জন্ডিস আসলে কোনো রোগ না অনেক রোগের উপসর্গ: জেনে নেই

প্রকাশিত: ০২ জুন, ২০২৩ ১১:২৪:২৮

জন্ডিস আসলে কোনো রোগ না অনেক রোগের উপসর্গ: জেনে নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক : গ্রীষ্ম বা বর্ষাতেই আমাদের দেশে জন্ডিসের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে যেসব জন্ডিস পানিবাহিত ভাইরাসের মাধ্যমে ছড়ায়। চোখের পাতা, শরীর ও প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যাওয়াকেই আমরা জন্ডিস বুঝি। তবে সত্যিকার অর্থে জন্ডিস আসলে কোনো রোগ নয়, বরং অনেক রোগের একটা উপসর্গ। রক্তে বিলিরুবিন নামের উপাদানটা বেড়ে গেলে জন্ডিস দেখা দেয়। বিলিরুবিন বাড়ার আছে বিভিন্ন কারণ। যেমন লোহিত রক্তকণিকার অতিরিক্ত ভেঙে যাওয়া, বিলিরুবিনের বিপাকজনিত কোনো সমস্যা, পিত্তরস লিভার থেকে ক্ষুদ্রান্ত্রে যাওয়ার পথে বাধা পাওয়া ইত্যাদি।

বাংলাদেশে জন্ডিসের প্রধান কারণ হচ্ছে ভাইরাস হেপাটাইটিস। এর মধ্যে হেপাটাইটিস এ এবং হেপাটাইটিস ই ভাইরাস পানিবাহিত রোগ। হেপাটাইটিস বি ও হেপাটাইটিস সি রোগ দুটি ছড়াতে পারে নানা কারণে। এর মধ্যে অনিরাপদ রক্ত গ্রহণ, বি ভাইরাসে সংক্রমিত মা থেকে সন্তান, অনিরাপদ শারীরিক সম্পর্ক, শিরাপথে ব্যবহৃত সিরিঞ্জে মাদকদ্রব্য গ্রহণ, অস্ত্রোপচার, কিডনি রোগীর ডায়ালাইসিস ইত্যাদি।


জন্ডিসের কারণগুলো কী

ভাইরাস: হেপাটাইটিস এ, হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, হেপাটাইটিস ই ভাইরাস।

লিভার সিরোসিস।

হিমোলাইটিক অ্যানেমিয়া, যেমন থ্যালাসেমিয়া।

ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (প্যারাসিটামল টক্সিসিটি, সনাতনী বা দেশজ ওষুধ গ্রহণ)।

জেনেটিক রোগ, যেমন উইলসন ডিজিজ।

পিত্তনালির পাথর।

ক্যানসার (প্যানক্রিয়াস, লিভার, পিত্তনালি ও পিত্তথলি, খাদ্যনালি)।

অটোইমিউন লিভার ডিজিজ।

নবজাতকের জন্ডিস।

এ ছাড়া অনেক অপ্রচলিত ও বিরল রোগেও জন্ডিস উপসর্গটি দেখা দেয়।

কীভাবে বুঝবেন
জন্ডিস হলে চোখ ও প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যায়। অরুচি, বমি ভাব, বমি হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। চুলকানি হতে পারে। পেটে ব্যথা, পায়খানার রং সাদাটে বা ফ্যাকাশে হওয়া, জ্বর জ্বর লাগা, শরীর অনেক দুর্বল লাগা। ওজন কমে যেতে পারে। কোনো কোনো রোগে রক্ত বমি, কালো পায়খানা হতে পারে, পেটে কোনো লাম্প বা চাকা অনুভূত হওয়া, পেটে পানি আসা বা শরীর ফুলে যাওয়ার মতো জটিলতা দেখা দিতে পারে।

জন্ডিসের চিকিৎসা আছে
জন্ডিসের লক্ষ্মণ দেখা দিলে অবিলম্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পূর্ণ বিশ্রামে থাকুন। পর্যাপ্ত পানি, ডাবের পানি, তরলজাতীয় খাবার খান। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যেকোনো ওষুধ পরিহার করুন। বিশেষ করে হারবাল, কবিরাজি ওষুধ গ্রহণ, ঝাড়ানো ইত্যাদি থেকে বিরত থাকুন। এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে হেপাটাইটিস বি ও হেপাটাইটিস সি ভাইরাসের চিকিৎসা নিন।

প্রতিরোধে সচেতনতা
নিরাপদ বিশুদ্ধ পানি ও খাবার খান।

হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের টিকা নিন।

আপনার পরিবারে ক্রনিক লিভার ডিজিজের রোগী থাকলে আপনিও লিভার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

মদপান থেকে বিরত থাকুন।

লিভারের চর্বি নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

ডা. আরিফা তাসনীম, হেপাটোলজি বা লিভারবিশেষজ্ঞ, শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা


প্রজন্মনিউজ২৪/এমএইচ

এ সম্পর্কিত খবর

তীব্র গরমে ঢাকার বাতাসের কী খবর

হাবিপ্রবি সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বাঁচবে হাজারও কোটি টাকার সম্পদ

সরদার পাড়া দারুল কোরআন মডেল মাদ্রাসার পরিক্ষার ফল প্রকাশ

৭ দাবিতে কুবি’র তিন দপ্তরে শিক্ষক সমিতির তালা

চলতি বছর পবিত্র হজ্জ পালনের অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব

ইসরায়েল থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের দাবিতে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চুয়েট, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ

বশেমুরবিপ্রবিতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ