হাবিপ্রবিতে ল্যাব টেকনিশিয়ানদের জন্য দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ, ২০২৪ ০২:৫৮:২৪ || পরিবর্তিত: ১৯ মার্চ, ২০২৪ ০২:৫৮:২৪

হাবিপ্রবিতে ল্যাব টেকনিশিয়ানদের জন্য দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি: দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং (আইআরটি) এর আয়োজনে ল্যাব টেকনিশিয়ানদের জন্য “ল্যাবরেটরি ম্যানেজমেন্ট” বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআরটি কনফারেন্স রুমে উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান, সভাপতিত্ব করেন আইআরটি এর পরিচালক প্রফেসর ড. এস. এম. হারুন-উর-রশীদ, সঞ্চালনা করেন আইআরটি এর সহযোগী পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ সুলতান মাহমুদ। রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএমবি বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ ইয়াছিন প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ আজিজুল হক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ড. মোঃ আতিকুল হক, এছাড়াও অনুষ্ঠানে আইআরটি এবং জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান উপস্থিত সকলকে পবিত্র রমজান মাস ও স্বাধীনতার মাসের শুভেচ্ছা জানান। তিনি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাত বরণকারী সকল শহিদ, মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদদের। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুদীর্ঘ ২৪ বছর লড়াই, সংগ্রাম, জেল, জুলুম, ও নির্যাতন সহ্য করে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ৪৬৮২ দিন তিনি জেলখানায় কাটিয়েছেন। লক্ষ্য একটি ছিল, সেটি হচ্ছে পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা এবং অনেক ত্যাগের বিনিময়ে সে লক্ষ্য তিনি অর্জন করেছেন। স্বাধীনতার পর তিনি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা কে সপরিবারে হত্যা করে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এই সোনার বাংলা বিনির্মাণের পথ রুদ্ধ করে। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সেই সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছেন তারই রক্ত ও আদর্শের যোগ্য উত্তরসূরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ করে গবেষণার উপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন। গবেষণা বাজেট কয়েকগুণ বৃদ্ধি করেছেন। ল্যাব টেকনিশিয়ানদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন গবেষকগণের গবেষণাকর্ম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য আপনাদের প্রয়োজনীয় সাপোর্টের গুরুত্ব অনেক। সেই গুরুত্বের জায়গা থেকেই আইআরটি’র পক্ষ থেকে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। পরিশেষে এ ধরণের প্রশিক্ষণ আয়োজনের জন্য তিনি আইআরটি সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

উল্লেখ্য, ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং (আইআরটি) এর আয়োজনে আগামীকাল ১৯ মার্চ মাস্টাররোল কর্মচারীদের জন্য “অফিসিয়াল কার্যক্রম ও দায়িত্ববোধ” শীর্ষক পরবর্তী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে।


প্রজন্মনিউজ২৪/এইচআরসি

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ