ইন্দুরকানীতে শীতের কারনে বাড়ছে নানান রোগের প্রভাব

প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারী, ২০১৯ ০৩:৪৪:১৮

ইন্দুরকানীতে শীতের কারনে বাড়ছে নানান রোগের প্রভাব

পিরোজপুর প্রতিনিধি : উপকূলীয় উপজেলা ইন্দুরকানীতে টানা তিন সপ্তাহ ধরে শীতের প্রকোপ চলছে। জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। শীতে সবচেয়ে বেশি কাবু হয়ে পড়েছে এলাকার শিশু ও বৃদ্ধরা। বাড়ছে শীতজনিত ঠান্ডা, জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অন্তর্বিভাগ সেবা চালু না হওয়ায় এসব রোগের চিকিৎসা নিতে স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে রোগীরা ভিড় করছে। নদী তীরবর্তী জেলে পরিবারগুলো এবং কলারন জাপানি ব্যারাক, পাড়েরহাট ও সাউদখালীর মাঝের চরে আবাসনে বসবাসরত শত শত দরিদ্র পরিবার রয়েছে দুর্ভোগের মধ্যে। খোলপটুয়া গ্রামের ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এ বছর ম্যালা শীত পড়তেছে। ল্যাপ, খাতা, কম্বল বেশি না থাহায় শীতের কষ্টে রাইতে ঘুমাইতে পারি না।’ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা এস এ খান বলেন, “উত্তরের মৃদু হিমেল হাওয়া আর কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উপকূলীয় জনপদ পিরোজপুরের ইন্দুরকানীর জনজীবন”।

টানা ৩ সপ্তাহ ধরে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলীয় এলাকাটির জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। শীতে সবচেয়ে বেশি কাবু হয়ে পড়েছে এলাকার শিশু ও বৃদ্ধরা। শীতের কামড়ে ঘরে ঘরে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে সব বয়সী নারী-পুরুষ। বাড়ছে শীতজনিত রোগ, জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইনডোর সেবা চালু না হওয়ায় এসব রোগের চিকিৎসা নিচ্ছে স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে আক্রান্ত রোগীদের ভিড়।

এদিকে শীত নিবারণের জন্য পর্যাপ্ত গরম কাপড় না থাকায় কষ্টে আছেন ছিন্নমূল মানুষগুলো। শীতের তীব্রতা বেশি থাকায় দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষগুলো পড়েছেন চরম বিপাকে। সন্ধ্যার পরে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না অনেকেই। এ ছাড়া উপজেলার নদীতীরবর্তী জেলে পরিবারগুলো এবং কলারন জাপানি ব্যারাক, পাড়েরহাট ও সাউদখালীর মাঝের চরে আবাসনে বসবাসরত শত শত দরিদ্র পরিবার রয়েছে দুর্ভোগের মধ্যে। অন্যান্য বছরের ন্যায় এখন পর্যন্ত এসব দরিদ্র শীতার্ত মানুষের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে কম্বল কিংবাস শীতবস্ত্র হাতে পায়নি কেউ।

এ ব্যাপারে ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. এস এ খান বলেন, এখন শীতের তীব্রতা একটু বেশি। যার কারণে ঠান্ডা জনিত নানা রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। আমরা এখান থেকে আক্রান্ত রোগীদের আউটডোর সেবা দিচ্ছি। এ ছাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো থেকেও রোগীরা পর্যাপ্ত সেবা পাচ্ছে।

প্রজন্মনিউজ২৪/হাসিব বিল্লাহ/আব্দুল কাইয়ুম

 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ