ধুনটে বাঙ্গালী নদী থেকে অবাধে চলছে মাটি ও বালু বিক্রি

প্রকাশিত: ০৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১১:৩৭:০৪

ধুনটে বাঙ্গালী নদী থেকে অবাধে চলছে মাটি ও বালু বিক্রি

বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার ধুনটে কারা সাজা ভোগের পরেও প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ার অবাধে চলছে মাটি ও বালু বাক্রি। রায়হান মন্ডল অরফে মনু নামের একজন মাটি ও বালু ব্যবসায়ী। অবৈধ ভাবে মাটি বিক্রির দায়ে কিছুদিন আগে তার সাজা হয়েছিল। জামিনে বেরিয়ে এসে পুনরায় একই স্থানের মাটি ও বালু অবাধে বিক্রি করছে তিনি।

জানা যায়, উপজেলার চিকাশী ইউনিয়নের মোহনপুর বাঙ্গালীর নদী থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক উত্তোলিত নদী পাড়ের মাটি দীর্ঘদিন ধরে পাচার করে আসছিলো মনু। বিষয়টি আমলে নিয়ে ইউনিয়ন ভূমি উপ- সহকারী কর্মকর্তা আয়শা খাতুন ধুনট থানায় একটি এজাহার দায়ের করে। গত ৭ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে ট্রাকযোগে মাটি বিক্রি হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সহকারী কমিশার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ও আনসার সদস্যদের সহযোগিতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে। মোবাইল কোর্টের উপস্থিতি টের পেয়ে দুঃস্কৃতিকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে একটি ট্রাক ও একটি এক্সিবেটর মেশিন পাওয়া গেলেও ড্রাইভার পালিয়ে যাওয়ায় ট্রাক ও এক্সিবেটর মেশিন থানায় আনা সম্ভব হয়নি। তবে আলামত হিসেবে ৩টি ব্যাটারী জব্দ করে ভ্রাম্যমান আদালত। পরে দায়ের করা এজাহারের ভিত্তিতে উপজেলার সুলতানহাটা গ্রামের বাঘা মন্ডলের ছেলে রায়হান মন্ডল ওরফে মনু কে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হলেও জামিনে মুক্ত হয়ে মোহনপুর গ্রামের আকাশ নামের এক নেতার ছত্রছায়ায় আবারো মাটি ও বালু বিক্রিতে সোচ্চার চক্রটি। 

এক প্রশ্নের জবাবে রায়হান মন্ডল অরফে মনু জানায়, স্থানীয় একটি মসজিদের সভাপতির ছেলে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে খসড়া অনুমোদন নিয়ে দিয়েছে মসজিদে মাটি দেওয়ার জন্য। আমাদের কাছে অনুমতির কাগজ রয়েছে। অপরদিকে মসজিদ কমিটির সভাপতি আইয়ুব আলী জানান, মসজিদে মাটি দেওয়ার কথা রয়েছে। অথচ ঠিকমত মাটি না দিয়ে সে অবাধে ব্যবসা করে যাচ্ছে। রায়হান আরো জানায় ইউনিয়ন ভূমি উপ- সহকারী কর্মকর্তা আয়শা খাতুনের কথায় ভুমি অফিসেও মাটি দিচ্ছি। ভুমি অফিস মাটি নিবে কিন্তু বিক্রির অনুমতি দিয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের কোন জবাব রায়হান মন্ডল দিতে পারেনি। 

এবিষয়ে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক খান জানান, জামিনে আসার পর পুনরায় একুই স্থান থেকে মাটি ও বালু বিক্রি করছে কিনা সে বিষয়ে আমি আবগত নই। ইউনিয়ন ভূমি উপ- সহকারী কর্মকর্তা ওই স্থান থেকে মাটি চেয়েছে এমন কোন তথ্যও আমার জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।


প্রজন্মনিউজ২৪/এইচআরসি

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ