‘জিয়াউর রহমানের নীতি ছিল, ১০ হুন্ডা ২০ গুন্ডা নির্বাচন ঠান্ডা’

প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর, ২০১৯ ০৩:২৯:৩৪

‘জিয়াউর রহমানের নীতি ছিল, ১০ হুন্ডা ২০ গুন্ডা নির্বাচন ঠান্ডা’

নির্বাচন নিয়ে বিএনপি যে প্রশ্ন তোলে, তার সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আজকে বিএনপি নেতারা নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন, নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাদের আমি জিয়াউর রহমানের হ্যাঁ-না ভোট ও ১৯৮১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কথা মনে করিয়ে দিতে চাই। কেমন নির্বাচন তারা করেছিল। সেখানে জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেনি।

তাদের কথা-ই ছিল ১০টা হুন্ডা ২০টা গুন্ডা নির্বাচন ঠান্ডা। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করেছিল জেনারেল এরশাদও।’ শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যেমন স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী করেছিল, প্রধানমন্ত্রী করেছিল, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেও সেই একই কাণ্ড ঘটালো।

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া একটা নির্বাচন করেছিল। যে নির্বাচনে বাংলাদেশের কোনও দল অংশ নেয়নি। সেটা একটা সাজানো নির্বাচন ছিল। সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের সহযোগিতায় একটি নির্বাচন করলো। যেখানে বোধ হয় দুই শতাংশ ভোটও পড়েনি। জনগণের ভোট চুরি করে নির্বাচন করে নিজেকে তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা দিলো।’

তিনি বলেন, ‘ভোট চুরি করে খুনি রশিদকে নির্বাচিত করলো। কর্নেল রশিদ ও মেজর হুদাকে নির্বাচিত করে পার্লামেন্টে বসালো। খুনি রশিদকে খালেদা জিয়া পার্লামেন্টে বিরোধীদলীয় নেতার সিটে বসিয়ে দিলো। কিন্তু খালেদা জিয়া সেই ক্ষমতায় বেশি দিন থাকতে পারেনি। ভোটচুরির কারণে মাত্র দেড় মাস ক্ষমতায় ছিল। ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হয়ে, ৩০ মার্চ তাকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল।’

শেখ হাসিনা বলেন,  ‘৭৫ এর হত্যাকাণ্ডের বিচার রুখে দিতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল। খুনিদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল। তাদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল জিয়াউর রহমান। এরশাদও জিয়ার পথ অবলম্বন করে ক্ষমতা দখল করলো। তার থেকেও একধাপ এগিয়ে খালেদা জিয়া। তিনি ’৯৬ সালে সাজানো নির্বাচন করলেন। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের এমপি-মন্ত্রী করলেন। যারা এভাবে খুনিদের মদত দিতে পারে, তারা গণতন্ত্রের কথা কীভাবে বলে।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘তারা ক্ষমতায় এসে দুর্নীতি, নির্যাতন করেছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘর ছাড়তে হয়েছে। আমরা গোপালগঞ্জে সে সময় অনেক নেতাকর্মীকে আশ্রয় দিয়েছি। ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল তারা। আমাদের নেতাকর্তীমদের হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েছে, হাত কেটে নিয়েছে, চোখ তুলে নিয়েছে। নেতাকর্মীদের ভিটেবাড়িতে পুকুর কেটে কলাগাছ লাগিয়েছিল। হাজার হাজার মেয়েকে রেপ করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার নির্দেশেই এগুলো করা হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের কাজ ছিল আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করা। বাংলাদেশ যেন কখনও এগিয়ে যেতে না পারে, এটাই ছিল তাদের লক্ষ্য। তাদের আমলে ঢাকা শহরে বিদ্যুৎ ও পানির হাহাকার দেখা দেয়। আজকে ঢাকা শহরের পানির চাহিদা আমরা পূরণ করছি। আমরা আরও পানি শোধনাগার করছি। এখন ঢাকা শহরে কেউ এলে দেখবে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। শহরের চেহারা পাল্টে যাচ্ছে।’

পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে নগরবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। কলা খেয়ে রাস্তায় খোসা ছুড়ে ফেলা যাবে না। নিজেদের শহরকে নিজেদেরই পরিষ্কার রাখতে হবে। বিনোদনের জন্য শহরে খেলার মাঠ রাখতে আমরা কাজ করছি। মেয়েদের জন্য আলাদা বাসের ব্যবস্থা করেছি।’

প্রজন্মনিউজ২৪/ মামুন

             

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ