গাইবান্ধা সরকারি এতিমখানার ভবণ ৯ বছর ধরে ঝুকিপূর্ণ

প্রকাশিত: ১৪ মে, ২০২২ ১১:২৪:২২ || পরিবর্তিত: ১৪ মে, ২০২২ ১১:২৪:২২

গাইবান্ধা সরকারি এতিমখানার ভবণ ৯ বছর ধরে ঝুকিপূর্ণ

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ প্রায় ৯ বছর ধরে গাইবান্ধা সরকারি শিশু পরিবারের (বালক এতিমখানা) আবাসিক ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হলেও নতুন ভবন নির্মাণের কোনো উদ্যোগ লক্ষ করা যাচ্ছে না। ফলে আবাসন সঙ্কটে এক কক্ষে তিন থেকে চারজন এতিম শিশুকে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। এতে করে চরম অস্বস্তিতে থাকায় পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটছে ও স্বাস্থ্যগতসহ নানান সমস্যায় ভুগছে এতিম শিশুরা। 
 
গাইবান্ধা সরকারি শিশু পরিবার (বালক) সূত্রে জানা গেছে, জেলা শহরের প্রফেসর কলোনিতে এতিম শিশুদের থাকার জন্য দুই তলাবিশিষ্ট একটি আবাসিক (ডরমেটরি) ভবন নির্মাণ করা হয় ১৯৭৪ সালে। ১০০ আসনবিশিষ্ট এই শিশু পরিবারে এতিম শিশু রয়েছে ৮০ জন। ২০১৩ সালের ৫ জুন তৎকালীন জেলা প্রশাসক ড. কাজী আনোয়ারুল হকসহ গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর এতিম শিশুদের স্থানান্তর করা হয় পাশের দুটি টিনশেড ঘর ও কার্যালয় ভবনের বিভিন্ন কক্ষে। বর্তমানে আবাসন সঙ্কটে এক কক্ষেই তাদের সাত থেকে আটজন পর্যন্ত গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। 

সূত্রটি আরও জানায়, গাইবান্ধা-নাকাইহাট সড়ক উঁচু করে নির্মাণ করায় প্রতিষ্ঠান চত্বর নিচু হয়ে গেছে। এজন্য বর্ষাকালে রাস্তার সব পানি পুরো প্রতিষ্ঠান চত্বরে জমে থাকায় ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এজন্য প্রতিষ্ঠানটিতে মাটি ভরাট করে উঁচু করতে হবে। 

আবাসিকে থাকা কয়েকজন এতিম শিশু জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে থাকতে ভয় লাগে। কখন যে ভেঙে পড়বে সেই আশঙ্কায় থাকত তারা। এখন সেই সমস্যা না থাকলেও বর্তমানে আরেক সমস্যায় আছে। এক কক্ষেই সাত  থেকে আটজন পর্যন্ত থাকতে হচ্ছে। এতে করে পড়াশোনায় মনোযোগে বিঘ্ন ঘটছে। একজন অসুস্থ হলে অন্যরাও অসুস্থ হয়ে পড়ে। ফলে নানা সমস্যায় দিনাতিপাত করতে হচ্ছে সবাইকে। সেই সঙ্গে আয়রনযুক্ত পানি পান ও ব্যবহার করতে হচ্ছে। তাই দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণের জোর দাবি জানিয়েছে এতিম শিশুরা। 

গাইবান্ধা সরকারি শিশু পরিবারের (বালক) উপ-তত্ত্বাবধায়কের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা পলাশবাড়ী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আবু মোহাম্মদ সুফিয়ান বলেন, প্রায় ৯ বছর ধরে এক কক্ষে তিন থেকে চারজন এতিম শিশুকে কষ্ট করে থাকতে হচ্ছে। তাদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ করা দরকার। 

এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক ফজলুল হক বলেন, ১২টি জেলায় চারতলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক ভবন নির্মাণ করা হবে। এই তালিকায় রংপুর ও গাইবান্ধার নাম রয়েছে। এই নতুন ভবন নির্মাণ কাজের প্রকল্প চলতি অর্থবছরেই শুরু হবে বলে জানতে পেরেছি। আর সেটি এবারও না হলে এতিম শিশুদের আরও কিছুদিন কষ্ট করতে হবে।


প্রজন্মনিউজ২৪/রেদওয়ান

এ সম্পর্কিত খবর

প্রচণ্ড গরমে দিনের পরিবর্তে রাতে কাজ করবে ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা

আগামীকাল রাজধানীর যেসব এলাকায় ১২ ঘন্টা গ্যাস থাকবে না

২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি কমেছে ১৫.৪৯ শতাংশ

এলাকার রেজান আলীর প্রতারণার ফাঁদে ফারুক মিয়া

কাশ্মীর উপত্যকায় উত্তেজনা, সেনা অভিযানে একজন নিহত

বাংলাদেশের চিকিৎসাসেবায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী

চুয়াডাঙ্গায় আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি

এক মিনিটেই তাদের বিসিএসের স্বপ্নভঙ্গ

গাজীপুরে চিরকুট লিখে স্বামী-স্ত্র‌ীর আত্নহত্যা

কাচিয়ায় ৭নং ওয়ার্ড উপনির্বাচনে প্রার্থীর বিরুদ্ধে জ্বিন প্রতারনা মামলার অনুসন্ধানশ্লিপ পাঠিয়েছে সিআইডি

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ