স্মার্টফোনের ‘নেশার’ হাত থেকে মুক্তি পাবেন যেভাবে

প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারী, ২০১৯ ১০:২১:০৫

স্মার্টফোনের ‘নেশার’ হাত থেকে মুক্তি পাবেন যেভাবে

স্মার্টফোন আমাদের জীবনের অনেকটাই দখল করে নিয়েছে। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া তো রয়েছেই, এখন তার সঙ্গে রয়েছে অনলাইন বিভিন্ন পোর্টাল। এগুলোর ভালো দিকের পাশাপাশি রয়েছে ক্ষতির দিকও।

 এজন্য অনেক বিশেষজ্ঞই স্মার্টফোনের নেশা কাটিয়ে এটিকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ব্যবহারের পরামর্শ দেন। কিন্তু এই নেশা কাটিয়ে ফেলা এত সহজ নয়। তবে কয়েকটি পদ্ধতি মাথায় রাখলে স্মার্টফোনের এই নেশা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। জেনে নেওয়া যাক সেই পদ্ধতিগুলো-

নোটিফিকেশন বন্ধ

যতদূর সম্ভব অ্যাপের নোটিফিকেশন বন্ধ করে দিতে হবে। এতে আপনার স্ক্রিনে নিয়মিত নোটিফিকেশন আসাটা বন্ধ হবে। ফলে নিজের ইচ্ছে মতো ফোনে ঢুকে নোটিফিকেশন জমে থাকলে চেক করা যাবে। ফোনের ইচ্ছেয় আর চলতে হবে না।

ফোন বন্ধ রাখুন

দিনের নির্দিষ্ট সময় ফোন বন্ধ রাখতে হবে। বিশেষ করে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় তো বটেই, তার পাশাপাশি আরও কিছু সময় বেছে নিতে হবে, বিশেষ করে যখন ফোনের ব্যবহার হবে না। হতে পারে সেটা খাওয়ার সময় বা পড়াশোনা করার সময়।

হাতঘড়ির ব্যবহার

ফোন শুধু কথা বলার জন্যই নয়, একই সঙ্গে সময় দেখার কাজটিও করে। কিন্তু যখন সময় দেখার জন্য ফোনের দিকে তাকাতে হয়, তখনই হয়তো চোখে পড়ে কোনো নোটিফিকেশন। আর নোটিফিকেশন দেখতে গিয়ে অনেকেই ফোন ব্যবহার শুরু করেন। এর থেকে বাঁচার রাস্তা একটাই-হাতঘড়ি বা রিস্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে হবে। এতে ফোনের দিকে চোখ পড়বে কম।

অপ্রয়োজনী অ্যাপ বাতিল

অ্যাপ দিয়ে ফোন বোঝাই করে রাখলে এতে অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত নোটিফিকেশন আসবে। এমন অনেক অ্যাপ, যা কোনো কাজেই লাগে না, সেই সব অ্যাপ ব্যবহারের লোভ সামলাতে না পেরে, অনেক সময় নষ্ট হয়। তাই এসব বাদ দিতে হবে।

পুরোনো ফোন

পুরোনো ফোন ব্যবহার করলে কলিং এবং মেসেজিং-এসব থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে। তবে স্মার্টফোনে করা কাজগুলো ডেস্কটপ বা ল্যাপটপে করে নেওয়া যেতে পারে। এতে স্মার্টফোনের নেশার হাত থেকে অনেকটাই বাঁচা সম্ভব।

অ্যালার্ম ঘড়ি

সকাল বেলা ঘুম থেকে ওঠার জন্য স্মার্টফোনে অ্যালার্ম দেওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। এতে সকালে উঠেই প্রথম চোখে পড়ে ফোনের দিকে। ফলে বেশ কিছুটা সময় এই ফোনের পেছনে চলে যায়। এর থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ রাস্তা, একটা অ্যালার্ম ঘড়ি কিনে নেওয়া।

সাদা-কালো স্ক্রিন

কমবেশি অনেক ফোনেই গ্রেস্কেল বা সাদাকালো ডিসপ্লে মুড থাকে। যদি নিজের স্মার্টফোনটিতে সাদা-কালো ডিসপ্লে করা যায়-এতে স্মার্টফোনের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ কমে যাবে। ফলে ফোনের ওপর নির্ভরতা কমবে।

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ