মুক্তিযোদ্ধাকে পিটানোর মামলায় স্ত্রীসহ ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর, ২০২০ ১২:৩৯:৩২

মুক্তিযোদ্ধাকে পিটানোর মামলায় স্ত্রীসহ ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

চাঁদা না পেয়ে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহ আলমকে পিটিয়ে দুই পা ও এক হাত ভেঙ্গে দেওয়ার ঘটনায় টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শিমু, তার স্ত্রী এলিজা বেগমসহ পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার বিকেলের ঘটনার পর গুরুতর আহত মুক্তিযোদ্ধাকে প্রথমে পটুয়াখালীতে পরে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।অবসরপ্রাপ্ত হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা ওই মুক্তিযোদ্ধার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুরও করে তারা।

আহত মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারী টিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শিমুর পঞ্চম স্ত্রী এলিজা বেগমকে আসন্ন চাকামইয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান করতে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে বেশ কিছুদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি, প্রতিপক্ষের উপর হামলাসহ নানা অপতৎপরতা চালিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছেন।

তারই ধারাবাহিকতায় কয়েকদিন আগে মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলমের ইটভাটা অফিসে গিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করলে তিনি দিতে অস্বীকৃতি ও এর প্রতিবাদ জানান।

এরপর রোববার বিকেলে টিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠি সোঠা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলমের অফিসে হামলা ও ভাংচুর করে তাকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে এলোপাথারী কুপিয়ে ও পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে চলে যায়।

পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।এ ঘটনায় টিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান ও তার পঞ্চম স্ত্রীসহ ১১ জন ও আরো অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামি করে কলাপাড়া থানায় আহত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী মামলা দায়ের করেন।

রোববার রাতেই অভিযান চালিয়ে চাকামইয়া ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের বাসভবন থেকে মামলার প্রধান আসামি টিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শিমু, তার স্ত্রী এলিজা বেগমসহ এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় হামলার কাজে ব্যবহৃত দেশীয় ধারালো অস্ত্র।

এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, এলাকায় সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাতে চাকামইয়া ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামে এলিজা বেগমের জন্য দোতলা ভবনে সন্ত্রাসী তৎপরতার জন্য ঘাঁটি তৈরি করেন চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শিমু।

প্রতিপক্ষকে নির্যাতনের জন্য ওই ভবনের একটি কক্ষে টর্চার সেলও গড়ে তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

প্রজন্মনিউজ২৪/হারুন

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ