জবি প্রতিনিধি: ড.ইউনুসের প্ররোচনায় স্যাংকশন দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী । জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের 'জুলি ও কুরি 'শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন।

আজ মঙ্গলবার (৩০ মে) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের 'জুলি ও কুরি 'শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবিতে) অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন,তথাকথিত নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপ্ত ড. ইউনুস। অশান্তিতে শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। তার প্ররোচনায় স্যাংকশন দেওয়া হয়েছে। নোবেল শান্তি পুরস্কারকে অশান্তির কাজে লাগাতে যুদ্ধবাজ আমেরিকা রাজনীতিবিদ হিলারি ক্লিনটনের সাথে গাঁট বেঁধেছেন ড. ইউনুস। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন,"আপনারা তার উপকরণগুলো বাংলা এবং ইংরেজিতে লিখে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরুন।

তিনি তার বক্তব্যে আরো বলেন,"বঙ্গবন্ধুর যে শান্তির দর্শন তা বঙ্গবন্ধুর কন্যা রাজনীতিতে নানাভাবে শুধু প্রতিষ্ঠা করেন নি তার আলোকে তিনি রাজনৈতিক পরিচালিত করেন।

সভাপতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন ,বঙ্গবন্ধু কতটা শান্তি পূর্ণ ছিল ঐটার প্রমাণ পাওয়া যায় ৭ই মার্চের ভাষণে। মাত্র ১৮ মিনিটের ভাষণ।স্বাধীনতা নিয়ে সব কথা বলেছেন, ‌একইসাথে ঐ ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন যারা সামরিক বাহিনীতে তাঁরা হচ্ছেন ভাই তাদের প্রতি ভালোবাসা ও শান্তির আহ্বান দিয়েছিলেন। আগামী নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর কন্যা ক্ষমতায় না আসলে দেশ পিছিয়ে পড়বে এর জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, এবং একতাবদ্ধ হয়ে সামনের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন‌্যা শেখ হাসিনা সমর্থন করতে হবে।

তিনি তার বক্তব্যে আরো বলেন, অনেক জায়গায় দেখা যায় আমরা বঙ্গবন্ধু বলতে বলতে অস্থির হয়ে যাই। কিন্তু অন্তরে ধারণ করি না। বাস্তবে প্রয়োগ করি না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অন্তরে ধারণ করতে হবে।

তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রীর কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে বলেন,"যখন আমাদের ভার্সিটি খোলা থাকে মনে হয় গুলিস্তান এত জ্যামের মধ্যে নেই।" 

উল্লেখ্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: ইমদাদুল হক এর নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজিব মঞ্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা সমিতি সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও শহীদ মিনার চত্বরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে উৎসবটি উদযাপন করা হয়।

প্রজন্মনিউজ২৪/এমএ