সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত একটি শহরে দেশটির সরকারি বাহিনীর হামলায় শিশুসহ সাত জন নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন ১৪ জন চিকিৎসাসেবা কর্মী। স্থানীয় সময় রোববার একটি সেনা চৌকি থেকে এ হামলা করা হয়।

চিকিৎসাকর্মী, প্রত্যক্ষদর্শী ও উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছে, সরকারি বাহিনীর এক সেনা চৌকি থেকে ছোড়া আর্টিলারি শেল আলেপ্পোর পশ্চিমে অবস্থিত শহর আতারেবের একটি হাসপাতালে আঘাত করলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

এছাড়া প্রকাশিত বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বিধ্বস্ত হাসপাতাল থেকে রক্তাক্ত রোগীদের বাইরে নিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারী সংস্থার কর্মীরা। হামলায় নিহত সাত জনের মধ্যে একজন নারী ও এক শিশুও রয়েছে।

এর আগে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, রোববার দামেস্ক সমর্থিত সেনাদের ওই হামলায় পাঁচজন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন। উল্লেখ্য, এই হামলার আগে গত মাসে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় অস্ত্রবিরতি চুক্তি হয়েছিল।

অস্ত্রবিরতি চুক্তির আওতায় ছিল আতারেব। তারপরও সেখানে হামলা হলো। হাসপাতালটিতে ওই এলাকার প্রায় এক লাখ মানুষ সেবা নিতেন। হাসপাতালটির অবস্থান মাটির নিচে ছিল বলেও উল্লেখ করেছে।

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, এই গোলাগুলি ‘হাসপাতাল প্রাঙ্গণ ও প্রধান প্রবেশদ্বারে আঘাত হানে। তাতে এক শিশু ও হাসপাতালের এক কর্মচারীসহ পাঁচজন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।’

রাশিয়া ও ইরান সমর্থিত সিরিয়ার সরকারি বাহিনী এবং সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে চলমান এই সামরিক সংঘাতে সিরিয়ায় দেশজুড়ে শহরগুলোতে  হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। এতে হাসপাতালগুলো ধ্বংস হওয়া ছাড়াও রোগী, চিকিৎসাকর্মী ও সাধারণ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন।

প্রজন্মনিউজ২৪/এসআই