশলীরা। তবে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এবিষয়ে বলছেন ভিন্ন কথা।
এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, নতুন একাডেমিক ভবনের ১৩ তালায় পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কার্স দম্পরের সহকারী প্রকৌশলী মঞ্জুর হোসেনের রুমের ভিতরে পিলার-বিমে দীর্ঘ ফাটল ধরেছে। এরআগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ভবনটির নিমার্ণ কাজ শেষ হলে বুঝে নেয় বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে ও এরআগে প্রকাশিত একাধিক গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালে ভবনটির ছয়তলা করা হয়েছিল। এরপর সেটি ২০ তালা ভবনের সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়। কিন্তু নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ভবনটি নির্মাণ করায় কয়েক বছরের মধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দেয়। তখন বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় ১৩ তলা পর্যন্ত এ ভবনের সম্প্রসারণ করা যাবে। সে অনুযায়ী ওই নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজের জন্য টেন্ডার আহ্বান করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু ৮ বার টেন্ডার আহবানেও কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অংশই নেয়নি। পরে ২০১৪ সালের শেষের দিকে কাজটি পায় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান 'দ্যা বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ারর্স অ্যান্ড দেশ উন্নয়ন লিমিটেড' (জেপি) নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠান ৫ বার মেয়াদ নিয়ে ৮ বছরে ভবনটির সম্প্রসারিত ৬ তালার কাজ শেষ করে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ভবনটির নির্মাণের সময় নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। প্রকৌশলীরা নানা সময় এসব অনিয়ম হাতে নাতে ধরেছেন। একবার মেঝের ঢালাই দেয়ার সময় পাথরের পরিবর্তে ইটের খোয়া দেয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রকৌশলী ধরে ফেলেন। বস্তা বোঝায় করে সে ইটের খোয়া সাবেক উপাচার্য মিজানুর রহমানকে দেখানো হয়। পরবর্তীতে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে জানানো হলেও নিম্ন মানের উপকরণ ব্যবহার বন্ধ করা যায়নি। গোপনে নানা সময় নিম্ন মানের উপকরণ ব্যবহার হয়েছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারীর সঙ্গে ফাটলে বিষয়ে তার রুমে কথা বলতে গেলে দেখা যায়, তার রুমের দেয়ালেও চিকন ফাটল। তবে সেটি প্লাস্টারের ফাটল বলে জানান তিনি। পরে ১৩ তালায় বড় ফাটল বিষয়ে জানতে চাইলে হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ফাটলের বিষয়টি জানা নেই। তবে সরেজমিন করে ফাটল পেলে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়ে আমরা বিষয়টি জানাব। নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানকে জামানতের টাকা না দেয়া হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া যাবে।
এ বিষয়ে দ্য বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ারর্স অ্যান্ড দেশ উন্নয়ন লি. (জেপি) নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন বলেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ভবন বুঝিয়ে দিয়েছি। একবছরের বেশি হয়ে গেছে। এর ভিতরে কিছু হলে আমরা দেখতাম। আমরা আমাদের জামানতও তুলে ফেলেছি। এতো কম সময়ে ভবনের ফাটলের বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি ওই প্রতিষ্ঠানে এখন চাকরি করি না। এ বিষয়ে আমি কথা বলতে রাজি না।
এদিকে ভবনটির সার্বক্ষনিক দেখভালে নিয়োজিত থাকা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) উপ-সহকারী প্রকৌশলী সামসুল আলম বলেন, ভবনটি ২০ তালা করার কথা ছিল। কিন্তু বেজমেন্টের পরিক্ষা করে ১৩ তালা পর্যন্ত করা হয়েছে। ভবনের কাজে কোন নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হয়নি। আমাদের সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী টিম সার্বক্ষণিক কাজ দেখেছে। তারা তখন কোনো অভিযোগ করে নি। ফাটল ভূমিকম্পেও হতে পারে। কোনো অভিযোগ আসলে আমরা বিষয়টি দেখব।
এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি পুরনো ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে রাজউক। নতুন একাডেমিক ভবনের এ ফাটল ভূমিকম্পের কথা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নতুন করে ভাবিয়ে তুলবে বলে মনে করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
প্রজন্মনিউজ২৪/এমএইচ
সম্মানহানির বিচার চেয়ে জবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ডীনের অভিযোগ
বরিশালে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত দুই
জবি শিক্ষককে হেনস্থা, সতর্ক করেই দায় সেরেছে প্রশাসন
দাদা এমদাদের দাদাগিরি দুদকের জালে
সমন্বয় করে গ্রীষ্মকালীন ও পবিত্র ঈদুল আযহার ছুটি চান ববি শিক্ষার্থীরা
বৃষ্টির জন্য বশেমুরবিপ্রবিতে ইসতিসকার নামাজ আদায়
নিউইয়র্কের বাফেলোতে গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
Severity: Notice
Message: Undefined index: category
Filename: blog/details.php
Line Number: 417
Backtrace:
File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/blog/details.php
Line: 417
Function: _error_handler
File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/template.php
Line: 199
Function: view
File: /home/projonmonews24/public_html/application/controllers/Article.php
Line: 87
Function: view
File: /home/projonmonews24/public_html/index.php
Line: 315
Function: require_once