সরগরম হয়ে উঠছে মীরসরাইয়ের দরিদ্রদের শীতবস্ত্রের হাট

প্রকাশিত: ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০৬:৩০:৪৭

সরগরম হয়ে উঠছে মীরসরাইয়ের দরিদ্রদের শীতবস্ত্রের হাট

সানোয়ারুল ইসলাম রনি, মীরসরাই (চট্টগ্রাম)সংবাদদাতাঃ শুরু হলো অগ্রহায়ণ, ধীরে ধীরে বাড়ছে শীত। শীত মৌসুম সামনে রেখে মীরসরাই উপজেলার দুটি পৌরসভা সহ সকল হাটবাজারে সব বয়সের মানুষের নানা ধরনের শীতবস্ত্র ক্রয় বিক্রয় জমে উঠছে দিনে দিনে।

শহরের পাশাপাশি গ্রাম গঞ্জ হাটবাজারের ফুটপাত, হকার মার্কেট, ছোট বড় বস্ত্র দোকানী সকলেই পূর্বের মজুদ পোশাক ও নতুন পোষাকের চালান নিয়ে ব্যষÍ। ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিযাত বস্ত্র বিপনী সকলেই  ইতিমধ্যে শীতবস্ত্রের পশরা সাজিয়ে ফেলেছেন।

গ্রামীন জনপদের দরিদ্র ক্রেতারা তাদের ফুটপাতস্থ হকার মার্কেট থেকে স্ব স্ব সাধ্য ও প্রয়োজন সারতে শুরু করেছেন ইতিমধ্যে। বাচ্চাদের জন্য বাহারি রঙের সুয়েটার, ছেলেদের জন্য জ্যাকেট থেকে শুরু করে ব্লেজার, মেয়েদের জন্য হাল ফ্যাশনের শীত পোশাক ও এখন আসতে শুরু করেছে  বিভিন্ন  পর্যায়ের বিক্রেতাদের কাছে।

বারইয়াহাট ও মীরসরাই পৌর এলাকার কিছু শীতবস্ত্র পন্যের হকারদের কাছেই ভীড় বাড়তে দেখা যাচ্ছে সম্প্রতি। এবার শীতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবসা ভালো হবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। কারণ শহর থেকে গ্রামে নিজ নিজ দলের প্রার্থীর জন্য রাত দিন নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত থাকবে অধিকাংশ মানুষ। আর বেশিরভাগ সময় ঘরের বাইরেই থাকতে হবে। আবার নির্বাচনের প্রার্থীরা ভোটারদের মন পেতে শীতবস্ত্র বিতরণ বাড়িয়ে দেবেন। তাই এবার গরম কাপড়ের কদর বেড়ে যাবে বলেই আশা করছে অনেকে। সব মিলিয়ে বিক্রিও ভালো হবে বলে আশা করছে বিক্রেতারা ।

শহরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বিভিন্ন কারখানায় শীত পোশাক তৈরির ধুম লেগেছে। নাওয়া খাওয়া ভুলে কারিগররা তৈরি করছেন বাহারি ডিজাইনের শীত পোশাক। চট্টগ্রামের অন্যতম শীর্ষ বস্ত্র উৎপাদকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা জেড এম টুটুল বলেন দেশের সকল বস্ত্র উৎপানকারীই শীত বস্ত্র নিয়েই কম বেশী ব্যস্ত।

তিনি বলেন অনেক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি শীতের শেষের দিকেই শীতবস্ত্র বিতরণ করতে দেখা যায়। অথচ শীতের শুরুতে কেউ এগিয়ে আসেন না। অথচ যারা দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে শীতবস্ত্র দিয়ে মানবতার কল্যাণ করতে চান শীতের শুরুতেই দেয়া উচিত। লোকদেখানো নয় প্রকৃত মানব কল্যানই সকলের লক্ষ্য হওয়া উচিত।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের অনেক পোশাক কারখানার মালিকরা দেশি-বিদেশি কাপড় কিনে নিজেদের কারখানায় শীত পোশাক তৈরি করে থাকেন। আবার বিভিন্ন দেশে সরবরাহ করে থাকেন। আবার দেশের অনেক বিক্রেতা চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পোশাক এনে বিক্রি করেন। অথচ আমাদের দেশীয় পন্য অন্য দেশ ঘুরে এলেই নিজেরা কিনে থাকি, যা কিছু শহুরে মডার্ণ ক্রেতাদের চিত্র।কিন্তু গ্রামীন জনপদের মানুষ ফুটপাত বা ছোট বড় একটা দোকান থেকে দুএকটা বস্ত্র কিনতে পারলেই চলে যায়। মীরসরাই ও বারইয়াহাট পৌরসভা সহ জোরারগঞ্জ, করেরহাট, আবুতোরাব, শান্তিরহাট, আবুরহাট, বড়দারোগারহাট, বড়তাকিয়া সর্বত্র এখন শীতবস্ত্রের দোকানী বাড়তে শুরু করেছে দিনে দিনে। 

বারইয়ারহাটের জনৈক  বস্ত্র  ব্যবসায়ী  লাকী ক্লথ ষ্টোরের  প্রোপ্রাইটর এম সামছুদ্দিন বলেন, এবার শীতের বেশ ভালো কালেকশান ইতিমধ্যে চালান করেছি। উন্নতমানের কম্বল, কোট, জ্যাকেট এবং  শিশু ও মহিলাদের জন্য ও ভালো পন্যই এসেছে বাজারে। সব মিলিয়ে কার্তিক পেরিয়ে শুরু হলো অগ্রহায়ণ আর ধীরে ধীরে বাড়ছে শীত। শীতের প্রকোপ বাড়বার আগেই  সকলেই  আগে  থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখতে সকলেই শুরু করেছে শীতবস্ত্র সংগ্রহে। তাই দিনে দিনে জমে উঠছে শীতবস্ত্রের হাট।

প্রজন্মনিউজ২৪/এম বিল্লাহ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ