প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ০৩:২৯:৫৮
উত্তর কোরিয়ায় বিদেশি সিনেমা এবং টেলিভিশন নাটক দেখা কিংবা কারও সঙ্গে তা শেয়ার করার অপরাধে মৃতু্দণ্ড কার্যকর বেড়েছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়ের একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মানবাধিকার কার্যালয় অনুসন্ধানে দেখতে পায়, গত এক দশকে উত্তর কোরিয়া তাদের দেশের নাগরিকদের জীবনের সবকিছুর ওপরই কড়া নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আজকের বিশ্বে আর কোনো দেশের মানুষই এতটা কড়াকড়ির মধ্যে নেই। আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় নজরদারিও ব্যাপক হারে বেড়েছে।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভলকার তুর্ক বলেন, ‘এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে উত্তর কোরিয়ার জনগণ আগের চেয়ে আরও বেশি দুর্ভোগ, নিপীড়ন ও আতঙ্কের শিকার হবে।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, গত ১০ বছরে উত্তর কোরিয়া ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া ৩০০ জনের বেশি মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে জাতিসংঘ। তাদের কাছ থেকেই জানা গেছে, উত্তর কোরিয়ায় এখন প্রায়ই মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হচ্ছে।
২০১৫ সাল থেকে অন্তত ৬টি নতুন আইন চালু হয়েছে উত্তর কোরিয়ায়। এসব আইনেই কঠোর সাজা দেওয়া হচ্ছে। যেসব অপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম হলো, বিদেশি সিনেমা এবং টিভি ড্রামা সিরিজ দেখা কিংবা এসব ভিডিও কারও সঙ্গে শেয়ার করা। উত্তর কোরিয়ার মানুষদের তথ্য জানতে দেওয়া থেকে বিরত রাখতেই দেশটির নেতা কিম জং উন এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন।
দেশটি থেকে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিরা জাতিসংঘের গবেষকদের জানিয়েছেন, ২০২০ সাল থেকে বিদেশি ছবি, ভিডিও বা অডিও শেয়ারের ঘটনায় জনসম্মুখে ফায়ারিং স্কোয়াডে বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। মানুষকে নিয়ম না ভাঙার ব্যাপারে হুঁশিয়ার করে দিতে জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
প্রজন্মনিউজ/২৪জেএ
চাকসু ভিপিকে মারতে তেড়ে আসলেন ছাত্রদল সভাপতি
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর
আনিস আলমগীরকে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে গ্রেফতার দেখাল পুলিশ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিদেশি চার পিস্তল উদ্ধার
নির্বাচনকে ঘিরে পতিত স্বৈরাচারের গুপ্ত হত্যার মিশনই আজকের ঘটনা
সর্বক্ষণ নজরদারিতে ছিলেন ওসমান হাদি
গাজা গণহত্যায় মানবাধিকার সনদ ‘মারাত্মকভাবে’ ক্ষতিগ্রস্ত: এরদোগান
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ মহাসচিবের কড়া নিন্দা