জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ব্যক্তিভেদে নিয়োগের নিয়মে ভিন্নতা

প্রকাশিত: ০৯ জুন, ২০২৩ ০৪:১৫:৩৮

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ব্যক্তিভেদে নিয়োগের নিয়মে ভিন্নতা

জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বিভিন্ন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যক্তিভেদে নিয়মের ভিন্নতার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পদে বর্তমান কর্মকর্তাকেই চুক্তিভিত্তিত নিয়োগ দেওয়ার পর এমন অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোক্তভোগি কর্মকর্তা এবং জেষ্ঠ্য শিক্ষকরা। তাদের অভিযোগ পছন্দের প্রার্থীর জন্য নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটানো হচ্ছে।

জানা যায়, ইউজিসির নির্দেশের ব্যতয় ঘটিয়ে জবিতে চুক্তি ভিত্তিক রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে গত মঙ্গলবার। তবে এর কিছুদিন আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আখতারুজ্জামানের চাকরির মেয়াদ শেষ হলে তিনি অবসরোত্তর ছুটি স্থগিত সাপেক্ষে চুক্তিভিত্তিত নিয়োগে ইচ্ছুক হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইউজিসির নির্দেশনার বরাত দিয়ে তাকে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেয়নি।

এ বিষয়ে আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে উপাচার্য স্যারকে বলেছিলাম অবসর-উত্তর ছুটি স্থগিত রেখে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া যায় কিনা। কিন্তু কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার সবার সামনে বলেন, ইউজিসি থেকে নিষেধাজ্ঞা আছে। চুক্তিভিত্তিক দেয়া যাবে না। কিন্তু রেজিস্ট্রারকে ঠিকই একইভাবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হলো। ব্যক্তি দেখে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই নীতি মানল। রেজিস্ট্রার নিয়োগে কি ইউজিসির নিষেধাজ্ঞা ছিল না? উপাচার্য চাইলেই যদি রেজিস্ট্রারকে চুক্তিভিত্তিক দিতে পারে। আমাকে দিল না কেন?’

এর আগে বঞ্চিত করা হয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. আনোয়ারা বেগমের ক্ষেত্রে। চাকরীর মুল বয়স শেষ হলে মুক্তিযোদ্ধার কারণে সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এক বছর অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব পালন করতে পারতেন তিনি। বাংলাদেশ সরকারের এমন সিদ্ধান্ত থাকলেও বঞ্চিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ বিষয়ে ওই শিক্ষক বলেন, মুক্তিযোদ্ধার কারণে রাষ্ট্র আমাকে যে সম্মান দিয়েছিলো তাতে করে আমি আরো এক বছর সুযোগ পেতাম চাকরীর। কিন্তু আমাকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান আমাকে সুযোগ দেয়নি। আমাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। অন্যান্য জায়গায় সকল শিক্ষকরা এই সুবিধা পায় কিন্তু একটা বিশেষ মহলের সুবিধার্থে আমাকে বঞ্চিত করা হয়।’

বিশ্ববিদ্যালয় সুত্রে জানা যায়, এই নিয়োগে ব্যতয় ঘটেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনেরও। আইনের বাছাই বোর্ড ৫ ধারার ৯ উপধারায় বলা হয়েছে, ‘সিন্ডিকেটের পূর্বানুমানমূলকক্রমে ভাইস চ্যান্সেলর সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধান বা শাখা প্রধানের সুপারিশের ভিত্তিতে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক বা শাখা প্রধানের পদ ব্যতীত অন্যান্য পদের ক্ষেত্রে সাধারণতঃ অনূর্ধ্ব ছয় মাসের জন্য অস্থায়ী নিয়োগ প্রদান করিতে পারিবেন। তবে চুক্তিভিত্তিক এই রেজিস্ট্রার নিয়োগে হয়নি কোনো সিন্ডিকেট মিটিং। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য এবং বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হোসনে আরা জলি। ব্যক্তিভেদে নিয়মের ভিন্নতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিও। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ কে এম লুতফর রহমান বলেন, ‘একই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন ব্যক্তির জন্য দুই ধরনের নিয়ম কখনো প্রযোজ্য হতে পারেনা।’

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদকে বারবার ফোন করা হলেও পাওয়া যায়নি।


প্রজন্মনিউজ২৪/ইমরান

এ সম্পর্কিত খবর

বাংলাদেশের চিকিৎসাসেবায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী

৭ দাবিতে কুবি’র তিন দপ্তরে শিক্ষক সমিতির তালা

ইসরায়েল থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের দাবিতে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চুয়েট, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

বশেমুরবিপ্রবিতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

হিট স্ট্রোকে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিসকা’র অনুমতি দেয়নি ঢাবি প্রশাসন

গুচ্ছের হাবিপ্রবি কেন্দ্রে তিন ইউনিটে পরীক্ষার্থী ১২৩৪১ জন

বিশ্ব বই দিবস উপলক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই দিতে রাবিতে 'মলাট' চালু

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ