সিলেটের দিঘীগুলো সংস্কার হলে পর্যটন নগরী হিসেবে পরিচিতি পাবে

প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারী, ২০২৩ ১২:২১:২৫ || পরিবর্তিত: ২৬ জানুয়ারী, ২০২৩ ১২:২১:২৫

সিলেটের দিঘীগুলো সংস্কার হলে পর্যটন নগরী হিসেবে পরিচিতি পাবে

আবুল কাশেম রুমন,সিলেট প্রতিনিধিঃ সিলেটের প্রতিটি দিঘী, মরা দিঘীতে পরিণত হচ্ছে। একসময় ‘দিঘীর শহর’ হিসেবে পরিচিত ছিল পর্যটন নগরী সিলেট। মজুমদার দিঘী, দস্তিদার বাড়ী দিঘী, রামের দিঘী, লালদিঘী, ধোপা-দিঘী, মাছুদিঘী, কাস্টঘর দিঘী, সুপানিঘাট দিঘী, কাজলশাহ দিঘী, সাগর-দিঘী, চারা-দিঘীসহ অসংখ্য দিঘী ছিল নগরজুড়ে। 

তবে নগরীতে মানুষের কোলাহল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একের পর এক ভরাট হয়েছে এসব দিঘী। যেগুলো অবশিষ্ট আছে, দখল- বেদখলে তার বেশিরভাগই চির চেনা-রূপ সংকটে পড়েছে। এক সময়কার ঐতিহ্যবাহী ধোপা-দিঘীও পরিণত হয়েছিল ভাগাড়ে।

প্রায় হারিয়ে যেতে বসা এই দিঘী পেয়েছে নান্দনিক রূপ। নগরীর মানুষকে নির্মলতার স্বাদ দিতে এই দিঘীকে বদলে দেওয়া হয়েছে নান্দনিকতায়। দিঘির চারপাশে প্রায় ৫০০ মিটার দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। দিঘীতে নামার জন্য রয়েছে সুদৃশ্য দু’টি ঘাট। দর্শনার্থীদের বিশ্রামের জন্য রাখা হয়েছে টাইলস বসানো বেঞ্চ, রয়েছে টয়লেটও।

আরও পড়ুন:পরীক্ষায় অসদুপায়ের অভিযোগে জবির ১৪ শিক্ষার্থীকে সাজা

ধোপা-দিঘী এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের মসজিদের উত্তর পাশ দিয়ে দিঘিতে প্রবেশের পথ রাখা হয়েছে। সন্ধ্যা বেলায় দিঘী এলাকায় রাখা হয়েছে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা।

তবে শিশুদেও খেলার জায়গা ও দিঘীর পানিতে প্যাডেল বোট রাখার কথা রয়েছে। সব মিলিয়ে এক সময়ের  নোংরা ধোপা-দিঘী এখন নগরবাসীর ফুসফুস হয়ে উঠেছে। নির্মলতার স্বাদ প্রতিদিন বিকেল হলেই সেখানে দলবেঁধে ছুটছেন নানা বয়সী মানুষ। অনেককে আবার ওয়াকওয়ে-দিঘীর ঘাটে সেলফি তুলছেন, টিকটক ভিডিও করতেও দেখা গেছে। বিনোদন প্রেমীদের কাছে ক্রমেই ধোপা-দিঘী পরিচয় পাচ্ছে  সেলফি দিঘী' হিসেবে।

গত বছরের (১১ জুন) ধোপা-দিঘীর চারপাশজুড়ে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে উদ্বোধন করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. একে আবদুল মোমেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম  দোরাইস্বামী ও সিলেট সিটি করর্পোরেশন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সিলেট সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের (২৩ এপ্রিল) সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল শাখা থেকে এই প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়। 

সিসিক ধোপা-দিঘীকে নতুন রূপ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর ভারত সরকার এগিয়ে আসে এর অর্থায়নে। ধোপা-দিঘী এরিয়া ফর বেটার এনভায়মেন্ট অ্যান্ড বিউটিফিকেশন’ নামে প্রকল্প গ্রহণ কওে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু হয়।

সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা জানান, দীঘিতে পানি ছিল ৩ দশমিক ৪১ একর জায়গাজুড়ে। চারপাশে দখল হওয়া জায়গা উদ্ধারের পর পানির সীমানা বেড়ে কমপক্ষে ৩ দশমিক ৭৫ একরে উন্নীত হয়। নোংরা দুর্গন্ধময় পরিত্যক্ত এই দীঘিকে অপরূপ সৌন্দর্যে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। ২০২০ সালে (২ ফেব্রুয়ারি) মাসে  ধোপা-দিঘীতে সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।

আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত দুই

চারদিকে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। বসার জন্য রয়েছে বেঞ্চ। পুকুরে নামার জন্য রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ঘাট। পরিষ্কার করা হয়েছে নোংরা পানি। নৈসর্গবিদের পরামর্শে গাছ লাগানো হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে পাবলিক টয়লেটও।

তবে পরিবশেবীধদের মতে যদি সিলেটের প্রতিটি দিঘী সংস্কার ও অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করে সংস্কার করে নান্দনিক ভাবে সাজানো হয় তাহলে সিলেট নগরীর একটি পর্যটন নগরী হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সরকারের সহযোগীতার একান্ত প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন।


প্রজন্মনিউজ২৪/এ কে

এ সম্পর্কিত খবর

প্রচণ্ড গরমে দিনের পরিবর্তে রাতে কাজ করবে ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা

জাতীয় পার্টির ভবিষ্যৎ অন্ধকার: কাজী ফিরোজ

আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রেখে সমস্যার সমাধান হবে না: আব্দুস সালাম

ইউএসএ বাংলা সাহিত্য সম্মেলন-২৪

এলাকার রেজান আলীর প্রতারণার ফাঁদে ফারুক মিয়া

বাংলাদেশের চিকিৎসাসেবায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী

চুয়াডাঙ্গায় আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি

এক মিনিটেই তাদের বিসিএসের স্বপ্নভঙ্গ

উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীরা প্রভাব ফেলতে পারেন

কাচিয়ায় ৭নং ওয়ার্ড উপনির্বাচনে প্রার্থীর বিরুদ্ধে জ্বিন প্রতারনা মামলার অনুসন্ধানশ্লিপ পাঠিয়েছে সিআইডি

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ