প্রকাশিত: ২৪ জুন, ২০২২ ০৪:২২:১৪
রাবি প্রতিনিধিঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে মাঝরাতে ছাত্রকে মারধর করে বের হয়ে যেতে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে হল শাখা ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (২৪ জুন) প্রথম প্রহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী এ অভিযোগ তোলেন। তবে মারধরের অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগের ঐ নেতা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের মুন্না ইসলাম। তিনি নবাব আব্দুল লতিফ হলের ২৪৮ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী। অভিযুক্তরা হলেন, নবাব আব্দুল লতিফ হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম এবং তার দুই অনুসারী পারভেজ ও তৌহিদ।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, রাত ২ টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা শামীমের দুই অনুসারী ২৪৮ নম্বর কক্ষে এসে তাকে বের হয়ে যেতে বলে। সে যেতে না চাইলে তারা জোর করে তার বিছানাপত্র ও অন্য জিনিসপত্র বাইরে ছুড়ে মারে। তারপরেও সে বের না হয়ে বিছানার উপর বসে পড়লে পারভেজ ও তওহীদ তার সাথে খুব বাজে ব্যবহার করা শুরু করে। তারপর তওহীদ নামের ছেলেটি ঘাড় চেপে ধরে টানতে টানতে তাকে দরজার কাছে আনে এবং পিঠে দুইটা কিল মারেন।
ভুক্তভোগী মুন্না ইসলাম আরো অভিযোগ করেন, গত পাঁচ মাস যাবৎ সে ওই কক্ষে আছে। আবাসিকতার কার্ড-ও আছে তার। অথচ মাঝরাতে এভাবে কক্ষে ঢুকে একজন আবাসিক ছাত্রকে কিল-ঘুষি মেরে হুমকি দেয়ার পাশাপাশি জোরপূর্বক সিট দখলের চেষ্টা করেন ছাত্রলীগের ঐ দুই কর্মী। এমতাবস্থায় প্রশাসনের নিকট নিরাপত্তা চেয়েছেন এ শিক্ষার্থী।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত হল শাখা ছাত্রলীগ কর্মী পারভেজ জানান, আমরা মানবিক কারণে তাকে হলের রুমে থাকতে দিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের না জানিয়ে সে ছাত্রলীগের সিটে উঠেছে। তাকে সেখান থেকে চলে যেতে বলা হলে আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করে।
সিনিয়ররা সিট পাচ্ছে না, সেখানে সে কিভাবে থাকে বলে প্রশ্ন তোলেন এ ছাত্রলীগকর্মী। এছাড়া তাকে কোন ধরণের মারধর করা হয়নি বলে জানান তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম জানান, মুন্না নামের ছেলেটা ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। বর্তমান প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এ সেশনের কোন শিক্ষার্থী হলে উঠতে পারবে না। কিন্তু তার পারিবারিক সমস্যা দিক বিবেচনা করে প্রাধ্যক্ষ সিটে এলোট দিয়েছেন। অন্য আরেকজন সিনিয়র শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগকর্মীও এলোট প্রাপ্ত। তাই তাকে সিট ছেড়ে অন্য রুমে যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু সে তাদের সাথে খারাপ আচরণ করেছে। তবে তাকে কোন ধরণের মারধর কিংবা কিল-ঘুষি মারা হয়নি বলে জানান এ ছাত্রলীগ নেতা।
এবিষয়ে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, রাতের বিষয়টি কিছুটা জেনেছি। তাকে সেই কক্ষেই থাকতে বলেছি। সে আবাসিক শিক্ষার্থী, তার সেই কক্ষে থাকার অধিকার রয়েছে।
মারধরের বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাকে মারধর করা হয়েছে এমন অভিযোগ পাইনি। যদি এমনটা ঘটে, তবে এবিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ১০ দিনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে নামিয়ে দেয়াসহ অবৈধভাবে সিট দখল করতে হল গেটে তালা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। হলে ছাত্রলীগের এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একাধিক প্রাধ্যক্ষ। তবে এবিষয়ে প্রশাসন কার্যকরী কোন পদক্ষেপ না হওয়ায় হতাশ অনেকে।
প্রজম্মনিউজ২৪/ফারহান আহমেদ
সিংড়ায় অগ্নিকান্ডে পুড়লো ১২ স্বর্ণের দোকান, অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
প্রচণ্ড গরমে দিনের পরিবর্তে রাতে কাজ করবে ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা
জাতীয় পার্টির ভবিষ্যৎ অন্ধকার: কাজী ফিরোজ
আগামীকাল রাজধানীর যেসব এলাকায় ১২ ঘন্টা গ্যাস থাকবে না
২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি কমেছে ১৫.৪৯ শতাংশ
ইউএসএ বাংলা সাহিত্য সম্মেলন-২৪
এলাকার রেজান আলীর প্রতারণার ফাঁদে ফারুক মিয়া
কাশ্মীর উপত্যকায় উত্তেজনা, সেনা অভিযানে একজন নিহত
বাংলাদেশের চিকিৎসাসেবায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী