পদ্মার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি, মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত: ০২ অগাস্ট, ২০২১ ০৩:১৮:৫০ || পরিবর্তিত: ০২ অগাস্ট, ২০২১ ০৩:১৮:৫০

পদ্মার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি, মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ পদ্মা নদীর চিরচেনা রাক্ষুসী থাবায় বিলীন হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার প্রায় সাড়ে ৭ কিলোমিটার এলাকার ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। পানি বাড়ায় শিবগঞ্জের ৬ এলাকার লোকজন ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন। সবচেয়ে বেশি হুমকিতে আছে বাদশাপাড়া নামের গ্রামটি। পদ্মা পাড়ের ১০ থেকে ১৪ পরিবার ওই স্থান থেকে সরে গিয়ে নিরাপদ দূরত্বে ঘর বেঁধেছে।

শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী তারাপুর, রামনাথপুর, মনোহরপুর, নামোজগন্নাথপুর, আইউব বিস্বাস পাড়া, দোভাগী, বোগলাউড়িসহ কয়েকটি পয়েন্টে প্রায় ৭ কিলোমিটার এলাকা ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। গত কিছুদিন থেকে যা বেড়েই চলেছে। সরেজমিনে এইসব চিত্র দেখা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, গত ৩ বছরে প্রায় ৮ কিলোমিটার নদী ভেঙ্গেছে এই এলাকায়। এখানে এখন বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে। প্রায় ৫০০ গজের মধ্যে চলে এসেছে নদী। বর্তমানে নদী ভাঙ্গনের ফলে প্রায় ৬টি প্রতিষ্ঠান নদীর ঠিক প্রায় ৫০০ মিটার দুরে অবস্থান করছে। ভাঙন অব্যাহত থাকলে বা জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সবই নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।

রামনাথপুর এলাকার বজলুর রশিদ জানান, প্রতিবছর নদী ভাঙন দেখতে সরকারি লোকজন আসে। কিন্তু গত ৪ বছরে পদ্মা নদীতে হাজার হাজার বিঘা জমি মিলিয়ে গেছে। কেউ তো ক্ষতিপূরণ দেয়নি। এই মুহূর্তে বাদশাহ পাড়া, পন্ডিত পাড়া, দোভাগী, মনোহরপুর, ঠুঠা পাড়া, রামনাথপুর সবচেয়ে বেশি হুমকিতে আছে।

সাইফুল নামে এক কৃষক বলেন, ‘আমার বাড়ি আগে ছিলো পণ্ডিত পাড়াতে, পদ্মা নদীতে ভাঙনের কারণে আমি দোগাভিতে পরের জমিতে ঘর করেছি। এখানেও ভাঙন ধরেছে। এতো বড় দুর্যোগেও কোনো সাহায্য সহযোগিতা পাইনি।’

এবিষয়ে দুর্লভপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজিব জানান, দুর্লভপুর ইউনিয়নসহ আশপাশের পদ্মা নদীতে বেশ কয়েক বছর ধরেই ভাঙ্গন অব্যাহত আছে। এ বিষয়ে আমি পরিষদ চেয়ারম্যান, পানি উন্নয়ন বোর্ড, এমনকি বিভাগীয় পর্যায়েও দরখাস্ত দিয়েছি জানিয়েছি নদী ভাঙ্গন ঠেকাতে ও স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণ করে দিতে।

এ বিষয়ে রোববার মুঠোফোনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে, নদী ভাঙন বিষয়ে বিস্তারিত জেনে জানাবেন বলে জানানো হয়।

পদ্মা নদীর ভাঙন ঠেকাতে এখন প্রয়োজন ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে সঠিকস্থানে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এছাড়া ভাঙন ঠেকানো সম্ভব নয়। এলাকাবাসী ভুক্তভোগীসহ সকলের এখন একটাই দাবী অতি দ্রুত নদী ভাঙন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

প্রজন্মনিউজ২৪/সিফাত/রায়হান

 
 

 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ