সম্ভাব্য খরচ আড়াই হাজার কোটি টাকা

পর্যটক আকর্ষণে খাগড়াছড়িতে ক্যাবল কার স্থাপন হবে-কংজরী চৌধুরী

প্রকাশিত: ০১ ডিসেম্বর, ২০২০ ০৭:৪৪:৪০ || পরিবর্তিত: ০১ ডিসেম্বর, ২০২০ ০৭:৪৪:৪০

পর্যটক আকর্ষণে খাগড়াছড়িতে ক্যাবল কার স্থাপন হবে-কংজরী চৌধুরী

নুর মোহাম্মদ, খাগড়াছড়ি থেকে ফিরে: দেশী ও বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণ করতে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির দূর্গম পাহাড়ে ক্যাবল কারের চিন্ত করা হচ্ছে। শীঘ্রই এর সম্ভাবতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হবে। প্রকল্পের আনুমানিক খরচ আড়াই হাজার কোটি টাকা হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

সম্প্রতি ‘খাগড়াছড়ির উন্নয়ন সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় পাবর্ত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী এ তথ্য জানান। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে পাবর্ত্য জেলা পরিষদের নানাবিধ উন্নয়ন, দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা ও সমস্যা-সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।

সভায় কংজরী চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামিলীগ সরকার তিন মেয়াদ ক্ষমতায় থাকার সুফল পেতে শুরু করেছে দেশের জনগণ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে এবং হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় পাবর্ত্য জেলাতেও নানাবিধ উন্নয়ন হয়েছে।

পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে প্রতিনিয়তই সরকার, জেলা পরিষদ ও সেনাবাহিনী সমন্বয়ে যৌথভাবে উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে। দেশী ও বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়ের উপর দিয়ে মালেশিয়া, ভারতের দার্জিলিংয়ের মতো ক্যাবল কার স্থাপনের চিন্তা করা হচ্ছে। এতে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা খরচ হতে পারে। দ্রুতই এর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দেশী বিদেশী পর্যটকদের কাছে দেশের পর্যটন খাত বিশেষ করে পার্বত্য এলাকার পর্যটন শিল্প  নতুনমাত্রা পাবে।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আরো বলেন, পার্বত্য এলাকার শান্তি নষ্ট করতে একটি মহল তৎপর রয়েছে। আমার বাবা ও নিকট আত্বীয়রা এই পার্বত্য এলাকার শান্তি প্রতিষ্ঠায় জীবন দিয়েছেন। আমিও পাহাড়ী-বাঙ্গালীদের মধ্যে সম্পৃতি বজায় রাখতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। ১০ বছর আগে যারা খাগড়াছড়ি এসেছেন তখনকার চিত্র আর বর্তমান চিত্র অনেক পার্থক্য। আগে সেনাবাহিনী দেখলে পাহাড়িরা আতঙ্কিত হতো, বর্তমানে সেনাবাহিনীকে তারা আর ভয় পায়না। শিক্ষার আলো ছড়াতে পারলে ধীরে ধীরে সব ভীতি দূর হবে। সবাই মিলেমিশে বসবাস করবো। রাজনৈতিক সমাধান আসলে পাহাড়ে কোন সন্ত্রাসী কমকান্ড হবেনা।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কংজরী চৌধুরী বলেন, সাজেকে কোন হাসপাতাল নেই, সেখানকার লোকজনকে সেনাবাহিনী ছাড়া কেউ চিকিৎসা দিতে পারে না। অচিরেই এখানে একটি হাসপাতাল হবে। আইনত জটিলতার কারণে অন্য কোন জেলার মানুষ এখানে বিনিয়োগ করতে আসতে পারেনা। তবে আইন সংশোধন হলে যে কেউ এখানে পর্যটন খাতে অংশ নিতে পারবেন। আইনগত জটিলতা দূর করার চেষ্ঠা অব্যহত আছে।

তিনি ইচ্ছা পোষণ করেন এখানে একটি বিমানবন্দর অথবা হেলিপ্যাড দরকার। যাতে দেশী ও বিদেশী পর্যটকরা সহজেই এ অঞ্চলে আসলে পারে। তাহলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠি অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে আসতে পারবে। সেনাবাহিনীর অধীনে হলেও বিমানবন্দর স্থাপন করা জরূরী।

সভায় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ ও ঢাকায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্তব্যরত প্রায় অর্ধশতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

প্রজন্মনিউজ২৪/নুর

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ