পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ মির্জাগঞ্জে আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার মো. মিজানুর রহমানকে ম্যানেজ করে সরকারি খাল দখল করে ঘর উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। তফসিলদারের সহায়তায় উপজেলার মহিষকাটা (বাজার) খাল দখল করে মো.সালাম সিকদার অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

সরজমিন পরিদর্শন করেও এসব দেখেও না দেখার ভান করছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী বলে জানান তারা। একই খালের সরকারি জমি একাধিকবার সীমানা নির্ধারণ করা হলে একটি বেসরকারি কোরআন শিক্ষা মাদ্রাসা সরিয়ে নেয়া হয়।

অথচ সরকারি কোনো সার্ভেয়ার না এনে স্থানীয় লোকজনকে দিয়ে খাল মাপজোক করে ব্যক্তি মালিকানা জমি হিসেবে ঘর উত্তোলনের জন্য বলেন ভূমি অফিসের তহসিলদার মিজানুর। এতে ওই এালাকার সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

মহিষকাটা এলাকার বাসিন্দা মো. মাসুদ মোল্লা ও মো. আল আমিনসহ অনেকেই জানান, মহিষকাটা বাজারের পিছনে ক্লিনিকের সামনে ১৬৮৬ দাগের সরকারি খাল দখল করার পাঁয়তারা চালায় সালাম সিকদার নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি।

স্থানীয়রা অভিযোগ করলে একাধিকবার উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার এসে মাপজোক করে জানান, ওই জমি সরকারি খালের। কিন্তু আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নতুন যোগদানকৃত তহসিলদার মিজানুর রহমান মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে ওই জমি সরকারি সার্ভেয়ার ব্যতীত স্থানীয় আমিন দিয়ে পরিমাপ করে সরকারি খালের জমিকে সালাম সিকদারের ক্রয়কৃত জমি বলে স্বীকৃতি দেন এবং তাদের ঘর উত্তোলনের জন্য বলেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ওয়ালিদ খান বলেন, আমার জানা মতে ওই জমি ১৬৮৬ দাগের সরকারি খালের জমি। তহসিলদার কীভাবে স্থানীয় আমিন দ্বারা মেপে জমিটি ব্যক্তি মালিকানা বলে আমার বোধগম্য নয়।

সালাম সিকদারের সঙ্গে কথা বললে জানান, তহসিলদার এই জমি আমাদের কবলা জমি বলে জানিয়েছেন এবং ঘর উত্তোলন করতে বলেছেন।

আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার মো. মিজানুর রহমান বলেন, স্থানীয় আমিন দিয়ে জমি পরিমাপ করে দেখি এ জমি সরকারি দাগের নয়, তাই তাদের ঘর তুলতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রজন্মনিউজ২৪/একে