প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল, ২০১৯ ১২:৪৮:২০
মোঃ শরিফুজ্জামান, দিনাজপুরঃ পার্বতীপুরে অর্থাভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না স্কুল পড়ুয়া সুমার। মা বাবার কাছে সন্তান কখনো বোঝা হয় না, ভারী হয়না। কিন্তু সেই সন্তান যদি হয় অসুস্থ পঙ্গু, তাকে নিয়ে মা বাবার ঘুম হারাম হবে এটাই স্বাভাবিক। যেমনটি হয়েছে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে স্কুল পড়ুয়া মেয়ে সুরাইয়া আক্তার সুমার মা বাবার।
উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের বাবা আব্দুর রহিম ও মা আরজিনা বেগমের বেলায়। প্রতিদিন মা কিংবা বাবা দেড় কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে পঙ্গু মেয়ে সুরাইয়াকে কোলে পিঠে করে স্কুলে পৌছে দেন। আবার স্কুল শেষে অনুরুপভাবে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
বাবা আব্দুর রহিম জানান, তার মেয়ে সুরাইয়া আক্তার সুমা (১২) বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে বড় হরিপুর মুনশী পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনিতে পড়ে। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়বার সময়ে প্রায়ই তার ডান পায়ে ব্যাথা হতো। একদিন স্কুল যাওয়ার পথে মেয়েটির ডান পায়ের হাঁটুর উপরের অংশ ভেঙ্গে যায়। এটি ২০১৫ সালের কথা। এর কিছুদিন পরে একই অবস্থা হয় বাম পায়েও।
আব্দুর রহিম বলেন, আমার তিন মেয়ের মধ্যে বড় দু’জনের বিয়ে হয়েছে। এরমধ্যে প্রথমজন দুই শিশু সন্তান রেখে মারা গেছে। সবার ছোট মেয়ে সুরাইয়া আক্তার সুমার বড় আশা সে লেখা পড়া করে একজন ডাক্তার হবে। আমি তার চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যে সর্বস্ব শেষ করেছি।
তিনি বলেন, প্রথমদিকে দিনাজপুরের শিকদার কবিরাজের স্মরনাপন্ন হই। সেখানে কবিরাজি চিকিৎসা করে কোন ফল না পেয়ে বিদেশী মিশনারীদের দ্বারা পরিচালিত পার্বতীপুরের ল্যাম্ব হাসপাতালে ভর্তি করি। এরপর দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করাই। অর্থোপেডিক সার্জেন স্বনামখ্যাত ডাক্তার আমজাদ হোসেনও সুরাইয়ার চিকিৎসা করেছেন। এতে তার মেয়ের দুই পায়ের ভাঙ্গা অংশ জোড়া লাগলেও বেশি রকম বেঁকে যাওয়ায় হাঁটা চলা করতে পারছেনা।
সুরাইয়া আক্তারের মা আরজিনা বেগম বলেন, তারা অত্যন্ত গরীব মানুষ। ইতিমধ্যে মেয়ের চিকিৎসায় ৫ লাখেরও বেশি টাকা ব্যয় করেছেন। এখন টাকার অভাবে মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারছিনা। তাছাড়া, একটি স্বয়ংক্রিয় হুইল চেয়ার দিতে না পারায় প্রতিদিন তাকে কোলে পিঠে করে স্কুলে আনা নেয়া করতে হচ্ছে। আরজিনা তার মেয়ের সু-চিকিৎসা ও স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সু-দৃষ্টি ও সহায়তা কামনা করেছেন।
সুরাইয়া আক্তার সুমা জানায়, যত কষ্টই হোক সে লেখাপড়া চালিয়ে যাবে। তার আকাংখা ভষ্যিতে সে ডাক্তার হয়ে মানুষের চিকিৎসা সেবা দিবে।
প্রতিবেশী আজিজুল হক বলেন, দীর্ঘদিন যাবত এ মেয়ের পেছনে চিকিৎসা করাতে অনেক টাকা ব্যয় করেছে পরিবারটি। তবে কোন প্রকার সাহায্য সহযোগীতা পায়নি তারা।
আজার উদ্দীন নামে আরেক প্রতিবেশী বলেন, প্রথমদিকে মেয়েটিকে ভুল যায়গায় নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এখন দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসা করানোর মতো তাদের আর্থিক সংগতি নেই এ পরিবারটির।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মোমিনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব মন্ডল বলেন, বিষয়টি জেনেছি। আমি তার প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
সিংড়ায় অগ্নিকান্ডে পুড়লো ১২ স্বর্ণের দোকান, অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
প্রচণ্ড গরমে দিনের পরিবর্তে রাতে কাজ করবে ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা
জাতীয় পার্টির ভবিষ্যৎ অন্ধকার: কাজী ফিরোজ
আগামীকাল রাজধানীর যেসব এলাকায় ১২ ঘন্টা গ্যাস থাকবে না
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রেখে সমস্যার সমাধান হবে না: আব্দুস সালাম
২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি কমেছে ১৫.৪৯ শতাংশ
ইউএসএ বাংলা সাহিত্য সম্মেলন-২৪